অরিগ্যামিঃতলোয়ার তৈরি।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
কেমন আছেন সবাই? আশাকরি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।প্রত্যাশা করি সবাই সবসময় ভালো থাকেন,নিরাপদে থাকেন। আজ ২ রা চৈত্র, বসন্তকাল ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।১৬ই মার্চ ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ। আজ একটি অরিগ্যামি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
বন্ধুরা,আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিং এ আজ নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম।প্রতি সপ্তাহে ন্যায় আজও একটি অরিগ্যামি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আজ আমি একটি তলোয়ারের অরিগ্যামি তৈরির পদ্ধতি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। যদিও বেশ কয়েকটি ভাঁজ দিয়ে তলোয়ারটি বানিয়েছি। ভাঁগুলো বেশ সহজ কিন্তু বর্ণনা করা বেশ কঠিন। তাই ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝে নিতে হবে তলোয়ার বানানোর পদ্ধতিটি।অরিগ্যামি যেহেতু ভাঁজের খেলা তাই বেশ সাবধানে ভাঁজগুলো দিতে হয় ।তা না হলে নস্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমি এই তলোয়ারটিও বানিয়েছি কাগজটিকে বিভিন্নভাবে ভাঁজ করে। কোন ধরনের গাম বা কাঁচি ব্যবহার করেনি। অরিগ্যামিটি বানাতে উপকরণ হিসাবে সবুজ রং এর কাগজ ব্যবহার করেছি । তাহলে চলুন, দেখে নেয়া যাক, তলোয়ার এর অরিগ্যামি তৈরির বিভিন্ন ধাপ সমূহ। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের।
উপকরণ
১।রঙ্গিন কাগজ।
তলোয়ার তৈরির ধাপ সমূহ
ধাপ-১
প্রথমে ২০ইঞ্চি X৮ইঞ্চি সাইজের এক টুকরো সবুজ রং এর কাগজ নিয়েছি তলোয়ার এর অরিগ্যামি বানানোর জন্য।
ধাপ-২
কাগজটিকে প্রথমে মাঝ বরাবর ভাঁজ করে নিয়েছি।
ধাপ-৩
কাগজের দু'কোনা মাঝ দাগ বরাবর ভাঁজ করে নিয়েছি। যেভাবে প্লেন বানানোর জন্য ভাঁজ করা হয়।
ধাপ-৪
এবার দুপাশের কাগজ মাঝ দাগ বরাবর ভাঁজ করে নিয়েছি।
ধাপ-৫
পুনরায় দু'পাশের কাগজ মাঝ দাগ বরাবর ভাঁজ করে নিয়েছি।
ধাপ-৬
এবার দ্বিতীয় ভাঁজটি খুলে প্রথমে যে কোনা করে ভাঁজ করেছিলাম সেই বরাবর ভাঁজ করে নিয়েছি।
ধাপ-৭
এবার ছবির মতো করে কাগজটিকে পরপরভাবে ভাঁজ করে নিয়েছি।
ধাপ-৮
এক্ষেত্রে ভাঁজ গুলো বর্ণনা করা বেশ কঠিন তাই ফটোগ্রাফির মাধ্যমেই বুঝানো চেস্টা করেছি।
ধাপ-৯
আবারও কাগজটিকে ছবির মতো পরপর ভাঁজ করে নিয়েছি তলোয়ারের হাতল বানিয়ে নিয়েছি। আর এভাবেই সম্পূর্ণ তলোয়ারটি বানিয়ে নিয়েছি।
উপস্থাপন
আশাকরি আমার আজকে বানানো তলোয়ারের অরিগ্যামিটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আজ এই পর্যন্তই। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। নিরাপদে থাকুন।শুভ রাত্রি।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | অরিগ্যামি |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @selina 75 |
মোবাইল | Samsung A-10 |
তারিখ | ১৬ই মার্চ, ২০২৫ইং |
লোকেশন | ঢাকা। |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/selina_akh/status/1901323710231195998
Daily task
অরিগামি পোস্ট গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি আজকে সবুজ রঙের কাগজ ব্যবহার করে অনেক চমৎকার একটি তলোয়ার তৈরি করেছেন দেখতে খুবই ভালো লাগছে। প্রতিটি ধাপ বিস্তারিতভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমারও বেশ ভালো লাগে বিভিন্ন জিনিস এর অরিগ্যামি বানাতে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
শুধুমাত্র কাগজ ভাঁজ করে কত সুন্দর তলোয়ার তৈরি করেছেন আপু৷ আপনার বানানো তলোয়ার তো মনে হচ্ছে যুদ্ধে যাবার জন্য প্রস্তুত। হে হে হে৷ তবে যেভাবে ধাপে ধাপে সম্পূর্ণ তলোয়ার বানানোর পদ্ধতিগুলি দেখালেন, তা ভীষণ সুন্দর হয়েছে৷ দারুণ একটি অরিগ্যামি পোস্ট শেয়ার করেছেন আমাদের সঙ্গে৷
খেলনা যুদ্ধে যেতে পারবে তলোয়ারটি নিয়ে।
দারুণ তরোয়াল বানিয়েছেন দেখছি।এরকম তরোয়াল রাজা বাদশাদের ছিলো আগে।রঙ্গিন কাগজ দিয়ে চমৎকার সুন্দর করে তরোয়াল বানিয়েছেন। ধাপে ধাপে তরোয়াল বানানো পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু আগে রাজা বাদশারা এই ধরনের তলোয়ার ব্যবহার করতে যুদ্ধে।
রঙিন কাগজ বিভিন্ন ভাবে ভাঁজ করে অনেক সুন্দর একটা তলোয়ার তৈরি করেছেন আপনি আজকে। এ তলোয়ারটি কিন্তু খুবই কিউট ছিল। রঙিন কাগজ দিয়ে এভাবে কোনো কিছু তৈরি করা হলে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। ভাঁজে ভাঁজে এগুলো তৈরি করা কিন্তু খুবই সময়ের ব্যাপার। কিন্তু তৈরি করার পর দেখতে অনেক ভালো লাগে।
সবচেয়ে বেশি কঠিন হলো কাগজের ভাঁজের বর্ণনা করা। বানাতে তবু সহজ।
এই ধরনের সুন্দর সুন্দর অরিগ্যামি গুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনার শেয়ার করা আজকের এই তলোয়ার আমার তো দারুন পছন্দ হয়েছে। দেখতে কিন্তু অনেক বেশি কিউট লাগছে। ভাঁজে ভাঁজে দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এগুলো তৈরি করার পর, উপস্থাপনার মাধ্যমে শেয়ার করা কিন্তু কষ্টকর। আপনি এত সুন্দর করে তৈরি করেছেন এটা দেখে ভালো লেগেছে।
তলোয়ারটি যে আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।