মেয়ের বায়নায় পটেটো ললিপপ
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
ফেসবুকে আলু দিয়ে এই রেসিপিটি দেখে খুবই ভালো লেগেছিল। খুবই সহজ একটি রেসিপি। তখন ভাবলাম এই রেসিপিটি যদি বানানো যায় তাহলে আমার ছোট মেয়ে খুবই পছন্দ করবে। কারণ ও আলু দিয়ে যে কোন কিছু বানালেই খুবই পছন্দ করে। তাই বানিয়ে ফেললাম। এরপর খেয়ে তো সে খুব খুশি। প্রথম যেদিন বানিয়েছিলাম সেদিন কোন ফটো তুলিনি। কারণ কেমন হবে খেতে তাই জানতাম না। এরপর পরের দিন মেয়ে বায়না ধরেছে তাকে ওটা আবার বানিয়ে দিতে হবে। তখন কি আর করা? বানিয়ে ফেললাম, আর সাথে স্টেপগুলোর ফটো তুলে নিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।আসলে এই রেসিপির জন্য ছোট সাইজের আলু নিলে ভালো হয়। আগে যেদিন বানিয়েছিলাম সেদিন আস্ত আলু দিয়ে করেছিলাম। কিন্তু পরে যখন বানিয়েছিলাম তখন আলুগুলো ছোট ছিল না। অনেক বড় বড় সাইজের ছিল তাই কেটে কেটে বানিয়েছি। যাইহোক আশা করি আমার এই রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
পটেটো | বড় সাইজের ২ টি |
কাঠি | ৪ টি |
লবন | ২ চা চামচ |
হলুদ গুঁড়া | হাফ চা চামচ |
তেল | ভাঁজার জন্য |
কার্যপদ্ধতিঃ
প্রথমেই দুটি আলু নিয়েছি।
এরপর আলুগুলো এভাবে কয়েকটি টুকরায় কেটে নিয়েছি।
এরপর শিক কাবাবের চারটি কাঠি নিয়েছি।
এরপর কাঠিগুলো মাঝ বরাবর দুটি অংশে ভেঙে নিয়েছি, কারণ কাঠিগুলো অনেক বড় ছিল সাইজে।
এরপর কাঠিগুলো আলুর নিচের দিক দিয়ে এভাবে ভরে নিয়েছি।
এরপর ছুরি দিয়ে কাঠি বরাবর এভাবে ঝুড়িঝুড়ি করে কেটে নিয়েছি। যেহেতু কাঠি রয়েছে তাই আলুগুলো আর সেপারেট হয়ে যায়নি।
এরপর সবগুলো একই সিস্টেমে কেটে নিয়েছি।
এরপর আলু গুলোতে ভালোভাবে লবণ মাখিয়ে 15-20 মিনিটের জন্য রেখে দিয়েছি।
এরপর ১৫-২০ মিনিট পর আলু থেকে হাতের সাহায্যে চিপে পানি বের করে নিয়েছি। অতিরিক্ত পানি বের করার ফলে আলু গুলো ক্রিপ্সি হবে।এরপর হলুদ দিয়েছি।
এরপর হলুদ দিয়ে সবগুলো আলু ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছি।
এরপর একটি ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে আলুগুলো দিয়ে দিয়েছি। মনে রাখতে হবে চুলার আঁচ যেন মিডিয়ামে থাকে।
এরপর আলুর দুই পাশ ভালোভাবে গাঢ় বাদামি বর্ণের করে ভেজে নিয়েছি। মনে রাখতে হবে বেশি সময় নিয়ে আলুগুলো ভাজতে হবে, তা নাহলে ভেতরে কাঁচা থাকবে।
ব্যাস হয়ে গেল আমার মজাদার পটেটো ললিপপ। টমেটো ক্যাচাপ অথবা মেয়োনিজের সাথে খেতে দারুণ স্বাদের।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 15 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR

মেয়ের আবদারে আবারো রেসিপি টা তৈরি করলেন। পটেটো ললিপপ এত সহজে তৈরি করে নিয়েছেন, দেখে তো মনে হচ্ছে খেতে দারুন লেগেছে। রেসিপিটা দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো। আর সহজে রেসিপিটা শিখে নিতে পারলাম। সস দিয়ে খেতে এটা অনেক বেশি ভালো লাগবে। রেসিপিটা আমি তৈরি করবো ভাবছি।
