আবছা
মন খারাপের কোন রাত-বিরাত নেই, যখন তখন দমকা হওয়ার মতো করে এসে সুস্থ মনে আঁচড় কাটতে পারে। বহুদিন বাদে রওনক এর সঙ্গে নাসিবের কথা।
যেহেতু পুরনো বন্ধু, তাই মাঝরাতে সবকিছু উপেক্ষা করেই দুজন মেসেঞ্জারে গল্পে জমে উঠেছে। শেষ ছয় মাসে মনে হয় এই প্রথম ওদের কথা হচ্ছে। তাই কথা যেন শেষই হচ্ছে না।
কথার শুরুটা যদিও টুকটাক আলাপচারিতা দিয়েই শুরু হয়েছিল, তবে শেষের দিকটাতে এসে বিষাদ যেন জাপটে ধরেছিল। এমনিতেই মাঝরাত, তার মধ্যে পুরনো বন্ধু, ভুল বোঝাবুঝি হঠাৎই কিভাবে যে শুরু হয়েছিল, তা যেন দুজনের কেউ বুঝতে পারেনি।
নিজেকে আড়াল করে রাখা দোষের কিছু না, তবে রওনক আড়াল করে কেন নিজেকে রাখে সেটা যখন নাসিব জানতে চেয়েছিল,এটাই যেন মাঝরাতে দুজনের মন খারাপের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
যদিও প্রত্যেকের ব্যক্তি জীবন থাকে, তাই একেকজন চেষ্টা করে নিজের ব্যক্তিত্বকে ভিন্নভাবে সকলের সামনে প্রকাশ করতে, তবে বিষয়টা যেহেতু বন্ধুত্বের তাই হয়তো একজন আরেকজনের গভীরতা খুঁজতে গিয়েছিল।
সময় গড়িয়ে যায়, জীবনের গতিপথ পরিবর্তন হয়, পুরনো বন্ধুগুলোও আর পুরনো থাকেনা তারাও নিজেদের রূপরেখা পরিবর্তন করে, যেটা হয়তো মুহূর্তেই নাসিব বুঝতে পারেনি।
তাই হয়তো এই মাঝরাতে মন খারাপের নিদারুণ কষ্ট সে সহ্য করছে, যদিও এ আঁধার কেটে যাবে, তবে তারপরেও যে অহেতুক ত্রুটি নিজেদের মধ্যে হয়ে গেল, তার রেশ কিন্তু বহুদিন থেকেই যাবে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
ভীষণ সুন্দর গদ্যের চলন। এতোদিন আপনার যত ব্লগ পড়েছি আজকের চলনে অনেকখানি সাহিত্য যোগ হয়ছে। এবং লেখার মধ্যেও সেই এক্স ফ্যাক্টর যোগ হয়েছে যা পাঠককে শেষ পর্যন্ত বসিয়ে রাখতে সক্ষম। পড়ার শেষে মিষ্টিমুখের মতো তৃপ্তি কাজ করছে। হৃদয়ের অতল হইতে বলিতেছি আপনার গদ্যটি নিটোল হইয়াছে এবং অত্যন্ত সুখ পাঠ্যও।
একটা টাইপো আছে।
মত, মত মানে হল মতা মত।[যখন তখন জামা কেনায় আমার মত নাই]
আর মতো মানে হল রকম বা সদৃশ। [জন্মদিনে টাটকা জুঁইফুলের মতো ভাত বেড়ে দিয়েছিলেন আমার মা। ] 😀😀
রাগ করবেন না। আপনার লেখনিগুলো পড়ি নিয়মিত। আরও সুচারু গদ্যের অপেক্ষা করি।
দিদি বানান ঠিক করে দিয়েছি।
আমি কৃতজ্ঞতা বোধ প্রকাশ করছি।
আসলে পুরনো বন্ধুদের সাথে এতো হিসাবনিকাশ করে কথা বলতে হয় না। তাছাড়া পুরনো বন্ধুদেরকে যেকোনো কিছুই জিজ্ঞেস করা যায়। কিন্তু রওনক ব্যাপারটা ভালোভাবে নেয়নি। এসবক্ষেত্রে নাসিব কেনো,যে কেউ কষ্ট পেতে পারে। নাসিব রওনক কে যতটা আপন ভেবেছে,রওনক হয়তো ততটা আপন ভাবতে পারেনি নাসিবকে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কে কাকে কিভাবে নেয় তা তো বলা খুব মুশকিল ভাই, সবাই তো মুখোশ পড়ে থাকে।