পুরোনো দিনের কথা
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সাথে অনেক আগের একটা স্মৃতি শেয়ার করবো। মাঝেমধ্যে একা বসে থাকলে পুরনো অনেক স্মৃতি মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। কিছু ভালো স্মৃতি থাকে, আবার কিছু দুঃখের স্মৃতি থাকে। কষ্টের স্মৃতিগুলো মনে পড়লে সেই সময়টার কথা মনে পড়ে যায়। ওই সময় কি খারাপ পরিস্থিতিই না হয় মানুষের। যাইহোক আজকের যেই স্মৃতির কথা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো শুনলে আপনাদের অনেক উপকার হবে। সাবধান থাকতে পারবেন। আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের।
বেশ কয়েক বছর আগের ঘটনা। আমার বিয়ের পর পর এই ঘটনা ঘটেছিলো। তখন আমরা রংপুর থাকি। আমার বিয়ের আগেই আমার হাসবেন্ড এই বাসা ভাড়া নিয়েছিলো। নিচ তলা ছিলো বাড়িওয়ালা দোতলায় থাকতো। তখন এত কিছু চিন্তা করে বাসা ভাড়া নেয় নাই। আমি বিয়ের পর যখন ওই বাসায় উঠি তখন মাঝে মাঝেই বারান্দা থেকে কাপড় চুরি হত। যদিও বাউন্ডারী ছিলো বাসার। বাউন্ডারী টপকে এসে চুরি করতো। নিচ তলার বাসার এই এক অসুবিধা। চাইলেই জানালা খোলা রাখা যায় না। বিশেষ করে রাতের বেলায় তো আরো বেশি সাবধানে থাকতে হয়। একদিন তো দুপুর বেলায় বেড রুমে গিয়ে দেখি বিছানার চাদর নেই। তারপর থেকেই ভাবছিলাম বাসা পাল্টাবো। বাসা পাল্টানোর আগেই বড় একটা দুর্ঘটনা ঘটে।
একদিন আমার শশুর অসুস্থতার জন্য আমাদের বাসায় আসে। তাই তাকে আমাদের বেডরুম ছেড়ে দিয়ে পাশের বেডরুমে আমরা ছিলাম। বৃষ্টির রাত। বাইরে অনেক ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে। এমন রাতে ঘুম একটু গভীর হয় ।তাছাড়া আমার হাসবেন্ড একবার ঘুমালে তাকে আর পাওয়া যায় না। যাই হোক বেডের পাশের ছোট টেবিলে আমার হাসবেন্ড মোবাইল মানিব্যাগ রেখে রাতে ঘুমিয়েছে। ওই রুমের জানালা সব সময় লাগানো থাকে। তাই আর চেক করা হয়নি লক করা কিনা। মাঝ রাতে হঠাৎ আমার মনে হলো ঠান্ডা বাতাস এসে গায়ে লাগলো। আমি আর চোখ খুলে দেখিনি। সকালে ঘুম থেকে উঠে আমার হাসবেন্ড মোবাইল খুঁজে পাচ্ছে না। ভেবেছে তার বোনরা হয়তো নিয়েছে। যখন খোঁজ করে জানলো যে কেউ নেয়নি তখন মোবাইলে ফোন দিয়ে দেখে মোবাইল বন্ধ। তাড়াতাড়ি রুমে গিয়ে দেখে জানালার পাশে কিছু পাতা আর মানিব্যাগ পরে আছে।মানিব্যাগ চেক করে দেখে কোনো টাকা নেই। তখন আর বুঝতে বাকি রইলো না যে মোবাইল চুরি হয়েছে।
রাতে যখন আমার গায়ে ঠান্ডা বাতাস লেগেছিলো তখনই চোর এসেছিলো। আমি যদি তখন চোখ খুলে দেখতাম তাহলে হয়তো চুরি থেকে বাঁচানো যেত। আবার আমি ওই অবস্থায় চোরকে দেখলে ভয়ে ফিট হয়ে যেতাম। চোর হয়তো লাঠির মাথায় ঝুড়ির মত কিছু লাগিয়ে তার মধ্যে মোবাইল নিয়ে গিয়েছে। তা না হলে মোবাইল নিচে পড়লে তো শব্দ হত।চোর আবার নীতিবানও ছিলো। চাইলে মানিব্যাগ নিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু সে মানিব্যাগ না নিয়ে শুধু টাকা নিয়ে মানিব্যাগ রেখে গিয়েছে। মানিব্যাগে অনেক জরুরি কাগজ কার্ড থাকে। মানিব্যাগ নিলে আবার অন্য ঝামেলা হত।
হঠাৎ এই কাহিনী মনে পড়লো তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। যারা নিচ তলায় থাকেন তারা অবশ্যই রাতে ঘুমানোর আগে জানালা চেক করে ঘুমাবেন। তা না হলে এমন দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন। তার কিছুদিন পর আমরা ওই বাসা চেঞ্জ করে অন্য এক বাসার তিন তলা ভাড়া নিয়েছিলাম।
যাই হোক এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।পরবর্তীতে আবার দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আপনি আজ পুরনো দিনের একটি ঘটনা আমাদের মাঝে শেয়ার করে নিলেন।বিয়ের পর পর এই ঘটনাটা রংপুর থাকাকালীন হয়েছিল।আসলে নীচতলা বাসাতে কোন শান্তি পাওয়া যায় না।চোর এসে জানালা দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে মোবাইল,মানিব্যাগ নিয়ে গেলো।কাগজ সহ মানিব্যাগ ফেলে টাকা আর মোবাইল নিয়ে উধাও।আপনি এই ঘটনাটা শেয়ার করে সবাইকে সতর্ক ও করে দিলেন যারা নীচতলাতে থাকেন অনেক ধন্যবাদ আপু সেদিনের ঘটনার সেই অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।