অচেনা ডাক ( পর্ব ১ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে একটি গল্প শেয়ার করে নেবো। এই গল্পটির নাম হলো "অচেনা ডাক"। এক গভীর রাতের কথা, অতনু নামের একটি ছেলে সারাদিন কাজ সেরে ক্লান্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে ঘুমানোর জন্য সে তার বিছানায় শুয়ে পড়ে। অনেক ঘুমানোর চেষ্টা করলেও কেন জানি তার ঘুম আসে না। এদিকে বাইরের হিমেল হাওয়ায় জানালা দুটি দুলছে। এমন মুহূর্তে ওই গভীর রাতে হঠাৎ করেই তার ফোনে একটা কল আসে, রিংটোন বাজতেই থাকে একভাবে। অতনু ফোনটা তুলে দেখে স্ক্রিনে তার চেনা কোনো নম্বর থেকে কল আসেনি, আর অচেনা নম্বর হলেও তাতে কোনো নম্বর দেখা যাচ্ছে না। শুধু তার ফোনের স্ক্রিনে প্রাইভেট নম্বর বলে লেখা উঠছে। অতনু দ্বিধা দন্দে পড়ে যায় যে, সে আসলে কি করবে এই রাতে ফোন তুলবো না রেখে দেব।
এইভাবে আরো একবার কল আসে এবং সে না ধরে আর পারলো না। ধরে "হ্যালো" বললে কেউ কোনো কথা বলে না। যেন একটা গভীর নিরাবতা, কিন্তু হাওয়া বইলে যেমন একটা ফিসফিসানি আওয়াজ হয়, সেইরকমই একটা অদ্ভুত ফিসফিসানি আওয়াজ হতে থাকে। অতনুর কপাল ঘেমে যায় ভয়ে। কিন্তু সে পরে নিজেকে সান্তনা দেয় যে, কেউ হয়তো মজা করছে এতো রাতে, এই বলে ফোনটা রেখে দেয়। এইভাবে রাতটা কেটে গেলো। কিন্তু পরেরদিন রাতে ঠিক একইরকম ঘটনা, সেই প্রাইভেট নম্বর থেকে আবারো কল আসে। এইভাবে রাতের দিকে বারবার ফোন করায় অতনু বিরক্ত হয়ে গেলো, আর এটা স্বাভাবিক গভীর রাতের দিকে এইভাবে বারবার কোনো ফোন করলে সে বিরক্ত হবেই।
অতনু রেগে গিয়ে ফোনটা তুলে বললো এইভাবে গভীর রাতে ফোন করে মজা করলে আর বিরক্ত করলে আমি পুলিশের কাছে রিপোর্ট করবো। তার এই কোথায় কোনো ইফেক্ট পড়লো না, ফোন ধরে সেই নিরাবতা, কোনো কথা নেই, শুধু আছে তো সেই ফিসফিসানি আওয়াজটা। অতনু আবারো ঘাবড়িয়ে গিয়ে ফোনটা রেখে ভয়ে ভয়ে রাতটা পার করে দেয়। কিন্তু তার মনে একটা ভয় ঢুকেই গিয়েছে। পরেরদিন রাতে অতনু শুয়ে একভাবে ফোনের দিকে তাকাতে থাকে যে, আবার না ফোন আসে! অতনু একটু চোখ বুজতেই আবারো প্রাইভেট নম্বর থেকে কল আসলো, এইবার ফোন তুলতেই একটা অদ্ভুত আওয়াজ এর সাথে কণ্ঠস্বর শুনতে পেলো।
যেন একটা ভৌতিক কণ্ঠের মতো যে, "তুমি প্রস্তুত তো?" অতনু তো আরো বেশি ভয় পেয়ে গেলো এই কণ্ঠস্বর শুনে। তারপরেও মনে একটু সাহস জুগিয়ে জিজ্ঞাসা করে যে, "কিসের জন্য প্রস্তুত হবো?" এই কথা জিজ্ঞাসা করতেই ফোনটা ডিসকানেক্ট হয়ে গেলো। অতনুর তো গলা শুকিয়ে যায়, সে যেন একটা অস্বস্তি আর ভয়ে ছটপট করতে থাকে। কিন্তু এই ভয় আর কাটলো না তার মনের থেকে, কারণ প্রতি রাতেই এইভাবে ফোন আসতে থাকে তার কাছে আর একই প্রশ্ন করতে থাকে যে, "তুমি প্রস্তুত তো?" এইভাবে কয়েকদিন ফোন আসতে আসতে একদিন হঠাৎ করে অতনুকে একটি জায়গার নাম বললো সেই অদ্ভুত কণ্ঠস্বরে। অতনু আর এইভাবে মোটেও ঠিক থাকতে পারছে না, এই জায়গার নাম শোনার পরে তার মনে কৌতূহল জাগলো যে, সে সেখানে যাবেই এবং কি রহস্য আছে সেটা সে উন্মোচন করবেই।
পরেরদিন অতনু সেই জায়গাটায় যায় এবং সেই জায়গাটা একটা ভাঙ্গাচুরা খান্ডার মতো বাড়ি । তার ভিতরে যেন গাছগাছালিতে ভরে গিয়েছে। অতনু ভিতরে প্রবেশ করতেই হাওয়া বইতে শুরু করে, এরপর সেখানে তার পায়ের কাছে একটা কাগজের টুকরো এসে পড়লো এবং তাতে লেখা ছিল যে, "তোমাকে খুঁজতে আমি অনেক বছর এখানে অপেক্ষা করেছি। তুমি আমার উত্তরাধিকার। সমস্ত সত্য জানতে তুমি রেডি হও"। সেই মুহূর্তে ওই ঘরের ভিতর-এ একটা আলো প্রজ্জ্বলিত হলো এবং সেই আলোর গহীন থেকে আরো একটা কণ্ঠস্বর অতনুর কাছে ভেসে আসলো যে, "তোমার পূর্বপুরুষের প্রাচীন রহস্য আজ তোমাকে দেওয়া হলো। আর এই শক্তি তোমাকেই রক্ষা করতে হবে"। এইসব শুনে অতনুর গায়ে তো কাঁটা দেওয়া শুরু করে আর কাঁপতে থাকে। তারপর....
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গভীর রাতে প্রাইভেট নম্বর থেকে এভাবে ফোন আসলে যে কেউ ভয় পেয়ে যাবে। তবুও তো অতনু সাহস করে সেখানে গিয়েছে রহস্যের উন্মোচন করতে। যাইহোক গল্পটা বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছে দাদা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
গল্পটি একেবারে রহস্যময় এবং ভৌতিক আবহে ভরপুর। অতনুর ভয় এবং কৌতূহল, সেই সাথে অচেনা ফোনকলের ধ্বনির মাধ্যমে গল্পটি এক নতুন মাত্রা লাভ করেছে। পূর্বপুরুষের রহস্য এবং শক্তির সূচনা গল্পটিকে আরও আগ্রহজনক করেছে। গল্পের পরবর্তী অংশে কি হতে পারে, সেটা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।