শুভ দোলযাত্রা ও হোলি!
নমস্কার বন্ধুরা,
"ওরে গৃহবাসী খোল্, দ্বার খোল্, লাগল যে দোল।
স্থলে জলে বনতলে লাগল যে দোল।
দ্বার খোল্, দ্বার খোল্॥"
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত এই গানটির লাইন শুনলেই, মন আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। আসন্ন দোলযাত্রার জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়। কোথাও বা দোলযাত্রা, কোথাও হোলি নামে পরিচিত। বসন্তে পালিত হওয়ার এই উৎসবটির শুরু প্রায় ৭,০০০ বছর পূর্বে। তিন দিনের উৎসব শুরু হয় হোলিকা দহন বা ন্যাড়া পোড়ার মাধ্যমে যা তৃতীয় দিনে হোলি হয়ে অনুষ্ঠানের অন্ত হয়। মূলত পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হওয়া প্রথম দিনের হোলিকা দহন, ভগবান শ্রী কৃষ্ণের ভক্ত প্রহ্লাদ ও তার পিসি রাক্ষসী হোলিকার পৌরাণিক কাহিনির সঙ্গে জড়িত। যা ভালো ও মন্দের চিরন্তন লড়াই এবং সত্যের জয়ের প্রতীক।
দোলযাত্রা মূলত বসন্ত ঋতুর বার্তা বহন করে আনে যদিও বর্তমানের বসন্ত ঋতুর পরিবর্তে গ্রীষ্ম বললেই চলে। ভারত তথা বাংলার সংস্কৃতিতে দোলযাত্রার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে, এই দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও রাধা রানীর অনন্ত প্রেমের স্মরণে আবির ও রঙের খেলা হয়। সেই সাথে দোলযাত্রার আরেক অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো প্রাণোচ্ছল পরিবেশ। দোলের দিন হয় শুকনো আবীরের উৎসব এবং তারপর দিন হোলি, যা ভেজা রং দিয়েই খেলা হয়।
দোলযাত্রার বঙ্গে আরেকটি তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই উৎসবকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন শান্তিনিকেতনে 'বসন্তোৎসব' হিসেবে পালন করে। ফলস্বরূপ দোল শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠানে থেমে যায়নি, আমাদের সাথে সাংস্কৃতিক ভাবেও ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গেছে। কবিগুরুর প্রথা মেনে আজও শান্তিনিকেতনে রঙ, নৃত্য ও সংগীতের মাধ্যমে বসন্তকে বরণ করে নেওয়া হয়। আর সেটা দেখবার জন্য আসেন বহু পর্যটক। আমি যদিও দোল এবং হোলি বাড়িতেই কাটাই। প্রতিবারের মতো এবারেও ঈশ্বরের পায়ে আবীর দিয়ে বাড়ির সকল গুরুজনের পায়ে আবীর দিলাম। ছোটবেলায় হোলির দিন রং মেখে ভূত হয়ে যেতাম, এখন আবীর নিয়েই খুশি থাকি।
দোল ও হোলি শুধুমাত্র উৎসব নয়। প্রেম, মানবতার উৎসব। আসুন আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই রঙিন করে তুলি, রংয়ের উৎসবে মেতে। ভালোবাসার রঙে রাঙিয়ে দিই সবাইকে!
"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির প্রথম MEME Token : $PUSS by RME দাদা
"আমার বাংলা ব্লগের" প্রথম FUN MEME টোকেন $PUSS এখন SUNSWAP -এ লিস্টেড by RME দাদা
X-প্রোমশনের ক্ষেত্রে যে ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন,
@sunpumpmeme @trondao $PUSS

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
হ্যাঁ দাদা এখন তো গ্রীষ্মকাল চলে এসেছে। যাইহোক বাড়ির সকল গুরুজনের পায়ে আবীর দিয়েছেন,জেনে খুব ভালো লাগলো। হোলি উৎসবটা আমার কাছে দারুণ লাগে। একে অপরকে রং দিয়ে সবাই কতো মজা করে। বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
সত্যিই এখন অনেক দিন হলো প্রকৃতি ঠিক বসন্তকাল বলে কিছু নেই। তবুও উৎসব তো আসে। দোল উৎসব হলো রঙের উৎসব। প্রকৃতিতে বিভিন্ন রং ছেয়ে থাকে আর মানুষ মানুষকে রঙ লাগিয়ে উৎসব পালন করে। উৎসব মানেই তো মিলন। এবং আনন্দ যাপন। এটাও সেরকমই। আপনাকেও দোলযাত্রা শুভকামনা জানাই।
দোলযাত্রা ঠিক আপনার মত আমারও একই ভাবে কাটে। ঠাকুরের পায়ে আবির দিয়ে তারপর বড়দের পায়ে আবির দিয়ে দিনটি কেটে যায়। দোল খেলতে খুব একটা পছন্দ করি না। যদিও এইবারে অফিসে প্রচুর পরিমাণে রং মাখিয়ে দিয়েছিল। দোল বিষয়ক আপনার এই পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো।