ফাইনালি ছুটি!

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আমার কাছে বর্তমানের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি কিংবা খারাপ অবস্থা কি সেটা যদি বলা হয়। তাহলে আমি এতদিন বলতাম যে আমার যে ইউনিভার্সিটি খোলা সেটাই হলো আমার জন্য বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি। কারণ আসলে ইউনিভার্সিটি যদি কাছে থাকতো। তাহলে এই কথাটি আমি একেবারেই বলতাম না। কিন্তু রোজার সময়ে আসলে ইউনিভার্সিটি তে যাওয়া প্রচণ্ড কষ্টকর হয়ে যাচ্ছিলো আমার জন্য। এতদিন স্কুল ,কলেজ কি করে তাহলে পার করে আসলাম ,তাই তো?

আসলে স্কুল ,কলেজ ,কোচিং কিংবা প্রাইভেট এসবের কথা যদি বলি। তাহলে কিন্তু এগুলো আমাদের নিজেদের ঘর থেকে খুব একটা দূরে হয় না। আর যাদের অনেক বেশি দূরে সাথে সাধারণত। অর্থাৎ তারা সাধারণত হোস্টেলে থাকে অর্থাৎ বলা চলে যে নিজের থাকা জায়গা থেকে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনেক বেশি দূরে এমনটা কিন্তু খুব একটা হয় না। আর সে কারণেই আসলে আমাদের স্কুল ,কলেজ ,কোচিং ,প্রাইভেট এই জায়গাগুলোতে যেতে খুব একটা কষ্ট হতো না। আর যদি হতো ,সেটা সহ্য করে নেওয়ার মতোন ছিলো। অর্থাৎ বলা চলে যে যেহেতু আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের কাছাকাছি ছিলো। সেক্ষেত্রে আসলে যাতায়াত এ খুব একটা কষ্ট হতো না। আর সাধারণত আমাদের স্কুলে আমরা একটি ক্লাসে বসে ক্লাস করতাম। তো সে ক্ষেত্রে আসলে বিষয়গুলো খুব সহজ হয়ে যেতো আমাদের জন্য।

ইউনিভার্সিটির ক্ষেত্রে বিষয়গুলো কিন্তু তেমন নয় কিংবা কলেজের ক্ষেত্রে হয়তো আলাদা আলাদা রুমে ক্লাস করতে হতো। কিন্তু ভবনগুলো কাছাকাছি ছিলো কিংবা একই ভবনেই ক্লাস করতাম। কিন্তু আমার ইউনিভার্সিটির কথা যদি বলি। তাহলে সেটা অনেকবার বলেছি। সেটা হলো ,আমি থাকি শহরে আর আমার ইউনিভার্সিটি হলো একেবারে চট্টগ্রামের শেষ মাথায় অর্থাৎ গ্রামে। আর তার একটু পরে গেলে সন্দ্বীপে যাওয়ার রাস্তা পাওয়া যায়। আর সে কারণেই আসলে আমার যেতে অনেক বেশি কষ্ট হতো। আর তার চেয়েও বড় ব্যাপার হলো , রোজা রেখে একটা মানুষের পক্ষে তিন-চারটি ভবনে ছয় থেকে সাত তলা পর্যন্ত সিঁড়ি ভাঙ্গা কি পরিমাণ কষ্ট। সেটা কেউ ফিল কখনো করেছে কিনা আমার জানা নেই। কিন্তু আমার যে কি পরিমাণ তীব্র কষ্ট হতো। সেটা আসলে বলে বোঝাতে পারবো না।

তাই বর্তমানে আসলে ঈদের ছুটি দিয়েছে। যেটা অনেক বেশি শান্তির আমার জন্য। কারণ ঈদের ছুটি যদি না দিতো।তাহলে আসলে বিশাল কষ্ট হয়ে যেতো।অর্থাৎ আসলেই একেবারেই মানা যাচ্ছিলো না এতো বেশি কষ্ট হচ্ছিলো এই কয়েকদিন। অর্থাৎ রোজা রেখে ওই যে বললাম ক্যাম্পাস যদি কাছে হতো তাহলে হয়তো এই কষ্টগুলো হতো না। কিন্তু এখন ছুটি দেওয়ার পরে মনে হচ্ছে যে এবার যেনো একটু হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। অর্থাৎ ছুটিটা অন্ততপক্ষে এখন এসে পেয়েছি।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।