"কাসুন্দি দিয়ে কুল মাখা"
নমস্কার
"কাসুন্দি দিয়ে কুল মাখা"
কি বন্ধুরা,মাখামাখি জাতীয় রেসিপির নাম শুনলেই কেমন জিভে জল চলে আসে তাইনা! তার উপরে যদি হয় মজাদার কুল মাখা তাহলে তো কথাই নেই।যদিও স্বরস্বতী পূজা শেষ হয়ে গিয়েছে তবুও কিন্তু গাছে ভরপুর কুল রয়েছে।অন্যান্য বছর এই পূজার সময়ে কুলের অনেকখানি ঘাটতি দেখা যায়।যাইহোক আমি এই কুল মাখা করেছি বৌঠানের কাসুন্দি দিয়ে ,সেজন্য একটু বেশিই মজার হয়েছিল খেতে।অনেকে একে বড়ুইও বলে থাকেন।এই অর্ধপাকা কুলগুলি আমাদের বাড়ির গাছের, তাই এটি তৈরির পর দেখতেও বেশ লোভনীয় লাগছিলো।যাইহোক আশা করি এই রেসিপিটি ভালো লাগবে আপনাদের কাছেও।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন রেসিপিটি শুরু করা যাক----
উপকরণসমূহ:
2.বৌঠানের কাসুন্দি -2 টেবিল চামচ
3.কচি লেবুপাতা- 3 টি
4.লবণ- 1 টেবিল চামচ
5.হলুদ-1/2 টেবিল চামচ
6.লাল মরিচ গুঁড়া-1 টেবিল চামচ
7.সরিষার তেল-1 টেবিল চামচ
প্রস্তুত-প্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি আমাদের গাছ থেকে কিছু অর্ধপাকা কুল পেড়ে নিলাম।এরপর ভালোভাবে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিলাম।
ধাপঃ 2
এখন একটি বটির সাহায্যে কেটে নিলাম কুলগুলি।তারপর তার মধ্যে কচি লেবুপাতাগুলি কুচি কুচি করে ছিড়ে দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 3
এখন একটি পাত্রে পরিমাণ মতো লবণ, হলুদ,লাল মরিচ গুঁড়া,সরিষার তেল ও বৌঠানের কাসুন্দি নিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 4
এবারে সমস্ত মসলার উপকরণ একত্রে হাত দিয়ে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 5
এরপর মসলা মেশানো উপকরনটি কেটে রাখা কুলের মধ্যে দিয়ে দিলাম মগের মধ্যে।
ধাপঃ 6
এখন যে মগের মধ্যে আমি মসলা ও কুলগুলি নিয়েছি সেই মগের মুখ একটি পাত্র দিয়ে ঢেকে হাত দিয়ে চেপে ধরে অনবরত ঝাঁকিয়ে নেব।
শেষ ধাপঃ
এরপর কিছুক্ষণ ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নেওয়া হয়ে গেলে এটা খাওয়ার জন্য রেডি হয়ে যাবে।সবশেষে একটি পাত্রে ঢেলে নেব মগ থেকে কুল মাখাটি।
পরিবেশন:
তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "কাসুন্দি দিয়ে কুল মাখা"।এটি দেখতে যেমন লোভনীয় হয়েছিলো খেতে তার থেকে দ্বিগুণ টেস্টি হয়েছিলো।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।
লবন মরিচ দিয়ে বড়ই খেতে সত্যি খুব ভালো লাগে আপু। আসলে আগে আমরা বন্ধুরা সবাই মিলে পড়ন্ত বিকেলে এভাবে বড়ই মাখা খেতাম। আজ আপনি খুব সুন্দর করে কাসুন্দি দিয়ে কুল মাখা তৈরি করেছেন। বড়ই মাখা দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। কাসুন্দি দেওয়াতে খেতে নিশ্চয় মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কাসুন্দি দিয়ে কুল মাখা,আম মাখা করলে খুবই সুস্বাদু হয়। আপনি চমৎকার সুন্দর করে কাসুন্দি দিয়ে কুলমাখা করেছেন যা খুবই লোভনীয় হয়েছে। দেখেই তো খেতে মন চাচ্ছে। জিভে জল চলে এসেছে মাখা গুলো দেখে।ধাপে ধাপে সুন্দর করে কুল মাখা রেসিপি টি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা যেমন খেতে বিরাট লোভনীয় । তেমনিই টোপা কুলগুলো পেকে গেলে সেই কুলের কাসুন্দিও খেতে দারুণ হয়। শীতের দিনে কুলের মজাই আলাদা। এদিকেও হাটে বাজারে প্রচুর কুল উঠেছে দেখলাম। আমাদের গ্রামের বাড়িতে অবশ্য কুলের গাছ নেই। কিনে খেতে হয়। বৌঠানের কাসুন্দি কোনদিন খাইনি বোন। বৌঠান কেন বাজারের কোন কাসুন্দিই খাইনি কোনদিন। ছোট থেকেই দেখেছি কাসুন্দি বাড়িতে বানানো হত। এখনও মা বানায়। সেগুলো অবশ্য এতো তরল হয় না। চাপ চাপ হয়। মাটির হাঁড়িতে থাকে।
দিদি এই কাসুন্দিও কিন্তু তরল নয়।আমি সরিষার তেল ব্যবহার করেছি বলে তরল মনে হচ্ছে,তোমার অনুভূতি জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ দিদি।
বৌঠানের কাসুন্দি নামটা প্রথমে পড়ে ভেবেছিলাম হয়তোবা আপনার কোন বৌদির তৈরি করা কাসুন্দি দিয়ে তৈরি করেছেন। পরে দেখলাম কাসুন্দির নামই তো এটা, হাহাহা।যাই হোক এই সময়টায় বড়ই গুলো বেশ ভালই পাওয়া যায়। আর কাসুন্দি দিয়ে কোন কিছু মাখা করলে তো সেটার স্বাদ বেশি বেড়ে যায়। দারুন একটা রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে লোভ লেগে গেল আপু।
বর্তমানে বড়ই এর সিজন চলছে। আমার কাছে দেশি টক বড়ই গুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি আজকে আপনাদের বাড়ির গাছ থেকে বড়ই নিয়ে তারপর রেসিপিটা তৈরি করেছেন। এ ধরনের রেসিপি গুলোর কথা শুনলে আসলেই জিভে জল চলে আসে। কাসুন্দি দিয়ে এরকম বড়ই মাখা খাওয়া হয়নি কখনো। ধন্যবাদ দিদি এত মজার একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
কাসুন্দি দিয়ে কুল খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। খেতে মনে হয় অনেক মজা হয়েছিল।নিশ্চয় অনেক মজা করে খেয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কাসুন্দি দিয়ে কুলমাখা দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। আর লেবু পাতা দেওয়াতে মনে হয় অন্যরকম একটি ফ্লেভার চলে আসছে। বেশ লোভনীয় ছিল রেসিপিটি দেখেই জিভে জল চলে আসলো । ধন্যবাদ আপু লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কাসুন্দি দিয়ে কুল মাখা তৈরি করেছেন দেখে তো জিভে জল চলে এলো।এ ধরনের মাখা গুলো দেখলে খেতে মন চায়। আপনি অনেক সুন্দর করে কুল মাখা তৈরি করেছেন যা দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে খেতে ও মনে হয় অনেক মজাদার হয়েছিল।
টাস্ক প্রুফ: