❤️ফেসবুক প্রেমের পূর্ণতা।❤️
পরম করুনাময় অসীম দয়াল মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছি।
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ, অনেক ভালো আছি। অনেক দিন যাবত আপনাদের মাঝে কোন রকম কোন পোস্ট করা হয় না। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিজের ব্যক্তিগত অনুভূতি নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করছি। আশা করি আমার আজকের পোস্টটি পড়ে আপনাদের সবার ভালো লাগবে।
কথায় আছে প্রেম মানে না বাধা। এই কথাটি লোকসমাজের সবাই বলে থাকে। তবে বাস্তবে মানুষ প্রেম করে ঠিকই কিন্তু কেউই সত্যিকার অর্থে কাউকে ভালোবাসে না। মাঝে মাঝে এমন এমন প্রেমের কাহিনী আমরা শুনি যে গুলো আমাদের সকলকে আনন্দ দেয়। আবার এমন প্রেমের কাহিনী আছে যেগুলো শুনলে হৃদয়ে কেমন জানি কষ্ট অনুভূতি হয়। হৃদয়টা ভারাক্রান্ত হয়ে অন্যের বেদনাটা নিজের বলে মনে হয়। আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাস্তবে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসার পূর্ণতার একটি গল্প শেয়ার করব। গল্পটি সম্পূর্ণই বাস্তব। চলুন এই গল্পটি আপনাদের মাঝে ধীরে ধীরে উপস্থাপন করি।
আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভাদুঘর মাহবুবুল হুদা পৌর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা করেছি। আমার স্কুল লাইফে মেয়ে বন্ধু থাকলেও তেমন ছেলে বন্ধু নেই বললেই চলে। তবে দুইজন ফ্রেন্ড আছে যাদের বাড়ি আমাদের বাড়ির পাশেই। একজন হিন্দু ছেলে একজন মুসলিম ছেলে। আমার হিন্দু ফ্রেন্ডের নাম হচ্ছে তমাল শর্মা। আজকে আমি আমার মুসলিম বন্ধু ছেলেটির প্রেমের পূর্ণতার গল্পটি শেয়ার করব। আমার এই বন্ধুটির নাম নাহিয়ান। সে বর্তমানে লন্ডন প্রবাসী। সে আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে কলেজ পাড়ার একটি মেয়ের প্রেমে পড়ে ফেসবুকের মাধ্যমে। সেই মেয়েটির সাথে প্রথমে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। একটা সময় কথা বলতে বলতে মেয়েটি ও আমার বন্ধুটির প্রেমে পড়ে যায়। সে ইন্টারমিডিয়েটে পড়ে। মেয়েটি পরিবারের একমাত্র কন্যা। তার কোন ভাই বা বোন নেই। মেয়েটি যখন বন্ধুত্ব থেকে রিলেশনশিপে আসে। তখন তার পরিবার থেকে অন্যত্রে বিয়ের প্রস্তাব আসে। সেই কারণে আমার বন্ধু তার পরিবারকে তার প্রেমিকার বাড়িতে পাঠায়। নাহিয়ানের ফ্যামিলির সবাই মেয়ের ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো দেখে এবং মেয়েটিকে দেখে পছন্দ করে। মেয়ের পরিবার ছেলের অবস্থান ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে পছন্দ করে। সবমিলিয়ে দুই ফ্যামিলির মধ্যে কথাবার্তা হয়। তারপর ফোনের মাধ্যমে তাদের অর্ধেক বিয়ে সম্পূর্ণ করে ফেলে।
