বাড়িওয়ালার থেকে ইফতার..
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলে সব দিক থেকে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আগের তুলনায় এখন ভালো আছি। যাই হোক, আজ এখন কিছুটা ভালো লাগছে, তাই আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করবো আমার পোস্ট টি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। এবং আপনারা আপনাদের মূল্যবান মতামত শেয়ার করবেন। তো আর কথা না বাড়িয়ে সরাসরি চলে যাই মূল পোস্ট এ।
আমাদের বিয়ে হয়েছে থেকে ঢাকায় আমরা একই বাসায় আছি। এই বাসা টা আমার কাছে বেশ অনেক দিক থেকেই বেশ ভালো লাগে অনেকগুলো কারণে। ঢাকা শহরে কোনো বাসার তিন পাশ খোলা-মেলা পাওয়া বেশ লাকের বিষয়। য্যেখানে এই ইট পাথরের শহরে এক বিল্ডিং থেকে অন্য বিল্ডিং এর দূরত্ব এক হাত তো দূরের কথা, এক টাক্কর ও থাকা মুশকিল! এছাড়াও আরেকটা ভালো দিক এই বাসার সিকিউরিটি সিস্টেম। বিল্ডিং এর মেইন গেইট এ, এমনকি সিড়িতেও সিসিটিভি ক্যামেরার তত্ত্বাবধানে থাকে সবসময়ই। নীচে সবসময়ই গেইটম্যান থাকে। ১ মিনিটের জন্য হলেও, কোনো কাজে কোথাও গেলেও, দরজায় সবসময় ই তালা দেয়া থাকে। সব মিলিয়ে সিকিউরিটি খুবই ভালো। দিনের পর দিন বাসায় কেউ না থাকলেও তাই চিন্তার কিছু থাকে না। আর তারচেয়েও বড় কথা, বাড়িওয়ালা ভীষণ ভালো। ঢাকা শহরের আরোও অনেক বাড়িওয়ালার মতোন ভাড়াটিয়ার সাথে খটমট করে না কোনো বিষয় নিয়ে। বরং ছাদে তাদের নিজের বাগান রয়েছে যেখানে আম, পেয়ারা, জামরুল ইত্যাদির গাছ রয়েছে। চার বছর ধরেই দেখে আসছি প্রতিবছর আমের সিজনে প্রতি ভাড়াটিয়ার বাসাতেই গাছের আম পাঠায়, প্রতি বছর রমজান মাসে ইফতার পাঠায়।
এবছরেও বরাবরের মতো প্রতি বাসায় ইফতার পাঠিয়েছিলেন। সেদিন ছিলো শুক্রবার। আমি তখন কিছুটা অসুস্থ ছিলাম। বাসায় আমার মাসতুতো বোন কান্তা ছিলো সাথে। বিকেলে চার টার দিকে হটাৎ দরজায় নক। খুলে দেখি গেইটম্যান কাকা দাঁড়িয়ে আছে হাতে থালা নিয়ে। একটা থালায় বেশ সুন্দর করে সাজিয়ে বেশ অনেক গুলো আইটেম পাঠিয়েছেন। জিলাপি, আলুর চপ, বেগুনি, পেয়াজু, ছোলা ভুনা, কলা, শশা, তরমুজ, খেজুর, আপেল, মাল্টা যেন কিছুই বাদ দেয় নি! এবং এই সমস্ত ভাজা আইটেম গুলো উনাদের বাসাতেই বানানো হয়, দোকানের কেনা আইটেম না। শরীর যেহেতু একটু খারাপ ছিলো, এমন সুন্দর পরিবেশন দেখে মনটা ভীষণ ভালো হয়ে গেলো যেন মুহূর্তেই 😍। শুক্রবার আমার হাজবেন্ড এর অফিস থাকে, তাই সে বাসায় ছিলো না। আমি আর আমার বোন মিলেই ইফতারের সময়ে বাড়িওয়ালার পাঠানো এই আয়োজন দিয়েই মজা করে ইফতার করেছি। এবং অবশ্যই বাড়িওয়ালার জন্য মন থেকে দোয়াও করেছি। যেন সৃষ্টিকর্তা তাদের উপর সবসময় রহমত বর্ষণ করেন। পাশাপাশি তাদের পরিবারের সুস্থতা কামনা করেছি। এই যে একদিনের একটা এক্ট, সকল ভাড়াটিয়ার মনেই অন্যরকম ভালোলাগার অনুভূতির সৃষ্টি করে।
আজকের লেখা আর বাড়াচ্ছি না। সকলের সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি। সাথে সকলের কাছে আমার জন্য, আমাদের জন্য দোয়ার দরখাস্ত রইলো। সকলে সাবধানে থাকবেন। শুভরাত্রি।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শিক্ষগত যোগ্যতায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। দীর্ঘ ৬ বছর চাকরির পর বর্তমানে পুরোদমে একজন গৃহিণী। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
please share your comment link which you submited on $PUSS's tweet.
