তিনটি উদ্ভিদের ফটোগ্রাফি🥰
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো গ্রামের মাঠে ঘাঠেও ফসলের জমিতে থাকা কিছু উদ্ভিদফুলের ফটোগ্রাফি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রথম ফটোগ্রাফি
কানশিশা ফুল কমবেশি আমাদেরই সকলের পরিচিত একটি ফুল।কানশিশায় অনেক ঔষধি গুণও রয়েছে।এই ফুলের নাম দন্ডকলসও দলকলস নামে পরিচিত। অঞ্চল ভেদে এই গাছের আলাদা আলাদা নাম হয়ে থাকে।কাশিশা গাছে রয়েছে ভেজস গুণ।ভেজষ চিকিৎসায় এই উদ্ভিদ গুলো খুবই জনপ্রিয়।মধুভরা ফুলে ভ্রমরের আনাগোনা ও কিট পতঙ্গের আনাগোনায় বাতাসে দোল খায় এই উদ্ভিদ টি।গ্রাম অঞ্চলে এই কানশিশা গাছ ছোট অবস্থায় শাক হিসেবে খেয়ে থাকে।কানশিশা শাক খেলে না কি ব্যাথা উপসম করে।সবুজ পাতার এই উদ্ভিদটির শুভ্র সুন্দর ছোট ছোট ফুল হয়ে থাকে ছোট বেলায় এই ফুলের মধু খেতাম এবং বিনে সুতার মালা গেঁথে চুলে লাগাতাম।
দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি
করোলা খুবই পছন্দের একটি সবজি।তেঁতো স্বাদের এই সবজিটিতে অনেক পুষ্টিগুণ।করলায় রয়েছে চিনি কমানোর উপাদান। ডায়াবেটিস রোগির রক্তে চিনির পরিমাণ কমিয়ে দেয় তাই ডায়াবেটিস রোগিদের জন্য করোলা ভীষন উপকারী।করোলা ফুল দেখতে খুবই সুন্দর। হলুদ রঙ্গের ছোট ফুলটি দেখতে খুবই সুন্দর ও নজর কারে।ফুল থেকে আস্তে আস্তে করলা ফল হয় যা সবজি হিসেবে খেয়ে থাকি আমরা। করলা তেঁতো হলেও সকলের পছন্দ সবজি।
তৃতীয় ফটোগ্রাফি
শেয়ালমুতি ফুলের গাছ কে অঞ্চল ভেদে ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকা হয়।শেয়াল মুতি গাছেও ভেজষগুণ রয়েছে। শেয়াল মুতি গাছ ও ডালিম গাছের রস এক সাথে বেঁটে রস করে খেলে পাইলসের উপকার হয়। এই গাছটি আনাদরে অবহেলায় জঙ্গলে বেড়ে ওঠে।ফুলগুলো অনেক সুন্দর সাদা কালারের থোকা থোকা হয়ে থাকে।আজকে আমি দু প্রকারের শেয়াল মুতি গাছের ফুল দেখলাম সাদা ও গোলাপি।সচারাচর সাদা দেখতে পাওয়া যায় গোলাপি নয়।
ফটোগ্রাফি করার সময় হঠাৎ দেখতে পেলাম একটি লেডিবাগ পোকা ফুলে ফুলে ঘুরছে তাই একটু ভিডিওগ্রাফি করে নিলাম ও আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম।
ভিডিও লিংক
এই ছিলো আমার আজকের চমৎকার সুন্দর ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি
আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে আজও মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে।
সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
ছোট বেলায় আমি এবং আমাদের গ্ৰামের ছেলেরা সহ আমরা কানশিশা ফুলের মধু চুষে চুষে খাই ছিলাম। আসলে কানশিশা ফুলের মধু অনেক টা মিষ্টি। আজকে দীর্ঘ দিন পর কানশিশা ফুলের দৃশ্য দেখতে পারলাম। মনে পড়ে গেল সেই ছোট্ট বেলার স্মৃতি।
আমিও খেয়েছি বহুবার ভাইয়া সত্যি অনেক মিষ্টি কানশিশা ফুলের মধু।
আপু আজ আপনার উদ্ভিদের তিনটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। তিনটি গাছের মধ্যে দুটি গাছি আমার অপরিচিত ছিল। আজ আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে এই দুটি উদ্ভিদ গাছ দেখে নিলাম। আসলে এই জন্য ফটোগ্রাফি পোস্টগুলো আমার ভীষণ পছন্দ। এখানে অনেক অজানা ও অদেখা দেখতেও পাওয়া যায় আবার চেনা যায়। আপনার ফটোগ্রাফির মাঝে প্রথম উদ্ভিদ গাছটি দারুন লেগেছে আমার কাছে।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।
শেষের ফুলটাকে আমাদের দিকে নাকফুল বলে আপু। এগুলো কিন্তু ভালো ঔষধীগুণ সম্পন্ন। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তিনটি ফুলের ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম।
দারুণ নাম তো।সত্যি কিন্তুু নাকফুলের মতোই দেখতে ফুলটি।
তিনটি উদ্ভিদের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনি দারুন একটি উদ্যোগ নিয়েছেন আপু। আপনি আজকে ইউনিক কিছু উদ্ভিদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। আপনি ফটোগ্রাফির পাশাপাশি দারুন বর্ণনাও দিয়েছেন সব মিলিয়ে দারুন হয়েছে । ধন্যবাদ আপু আপনাকে
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।
আপনার শেয়ার করা তিনটি উদ্ভিদের ছবি দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনি যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আজকের পোস্টে ইউনিক এবং অদ্বিতীয় উদ্ভিদ গুলো নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা এবং ফটোগ্রাফি উভয়ই অত্যন্ত সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে, অনুপ্রেরণা মূলক আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
প্রথমে দেখতে পেলাম কানশিশা ফুলের ফটোগ্রাফি। কানিশিসা নাম শুনে আমি প্রথমে বুঝতেই পারিনি এটা কি। পরে আপনার বর্ণনা পড়ে জানতে পারলাম দ্বন্ডকলসের গাছকে কানশিশা বলা হয়। এগুলো সত্যি খুব পরিচিত উদ্ভিদ। আমাদের এদিকেও সকলে এটা খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি বেশ ভালো হয়েছে। আমাদের এদিকে এখন আর কানশিশা খুব একটা পাওয়া যায় না।
কানশশিশা ফুলের গাছের অঞ্চল ভেদে নানান নাম হয়ে থাকে।
এই সময় পথের প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের অজানা গাছের দৃশ্যপট দেখতে পাই। যেগুলোর ফুল ফুটে থাকে এই সময় দেখতে দারুণ লাগে। আপনি তিনটি উদ্ভিদের দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন।
অনেক ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া পথে প্রন্তরে বিভিন্ন ধরনের অজানা গাছের দেখা মেলে।
আপু আপনি খুব সুন্দর তিনটি উদ্ভিদ এর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। তিনটি গাছ খুবই পরিচিত কিন্তু এদের নাম জানা ছিল না। তবে প্রথম গাছের ফুল ছিঁড়ে আমরা মধু খেতাম। যার জন্য একে মধু গাছ নামেই চিনতাম। বাকি দু'টো গাছ ও খুব দেখেছি কিন্তু নাম জানা নেই। গ্ৰামে গেলে রাস্তার পাশে এই ধরনের গাছের অভাব নেই। এই গাছগুলো ঔষধি গুণে ভরপুর জানা ছিল না। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমিও এই ফুলের মধু খেতাম এখনো খাই ও আমার মেয়েকে খাওয়া শেখাই খুবই সুমিষ্ট এই ফুলের মধু।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।