আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ - ৭৫
আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।
আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।
আজকের বিষয়ঃ
পেটুক বন্ধুকে নিয়ে মজার কোন জোকস বা অনুগল্প।
বিষয় নির্বাচনকারীঃ
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
- এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
অনুগল্প:
গতকালের কথা,আমরা আলাদা আলাদা কলেজ থেকে ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছি।সুতরাং এই স্বল্প সময়ে হয়তো সবাইকে ঠিকভাবে চেনাও হয়নি কারোর।কিন্তু টিফিনের সময় আমরা তিনজন একটি দোকানে গেলাম খাবার কিনতে।বাকি দুজনের টিফিন খাওয়া কমপ্লিট তাই তারা এমনিই আমার সঙ্গে গেল।তো একজন বান্ধবী বললো---তুই এই বিস্কুটটি নে ভালো হবে।
তখন আমি বললাম---তাহলে তুই দোকানদারকে বল,তাছাড়া দোকানে বেশ ভীড়ও ছিল।
তখন সে বললো---তুই তো এভাবে বাইরে চলতেই পারবি না।
যাইহোক আমি এক প্যাকেট বিস্কুট কিনলাম।কিন্তু হঠাৎ ওই বান্ধবী বলে উঠলো---তুই আমাকে টাকা দে, আমি একটা কেক খাবো।ক্লাসে গিয়ে আমি টাকা দিয়ে দেব।
যেহেতু আমার কাছে টাকা ছিল তাই আমি টাকাটা দিয়ে দিলাম।তখন সে কেক কিনে নিজে খেলো ও অপর বান্ধবীকে দিলো।আমিও বিস্কুটের প্যাকেট থেকে অপর বান্ধবীকে বিস্কুট দিয়ে তারপর খেলাম।কিন্তু সেই বান্ধবী তার কেকটি খাওয়া শেষ করে আমার বিস্কুটের প্যাকেটের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে দিলো।তখন অবশিষ্ট একটি মাত্র বিস্কুট ছিল,ও সেটা নিয়ে এক কামড় দিয়ে নিয়ে আবার বিস্কুটটি রেখে দিলো প্যাকেটে।তখন আমি ওকে দিয়ে দিলাম সেই বিস্কুটটি খাওয়ার জন্য।তারপর সবাই মিলে ক্লাসে চলে গেলাম।স্যার আমাদের ক্লাস নেওয়া শুরু করলো,ক্লাস শেষ করেই আমরা বেরিয়ে পড়বো কারন ট্রেন ধরতে হবে তাড়াতাড়ি।
ক্লাস শেষ হয়ে গেল তবুও ও আমাকে টাকা দিলো না তখন আমি ওর কাছে চাইলাম।টাকাটা দেওয়ার তো নাম-ই নেই বরং উত্তরে সে বললো---তুই এখনই নিবি।যেহেতু এক সপ্তাহ পরে অর্থাৎ স্বরস্বতী পূজা শেষ হলে তবেই আমরা আবার ইউনিভার্সিটিতে আসবো।তাই আমি বললাম ---হ্যাঁ।তখন ও আমাকে টাকাটা ফেরত দিলো,তখন আমি মনে মনে বললাম---এভাবেই বুঝি বাইরে চলতে হয়।☺️☺️
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP
বন্ধু অসুস্থ জন্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছিলাম,ডাক্তার পরীক্ষা করে বলল ডায়াবেটিস,নিয়ম মেনে খেতে হবে। সকালে দুইটি রুটি রাতে দুইটি রুটি খাবেন। বন্ধু সরাসরি জিজ্ঞেস করছিল, রুটি কি ভাত খাবার আগে খাব নাকি ভাত খাবার পরে। ডাক্তার আমারে বলে আপনার বন্ধুর আশা বাদ দেন।
সে ভাত খাওয়া ছাড়ান দিতে পারবে না,হা হা হা।😆
আপনার বন্ধু তো দেখতেছি, ফলহীন বৃক্ষের একেবারে মগডালের মতই🤣🤣।
যে জীবনে খাওয়া দাওয়া কন্ট্রোল করতে হয় সেই জীবন রেখে কি লাভ। জীবনে খাওয়া-দাওয়া করে মরে যাওয়াই ভালো। মানুষতো এমনিতেই মরে যায় 😁😁।
একদম ঠিক ভাই।
আমি আর জাকারিয়া এক বন্ধুর বিয়েতে গেছি। তো নিয়ম অনুযায়ী আমরা সবার সাথে খেতে বসেছি। আমি প্লেটের ভাত শেষ হলে দ্বিতীয় বার ভাত নিতে গেলে জাকারিয়া বলে কিরে ভাত নিস কেন...?
