আমার বাড়ির ছোট্ট সবজি বাগান
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ থাকার চেষ্টা করছি। চলছে রহমতের রমজান মাস, সুস্থতার সাথে সবার পুরো রমজান মাস কাটুক সেই দোয়া করি। যদিও শেষ পর্যন্ত আমি নিজেই অসুস্থ হয়ে যাই। আসলে মুল বিষয়টি হলো ঘুম, এখানেই আমার দুর্বলতা। রমজান মাসে ঘুমটা পুর্ণতা পায় না, রাতে যেমন জাগতে হয় ঠিক তেমনি আবার ভোর সকালে উঠে অফিসের জন্য দৌড় দিতে হয়। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, দুই দিক হতে চাপ সামলাতে হয় বলে ঘুমটা অপূর্ণ থেকে যায়।
যাইহোক, আজকে সবজি বাগানের কিছু দৃশ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, এই তো সেদিন বাগানের লাল ডাটা দিয়ে দারুণ স্বাদের একটা রেসিপি শেয়ার করেছিলাম। আসলে শেষের ডাটাগুলো এখনো বাগানে রয়েছে, অনেকগুলোর মাঝে বেশ সুন্দরভাবে ফুল আসতে শুরু করেছে। এগুলো অবশ্য এভাবেই থাকবে, আরো ফুল আসবে এবং তারপর সেখান হতে বীজ সংগ্রহ করা হবে। তারপর সেগুলোকে পুনরায় রোদে শুকানো হবে এবং পরের বছরের জন্য সংরক্ষণ করা হবে। বাড়িতে কিছু রোপন করে এবং সেগুলোর বীজ সংরক্ষণ করার মাঝেও একটা আনন্দ আছে, বেশ ভালো একটা অনুভূতিও তৈরী হয়।
ইতিমধ্যে মরিচের বীজ ফেলা হয়েছে, অবশ্য আমি না করেছিলাম। বলেছিলাম বৃষ্টিপাত একটু হোক, মাটিগুলো একটু নরম হবে তারপর না হয় বীজগুলো রোপন করা যাবে। তবে আমার শাশুড়ি দুই রকমের মরিচের বীজ রোপন করেছেন। সকাল বিকেল সময় করে উনি নিজেই পানি দিয়ে থাকেন। গতবার বোম্বে মরিচের গাছ লাগানো হয়েছিলো কিছু, সেখান হতে বীজ সংগ্রহ করে রেখেছেন, আর এবার বৃষ্টিপাত হওয়ার আগেই উনি সেগুলো রোপন করে চারা গাছ উঠিয়েছেন। আরো একটু বড় হলেই সেগুলোকে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় লাগিয়ে দিবেন, তবে সবগুলো বীজ হতে চারা গাছ বের হয় নাই, অনেকটা জায়গা এখনো ফাঁকা আছে।
আবার অনেকগুলো বীজ হতে একটু দেরীতে চারাগাছ বের হয়েছে। মাটি শুকনা থাকলে কিংবা পানি ঠিক মতো দেয়া না হলে এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। অবশ্য আমার শাশুড়ি দমে যাওয়ার মানুষ না, উনি কায়দা করে আরো কিছু বীজ রোপন করেছেন এবং সেগুলো হতে ছোট ছোট গাছ ইতিমধ্যে বের হতে শুরু করেছে। রমজান মাসে আর কিছুর দাম বাড়ুক আর না বাড়ুক, কাঁচা মরিচ আর লেবু এই দুটোর দাম বাড়বেই। কেন জানি সরকারও এগুলোর ক্ষেত্রে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন না।
অবশ্য চাহিদাও একটু বেশী থাকে আর সেই সুযোগটাই ব্যবসায়ী সমাজ কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন। ফলাফল সাধারণ মানুষজন একটু বেশী দাম দিয়ে কিনতে বাধ্য হয়। অবশ্য আমার বাড়ির চারা গাছগুলো এখনো যতটা ছোট ছোট সেগুলোর হতে রমজান মাসে মরিচ আসবে বলে কোন সম্ভাবনা নেই, সুতরাং আমাকেও কিনে খেতে হবে। দেখা যাক এবার দামের পরিবেশ কতটা গরম হয় হি হি হি।
তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০২৫ইং।
লোকেশনঃ সাভার, ঢাকা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||




>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness

OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আপনার সবজি বাগান দেখে তো ভালোই লাগলো। আপনার বাগানের ডাটা খাওয়ার সময় শেষ, এখন বিচ সংগ্রহ করতে হবে। আর আমার কিছু বোম্বে মরিচের চারা লাগবে, আশা করি বাসার ঠিকানা টা দিয়ে সহযোগিতা করবেন,হা হা হা।
আপনার বাড়িতে তো দারুন সুন্দর সব সবজি গাছ আছে। আপনার বাগানের ছবি দেখে আমি অভিভূত হয়ে গেলাম। অসাধারণ সব সবজি গাছের সমাহার আপনার বাগানে ফুটে উঠেছে। মরিচ বসানো নিয়ে ঘটনাগুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনার গাছেরা দীর্ঘজীবী হোক এই প্রার্থনা করি।
আপনার বাগানের কাজের অভিজ্ঞতা শুনে অনেক ভালো লাগল। বাড়িতে চাষ করা সবজির জন্য বীজ সংরক্ষণ ও গাছের যত্ন নেওয়া সত্যিই খুব আনন্দের। মরিচের গাছের জন্য আপনার শাশুড়ির কষ্টের ফল নিশ্চয়ই দারুণ হবে, আর রমজান মাসে কাঁচা মরিচের দাম কীভাবে বাড়ে, তা তো সবাই জানে! আশা করি আপনার বাগানে সবকিছু ভালোভাবেই বেড়ে উঠবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার বাগানের আপডেট জানতে পেরে ভালো লাগলো ভাইয়া।ডাটা দিয়ে তৈরি করা রেসিপিটি দেখা হয়েছিল আমার।এখন ডাটার বীজ সংরক্ষণ করবেন পরের বছরের জন্য। এটা বেশ ভালো ই হবে।বীজ আর আলাদা করে কিনতে হবে না।বোম্বাই মরিচ তো আমার খুবই পছন্দ। এবার ঈদে বাড়িতে গেলে আমিও লাগাবো সুন্দর মাটি তুলে রেখে এসেছি।কিন্তু সময় আর পাইনি গাছ আনার।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
নিজেদের ঘরের আঙ্গিনায় সবজি বাগান থাকা মানে বেশ ভালো। বিশেষ করে তাজা সবজিগুলো খাবার সুযোগ হয়। আর ঘরের ক্ষেতের সবজির স্বাদ অনেক বেশি। হয়তো ঘরের আঙ্গিনায় চাষ করা হয় বলে সেখানে রাসায়নিক সারগুলো খুবই কম ইউজ করা হয় সেজন্য। বাজারের সবজি খেতে যেমন তেমন কিন্তু ঘরের আঙিনায় করা সবজির বাগানের শাকসবজি খেতে খুবই মজার হয়। খুব সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করলেন সবজি বাগান দেখে খুব ভালো লেগেছে।