যেহেতু আমার ফ্রেন্ড স্টুডেন্ট ভিসায় বিদেশে গিয়েছে। আর ভালো একটি রাষ্ট্রে অবস্থান করছে। সেহেতু তার এই প্রেম কাহিনীটা পূর্ণতা পাওয়াটা খুবই সহজ হয়েছে। মেয়ের পরিবার ও যথেষ্ট পয়সাওয়ালা। যার জন্য সেই দিক দিয়ে আমার ফ্রেন্ডের ফ্যামিলি মেয়েটিকে মেনে নিয়েছে। মেয়েটিকে এখনো আমি দেখিনি তবে শুনেছি মেয়েটি নাকি অসম্ভব সুন্দর। আজ আমার ফ্রেন্ড বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরেছে। এই মাসের ছয় তারিখ অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসের ৬ তারিখ তার পূর্ণ বিয়ে সম্পূর্ণ হবে। সেইজন্যে আমাদের স্কুলের অর্থাৎ আমাদের সায়েন্সের বেইজের যতগুলো ফ্রেন্ড ছিল সবাইকে ইনভাইট করা হয়েছে। আমার ও ইচ্ছে ছিল তার বিয়েতে জয়েন্ট হওয়ার। যদি জয়েন্ট হতে পারতাম তাহলে আমার অনেক ফ্রেন্ডদেরকে দেখতে পারতাম। তার বিয়ের এই পূর্ণতা দেখে আমার কাছে কেন জানি ভালো লাগছে। প্রেম ভালবাসা জিনিসটা যদি পূর্ণতা পাই সত্যিই অসম্ভব ভালো লাগে। আর এই ভালোলাগাটা কাজ করে যদি এটা বাস্তবে নিজ চোখে দেখা যায়।
নাটকে তো আমরা কত রকমের ভালোবাসারই পূর্ণতা পেতে দেখেছি। তবে এমন ভাবে আয়োজন করে নিজের পছন্দের মানুষকে কাছে পাওয়ার আনন্দটাই অন্যরকম। প্রত্যেকটা ছেলেরই উচিত যাকে পছন্দ করবে পরিবারকে যেভাবে হোক বানিয়ে তাকে বিয়ে করা। একটা ছেলে যা পারে একটা মেয়ে তা পারে না। একটা মেয়ে যদি কোন ছেলেকে পছন্দ করে তা তার পরিবারের কাছে জানালে তাকে অনেক কথা শুনতে হয়। এমনকি পরিবারের সবার কাছ থেকে মেয়েটির প্রতি ভালোবাসা উঠে যায়। তাই মেয়েরা তার পরিবারের প্রত্যেকটা সদস্যের কথা ভেবে তার ভালোবাসার মানুষটিকে ছেড়ে দেয়। আবার অনেক সময় পছন্দের মানুষটি যদি ভুল হয়ে থাকে,তাহলে নিজেকে সংশোধন করার জন্য ও তার প্রিয় মানুষটিকে ছেড়ে দেয়। তবে আমি মনে করি খারাপ ভালো মিলিয়ে এই দুনিয়া। যে যাকে পছন্দ করবে সৃষ্টিকর্তা যেন তার সাথে তার জোড়া মিলিয়ে দেয়। নয়তো পরবর্তী দাম্পত্য জীবন সুখের হয় না।
যাইহোক বন্ধুরা আজ এই পর্যন্তই। আর কথা বাড়াচ্ছি না। আমার বন্ধুর ফেসবুক প্রেমের এই পূর্ণতা যেনো সুখময় ও সুন্দর হয়। আর তারা যেনো সারা জীবন দুজন একসাথে সুন্দরভাবে কাটিয়ে দিতে পারে সেই দোয়া করবেন। আমিও তাদের এই দাম্পত্য জীবনের সর্বদা মঙ্গল কামনা করি, এই প্রত্যাশা রেখে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিতেছি। ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
![image.png](
প্রেম এমন এক জিনিস যার থেকে শুদ্ধ ভাব আর কিছুতে হয় না। ফেসবুক হোক আর যেখানেই হোক, প্রেমের সূত্রপাত সব সময় সুন্দর হয়ে থাকে। আপনার লেখা গল্পটি পরিবেশ ভালো লাগলো। প্রেম পূর্ণতা পেলে তার সম্পূর্ণতা আসে। সেই দিক থেকে বিয়ে জিনিসটি একদিক থেকে যেমন প্রেমের পূর্ণতা, কেমন আরেক দিক থেকে এক নতুন জীবনের সূত্রপাত।
আপু আমারও ফেসবুকে প্রেম ছিল আর অবশেষে তা পূর্ণতা পেয়েছে। আজ আমি খুব খুশি কারণ আমার ভালোবাসার মানুষকে সারাজীবনের জন্য পেয়েছি বলে। যখন কাউকে মন থেকে ভালোবাসা হয় তখন কোনো না কোনো মাধ্যম তাকে পাওয়া যায়। কিন্তু বর্তমানের প্রেম একদমই অন্য রকম। এক একজন ছেলেমেয়ের চার পাঁচ জন করে বয়ফ্রেন্ড আর গার্লফ্রেন্ড থাকে। তাইতো তাদের ভালোবাসার পূর্ণতা পায় না। আপনার বন্ধুর জীবনটা সার্থক,যাকে ভালোবেসেছে তাকেই জীবন সঙ্গী হিসেবে সারাজীবনের জন্য পাবে। এমন পূর্ণতা বাস্তবে খুব কম দেখা যায় বরং নাটক সিনেমায়ই মানায়। আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।