https://x.com/TithyRani/status/1903066810255114506?t=Bi1EkxmuVCwp-vho_lpQDw&s=19
https://x.com/TithyRani/status/1903053523614568641?t=1UWjBWWY0GZ6M9GZoFVyHg&s=19
আজকের পোষ্ট থেকে এই ফরমেট এই শেয়ার করতাম আপু। একারণেই গতকালের পোস্ট এ করা হয় নি।
perfect.
কোথায় আছিস সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের মনোভাব হতে হবে কোমল। দুই দিনের দুনিয়াতে আমরা যদি একে অপরের সাথে মিল রেখে চলতে না পারি তাহলে কিসের মানুষ হলাম আমরা। তাই উভয়ের ক্ষেত্রে কোমল অনুভূতি জাগ্রত রাখতে হবে। আপনাকে অন্যের সাথে আনন্দ ভালোলাগা ভাগাভাগি করে নিতে হবে। তাহলে সেখানে শান্তি বিরাজমান থাকবে। ভালো লাগলো সুন্দর এই অনুভূতিটা প্রকাশ করেছেন দেখে। একত্রে যেন মিল মহব্বত হয়ে সবাই চলতে পারেন সেই কামনা রইল।
সেটাই ভাই, একসাথে মিলেমিশে থাকার মাঝে বেশ শান্তি রয়েছে।
তাহলে তো আপু আপনাদের ওইখানে বাড়ি ওয়ালা মানুষটি ভালো। কারণ আমের সীজন এবং ইফতারের সময় প্রতিটি বাসায় আম এবং ইফতার পাঠাই। তবে কিছু কিছু বাসা আছে অনেকদিন থাকলে পরিবারের মত হয়ে যায়। যাইহোক ইফতারের সময় আপনি আর আপনার বোন মিলে মজা করে ইফতারগুলো খেয়েছেন। ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আমাদের মাঝে।
আসলেই অনেকদিন একসাথে থাকলে সেটাও একটা পরিবারের মতোই হয়ে যায়।
এটা ঠিক বলেছেন, ঢাকা শহরে তিন দিকে খোলামেলা একটা পরিবেশের মধ্যে বাসা খুঁজে পাওয়া একটা ভাগ্যের ব্যাপার। আর এরকম ভালো বাড়িওয়ালা হলে তো আরো বেশি ভালো। খুব সুন্দর পরিবেশনের মাধ্যমে আপনাদের ইফতার দিয়েছে। রোজার সময় আমরাও চেষ্টা করি আমাদের বিল্ডিং এর সবাইকে ইফতার দেওয়ার। এখানে অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করে। সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু ।
যে কোনো বাসার বাড়িওয়ালা ভালো হলে, ভাড়াটিয়া দের অনেক দিক থেকেই সুবিধা হয়।
বাহ আপনার গল্প শুনে তো অনেক ভালো লাগলো আপু। আসলেই এখনো অনেক ভালো বাড়িওয়ালা আছেন যারা ভাড়াটিয়াদের এভাবে খেয়াল রাখেন। লোকটা অনেক ভালো মানুষ তাই তিনি আপনার জন্য ইফতারি পাঠিয়েছেন।
আসলেই বেশ ভালো মনের মানুষ। এমন ভালো বাড়িওয়ালা সাধারণত পাওয়া যায় না।