আমি বললাম ভাত খাবো না...? জাকারিয়া বলে দাওয়াতে এসে ভাত কম খেতে হয়, শুধূ গোস্ত খা, শুধু গোস্ত খা....হা হা হা।😄😆
আপনার বন্ধু আপনাকে একেবারে হেব্বি ডাইলোগ বলেছে, গোস্ত খা,গোস্ত খা 🤭😆😆।
জাকারিয়া ভাই ভালো কথা বলেছে, দাওয়াতে এসে ভাত কম খেতে হয়, শুধূ গোস্ত খেতে হয়😁😄।
একদিন দুই পেটুক বন্ধু—রবি আর কবির—রেস্টুরেন্টে খেতে গেল।
রবি: ভাই, আজ কিন্তু হালকা খাবো!
কবির: হুম, আমিও!
ওয়েটার এল, রবি বললো: "দুইটা বিরিয়ানি, চারটা কাবাব, তিনটা নান রুটি, সাথে লাচ্ছি!"
কবির বললো: "আর আমার জন্যও একই অর্ডার, তবে হালকা করে দিয়েন!"
ওয়েটার অবাক হয়ে বললো: "হালকা মানে?"
কবির মুচকি হেসে বললো: "ডেজার্ট বাদ রাখেন!" 😆😂
ওয়েটার বুঝে নাই সে বেশি খেতে পারে না হালকা করে খায় 😄😁।
অনুগল্প:
আম্মা নতুন চালের খোলাজালি পিঠা তৈরি করছে পরিবার সকলের জন্য । পরিবারের প্রত্যেকের জন্য তিনটা করে। আমার বন্ধু আকাশ সকাল সকাল আমাদের বাড়িতে আসলো। আমার আম্মা আকাশকে দেখে বললো বাবা টেবিলে বসো নাস্তা করতে তাকে খেজুরের রস, নারিকেল আর চিনি দিলো। আর ১২ টা খোলাজালি পিঠা রান্নাঘর থেকে নিয়ে এসে বললো, এখানে পিঠা আছে খেজুরের রস, নারিকেল আর চিনি দিয়ে খাও। আর আমাকে বললো আজিম মুখ ধুয়ে নেয় নাস্তা করতে। আমি আম্মাকে বললাম, এইতো আম্মু মুখ ধুয়ে আসছি। আমি মুখ ধুতে গেলাম আর আম্মা গেলো রান্না ঘরে আরো কয়েকটি পিঠা তৈরি করা বাকি আছে তা তৈরি করতে। আমি মুখ ধুয়ে এসে দেখি আকাশ পিঠা খাচ্ছে খেজুরের রস দিয়ে। পিঠা একটা বাকি আছে। পিঠা একটা দেখে আম্মাকে বললাম, আম্মা পিঠা দেন। আম্মা বললো টেবিলের উপর যেগুলো আছে ঐ গুলো থেকে খেয়ে নেয় । এই তিনটা তোর আব্বুর জন্য। আমি আম্মুকে বললাম ,আম্মু টেবিলে পিঠা একটা আছে । আম্মু বললো কি বলিস ? আমি বারোটার পিঠা রেখে আসলাম ভালো করে দেখ। আমি আবারও বললাম, আম্মু পিঠা একটা আছে। তখন আম্মু এসে দেখে একটা পিঠা। আম্মু আকাশকে জিজ্ঞেস করলো বাবা এখানে আর কেউ এসেছে? তুমি হয়তো একটা দুইটা খেয়েছো তাহলে আর গুলো পিঠা গেলে কোথায়? আমি তো এখানে অনেক পিঠা রেখেছি । তখন আম্মুকে আমি বললাম, সে তো একটা খেয়েছে আমি এখনো খাই নি। তখন আম্মু বেশ চিন্তিত হয়ে পড়লো আম্মু নিজে নিজে বলছে, এখানে রাখলাম পিঠা কোথায় গেলো? তখন আমার বন্ধু আমাকে ইশারা দিয়ে বললো সে সব পিঠা খেয়ে নিয়েছে। তখন আমি খুবই আচার্য হলাম। তখন আম্মাকে বললাম আম্মা পিঠা গুলো মনে হয় বিড়ালের নিয়ে গেছে। আম্মু বলে কি বলিস? এতো গুলো পিঠা কিভাবে নিয়ে যায়। তখন আমি বললাম মনে হয় সারারাত ধরে বিড়াল ইঁদুর মারতে পারে নাই তাই সেই রাগ করে সব পিঠা নিয়ে গেছে। তখন আম্মা বললো, আমি লাঠি খুঁজে বের করছি দেখি বিড়াল কিভাবে আসে?
