চলে যাচ্ছি ব্যস্ত নগরীতে
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি। তবে আজ কেন জানি মনটা ভীষণ খারাপ কারণ আজকে আমার মাতৃভূমি ছেড়ে আবারো ব্যস্ত নগরীতে ফিরে যেতে হচ্ছে। এইতো কিছুদিন আগেই একটি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এবং সবকিছু শেষ করে আবারো সেই ব্যস্ত নগরীতে ফিরে যাওয়ার পালা। এর জন্যই মনটা ভীষণ খারাপ।
এদিকে আমার মায়ের শরীর গতকাল থেকেই হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। যার কারণে আম্মুর জন্য ব্যাপক টেনশন হচ্ছে। কিভাবে কি করব ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না। আমার বাবা ঢাকায় গিয়েছিল আমার ছোট ভাই অসুস্থতা থাকার কারণে। কিন্তু আম্মুর শরীরটা এতটাই বেশি খারাপ হয়ে গিয়েছিল গতকালকেই আব্বুকে ফোন করে ডেকে এনেছি। কারণ বাসায় কাউকে না রেখে আমি একা একা ঢাকায় যেতে পারি না।
এদিকে আবার ঢাকায় না গেলে কোনভাবেই সব কাজগুলো গুছিয়ে নিতে পারবো না। এইতো কয়েকদিন আগেই মিড টার্ম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। আর হয়তো এক দুই সপ্তাহ পরেই ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সবমিলিয়ে ভীষণ চাপের মধ্যে রয়েছি। নতুন সেমিস্টারের এখন পর্যন্ত কোন কিছুই পড়াশোনা করা হয়নি। এছাড়াও সার্বিকা বিষয় বস্তুত রয়েছেই। অ্যাসাইনমেন্ট, ক্লাস টেস্ট, ভাইবা এই সবকিছুর জন্য প্রিপারেশনের দরকার রয়েছে এবং কিছুটা সময়ের প্রয়োজন রয়েছে। বাসায় থেকে আসলে সবকিছু করা হয়ে ওঠেনা। যাইহোক দেখি আজকে আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেব এবং যদি সম্ভব হয় তাহলে ঢাকায় গিয়ে বেশ কিছুদিন থেকে আবার ঈদের আগে নীলফামারীতে ব্যাক করব।
যতবারই নীলফামারী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেই ততবারই এই কষ্টটা অনুভব করি। এটা আসলে বলে বোঝানো আর সম্ভব হবে না। নিজের মাতৃভূমি ছেড়ে, নিজের সমস্ত কাছের মানুষদের ছেড়ে একা একটি দূরের শহরে গিয়ে বসবাস করা চাট্টিখানি কথা নয়। এইভাবে বসবাস করছি আনুমানিক প্রায় ১০ বছরের উপরে হবে কিন্তু তারপরও এই জার্নি যেন শেষ হতে চাচ্ছে না। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি হয়তো গত বছর আগামী বছর ঢাকায় ছাড়ার সিদ্ধান্তটা আমার জন্য পারফেক্ট হবে।
পড়াশোনা শেষ করে আমি ভাবছি আমি আবার নীলফামারীতে চলে আসব। আমার পরিবারের সাথেই আমি সময় কাটাবো এবং আমার মাতৃভূমিতেই কিছু একটা করার চেষ্টা করব। এতে করে আজীবন যাত্রার মান একটু উন্নত কম হবে কিন্তু আমি আমার নিজের মা-বাবার সাথে থাকতে পারবো নিজের পরিবারকে সময় দিতে পারবো এবং এটাই আমার কাছে যথেষ্ট। আজ রাতেই বাসে উঠবো এবং যেহেতু রমজান মাস চলছে তাই সমস্ত কিছু ম্যানেজ করেই গাড়িতে উঠতে হবে তা না হলে হয়তো আগামীকালের রোজা দিতে পারবো না। যাই হোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: চলে যাচ্ছি ব্যস্ত নগরীতে
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
সে কি মায়ের শরীর হঠাৎ করে খারাপ হয়ে গেল কি করে। এখন মা ভালো আছে তো নাকি? তবে মাতৃভূমি ছেড়ে যখনই তুমি বাইরে যাবে এই কষ্ট অনুভব করবে সিয়াম। আসলে জননী এবং জন্মভূমির টানই যে আলাদা। আমরা কখনো আমাদের শরীর থেকে ছিঁড়ে ফেলতে পারি না। তবে খুব সাবধানে ঢাকায় যাও। ব্যস্ত জীবনে তো ফিরতেই হবে। খারাপ লাগলেও একথা ভীষণভাবে সত্যি। আর পৃথিবীতে যেখানেই যাও মা এবং বাবাকে ভালো রেখো।
যারা নিজের পরিবার ছেড়ে, আপনজন ছেড়ে কর্মস্থলে যাই তাদের অবস্থাটা আমি বুঝি। কারণ আমি আপনার মত আপনজন ছেড়ে মা বাবা ছেলে অনেক দূরে থাকি। প্রতিবার বাড়ি থেকে আসার সময় আমার মনের অবস্থাও ঠিক আপনার মতোই হয়। তারপরেও কিছু করার নেই বাস্তবতা মেনে নিতে হয়। তবে নিজের জেলায় শিফট হতে পারলে খুবই ভালো হয়। ধন্যবাদ।
তোমার মায়ের শরীর খারাপ শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল। আশা করি উনি দ্রুতই সুস্থ হয়ে যাবেন৷ প্রবাসে থাকা যে কতটা অসুবিধে সে আর আমি আলাদা করে কি বলব! সেই পনের বছর বয়স থেকে বাইরে আছি। কত কিছু পারিবারিক বিষয়ে থাকতে পারি না৷ মাঝে মাঝে খুবই মন খারাপ হয়। এতো বছর পরেও৷ নীলফামারিতে কিছু করে পরিবারের পাশে থাকতে পারলে সত্যিই খুব আনন্দের হবে বিষয়টা।
প্রথমেই আপনার মায়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি ভাই। পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে দুশ্চিন্তার শেষ থাকে না আমাদের। আমার পরিবারের কিছু সদস্যও অসুস্থ। যাইহোক নিজের জন্মস্থান এবং পরিবার ছেড়ে যেতে তো খারাপ লাগবেই। আশা করি ঈদের আগে অবশ্যই নীলফামারিতে ব্যাক করতে পারবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাই।
আপনার অনুভূতি সত্যিই হৃদয়স্পর্শী। মাতৃভূমি থেকে দূরে থাকা, বিশেষত পরিবারের সদস্যদের অসুস্থতার সময়, সত্যিই কঠিন। আপনার সংকটময় মুহূর্তগুলো অতিক্রম করার শক্তি আল্লাহ আপনাকে দিন। পড়াশোনা এবং পরিবারের প্রতি আপনার দায়িত্বের মাঝে ভারসাম্য রক্ষা করা অনেক চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু আপনার সিদ্ধান্তে পরিবারকে সময় দেওয়ার চেষ্টাটা খুবই প্রশংসনীয়। আশা করি দ্রুত সবকিছু গুছিয়ে আবার নিজের পরিবার এবং প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে আসতে পারবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।