বাংলাদেশে স্টিট ফুড হিসাবে এই খাবারটি বেশ চলছে। তবে সেখানে আস্ত আলু এভাবে কেটে কাঠিতে ডুকিয়ে ডুবো তেলে ভেজে মশলা দিয়ে বিক্রি করে। আর বেশ ক্রিস্পি।এবং খেতেও বেশ মজা। আপনিও বেশ সুন্দরভাবে পটেটো ললিপপটি বানিয়েছেন স্বাস্থ্যকরভাবে কম তেল ব্যবহার করে। দেখে মনে হচ্ছে বেশ ক্রিস্পি হয়েছিল। আর খেতেও সুস্বাদু হয়েছিল মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আমার ছেলেও আলু দিয়ে তৈরি করা যে কোনো নাস্তা খেতে ভীষণ পছন্দ করে। আমিও মাঝে মাঝে তাকে বিভিন্ন ধরনের নাস্তা তৈরি করে দেই। তবে আলু দিয়ে এত সহজে এত সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করা যায় তা জানা ছিল না আপু। আপনার মেয়ের আবদারে দ্বিতীয়বারের মতো রেসিপিটা তৈরি করে আবার আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে। এরকম রেসিপিগুলো মাঝে মাঝে হুটহাট সকলের জন্যই তৈরি করা যায়।
এই খাবার গুলো বাচ্চারা অনেক বেশি পছন্দ করে আপু। তাইতো বারবার আবদার করে।আমার কাছে পটাটো ললিপপের রেসিপি টা বেশ ভালো লেগেছে।প্রত্যেকটা ধাপ সুন্দরভাবে শিখে নিলাম ছেলেকে বানিয়ে দিতে পারব। ধন্যবাদ আপু পটাটো ললিপপের রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
দারুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। মেয়ের বায়নায় এত সুন্দর একটি রেসিপি দেখার সুযোগ হলো।আলু দিয়ে এই ধরনের রেসিপি গুলো খেতে খুব ভালো লাগে। বাচ্চারা এই খাবারগুলো বেশি পছন্দ করে। যাইহোক দারুন একটি রেসিপি আপনার মাধ্যমে শিখে নিতে পারলাম আপু । ধন্যবাদ লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে বাচ্চারা কিছু আবদার করলে অবশ্যই রাখতে হয়। আপনার ছোট মেয়ের আবদারে বেশ লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। এই রেসিপিটা তো দেখছি খুব সহজেই তৈরি করা যাবে। বেশ ভালো লাগলো রেসিপিটা দেখে। এতো চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথম দিন কোন রেসিপি তৈরি করলে আসলে ফটোগ্রাফি করা আর হয়ে উঠে না। আসলে রেসিপিটি খেতে কেমন না কেমন হয় এটা একটা ব্যাপার।মেয়ের আবদারে দ্বিতীয়বারের মতো পটেটো ললিপপ তৈরি করে নিলেন।আর খেতে দারুন স্বাদের হয়েছিল। রেসিপিটি দেখে খুব ভালো লাগলো আপু। এ ধরনের রেসিপি গুলো বাচ্চাদের ভীষণ পছন্দ। ধাপে ধাপে তুলে ধরেছেন রেসিপিটি তাই যে কেউ এই রেসিপিটি চাইলে তৈরি করে নিতে পারবে।
প্রথমবারের সময় রেসিপির ধাপ গুলোর ফটোগ্রাফি না করা হলেও, আবার তৈরি করার সময় করেছেন দেখে ভালো লাগলো। খুবই মজাদার ভাবে পটেটো ললিপপ আবারো মেয়ের জন্য তৈরি করে নিলেন। দেখেই তো বোঝা যাচ্ছে এটা খেতে দারুন লেগেছে। এভাবে তৈরি করলে কিন্তু বাচ্চারা মজা করে খাবে।