অনুগল্প:-
একদিন শামীম আর আমি বিরিয়ানি হাউজে বিরিয়ানি খেতে গেলাম। শামীমের বাসা অবশ্য গ্রামে তাই সে কখনো বিরিয়ানি খায়নি। তাই ওকে নিয়ে বিরিয়ানি হাউজে ঢুকে দুজনের জন্য দুটি বিরিয়ানি নিয়ে নিলাম। দুজনে খাচ্ছি, খাওয়ার এক পর্যায়ে লক্ষ্য করে দেখলাম আমার অর্ধেক শেষই হয়নি তাতেই শামীমের পুরো প্লেট ফাঁকা 😲। ওয়েটারকে বললাম ভাই ওরে আরো দুইটা বিরিয়ানি দেন। আবার শামীম খাওয়া শুরু করলো। আমার এক প্লেট খেতে খেতেই দেখতেছি শামীমের আরো দুই প্লেট খাওয়া হয়ে গেছে 😣। আমাক বলতেছে ভাই জীবনেও এরকম খাবার খাইনি আর পাঁচটা বিরিয়ানি অর্ডার দেনা ভাই খাই 😬। আমি তো অবাক হয়ে গেলাম😫। যাই হোক আমি আবার পাঁচটা বিরিয়ানি অর্ডার দিয়ে দিলাম। আমি ওখানে বসে থাকাতেই শামীম আরো দুইটা বিরিয়ানি খেয়ে ফেললো🤠। পাঁচটা বিরিয়ানি খেয়ে শামীম অজ্ঞান হয়ে গেলো। ডক্টরের কাছে নিয়ে গেলাম তাকে।
একটু জ্ঞান ফিরতেই আমাক কানের কাছে ডেকে নিয়ে গিয়ে বলতেছে, ভাই আর এক একটা বিরিয়ানি দেনা ভাই খাই🤣। আমি তো অবাক🤔। আর ভাবতেছি এদিকে জীবন বাঁচেনা আর পেটুক বেটা খাওয়ার নেশা ছাড়তে পারে না😂😂😂।
ভাই তার জীবনের শেষ ইচ্ছা বিরানি খাওয়া 😁😄😁।
এক বড় ভাইয়ের শ্বশুরবাড়িতে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল। তবে সেখানে আমি বড় ভাই ও আরেকটা ফ্রেন্ড যাচ্ছিলাম। আমরা সবাই মোটামুটি খাবার বেলায় দুর্বল। তখন বড় ভাই আমাদের আরেক বন্ধুকে যেতে বলল যে খাওয়া-দাওয়ায় বেশ ভালো ধরতে গেলে পেটুক মশাই। অবশেষে সবাই মিলে সিএনজি করে চলে গেলাম তার শশুর বাড়িতে। বড় ভাইয়ের শশুর বাড়িতে অনেক ধরনের খাবারের আইটেম করেছিল বেচারা পেটুক বন্ধু খেতে খেতে এমন লোড হয়েছে পরে সে আর নড়াচড়া করতে পারছে না।তখন বড় ভাই বলে, না ঠিক আছে এইবার পোষাইছে।আর এই কথা শুনে আমরা সবাই হাসতেছি।