নাটক রিভিউ: ছেচড়া জামাই
কভার ফটো
আসসালামু আলাইকুম। শুভ সকাল আমার বাংলা ব্লগ। আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সকলে বেশ ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভাল আছি। আমরা যেন সর্বদা সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকতে পারি সে কারণে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি নাটক রিভিউ করতে চাই। আজকে আমি বাংলা একটি নাটক রিভিউ করতে চাই এবং নাটকের নাম ছ্যাচরা জামাই। নাটকটি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল এবং সে কারণেই আমি আপনাদের মাঝে নাটকের রিভিউ নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। সকলের উপভোগ করুন আশা করছি নাটকটি আপনাদের বেশ ভালো লাগবে।
|
---|
নাটকের নাম | ছেচড়া জামাই |
---|---|
পরিচালনা | তাজু কামরুল |
অভিনয়ে | আ খ ম হাসান, এ্যানি খান , কামরুল উজ্জ্বল |
সময় | ৩৩ মিনিট |
ভাষা | বাংলা |
চ্যানেল | ব্রাইট ফিউচার |
|
---|
![]() |
---|
YouTube থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া |
নাটকের প্রধান চরিত্র আ খ ম হাসান। খেয়ে তার শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছে প্রায় এক মাস হয়েছে। সে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে অনেক আনন্দে দিন পার করছে এবং সেই ঘুমিয়ে অলসতায় দিন পার করছে এবং ভালো ভালো খাবার খাচ্ছে।
তার শালিটাকে ঘুম থেকে ডাকছিল কিন্তু সে কোনভাবেই ঘুম থেকে উঠতে রাজি না। সারাক্ষণ শুধু খাওয়া দাওয়া করে এবং শুয়ে থাকে এবং অলস জীবন যাপন করছে ।
ঘুমের ভেতরেই হঠাৎ তার বউ তাকে ফোন করে এবং সে বলে তার হাল চাষ করার দুটি বলদ চুরি হয়েছে। বলদ চুরির ঘটনা শুনে প্রধান অভিনেতা আ খ ম হাসান খুব দ্রুত তার শ্বশুরবাড়ি ত্যাগ করে এবং তার বাড়িতে গিয়ে গোয়াল ঘরের দিকে চোখ রাখে। গোয়াল ঘরের দিকে চোখ রাখার পর দেখতে পাই তার আহালের বলদ দুইটা এখনো রয়েছে।
তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেছিল সেই কেন মিথ্যা কথা বলেছে? তার স্ত্রী অভিমানের সুরে বলে আমার থেকে তোমার কাছে বলদ এর দাম বেশি? বলদ চুরি হবার কথা শুনে তুমি আমার বাবার বাড়ি থেকে চলে আসলে কিন্তু আমার কথায় তুমি আসো না। বিষয়টি শুনে হাসান সাহেব অনেক বেশি দুঃখ পায়।
![]() |
---|
YouTube থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া |
বেশ কিছুক্ষণ সময় পর হাসান সাহেব গ্রামের একটি চায়ের দোকানে যাই। দোকানে গিয়ে দোকানদারকে এক কাপ চা দিতে বলে। কিন্তু দোকানদার হাসান সাহেবের বিরুদ্ধে বেশ বাজে কথা বলে এবং সেই কথা শুনে হাসান সাহেব বেশ ক্ষিপ্ত হয় এবং সে দোকান থেকে চলে যায়।
![]() |
---|
YouTube থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া |
অপরপক্ষে ঘটক সাহেব হাসান সাহেবের শালিকার জন্য একটি ভালো সম্বন্ধ নিয়ে আসে। তবে আ খ ম হাসান সাহেবের শ্বশুর বিয়ে দিতে রাজি হয় না। কারণ ওই একই ঘটক তার বড় মেয়ের সাথে একটা ছেচরা জামাইকে বিয়ে করাইছে। তবে ঘটক সাহেব আশ্বস্ত করে এবারের পাত্রটা বেশ ভালো।
![]() |
---|
YouTube থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া |
গ্রামে একজন এমবিবিএস ডাক্তার হেটে যাচ্ছিল তার চেম্বারে। এমন সময় আহসান সাহেব ডাক্তারের কাছে যায় এবং বলে পাঁচ থেকে সাত কেজি চাল খাওয়ার মত রুচি হবে এমন কোন ঔষধ আছে কিনা? ডাক্তার আখম হাসান সাহেবের দিকে তাকাই এবং মুচকি হাসি দেয়। বলে আপনি কি পাগল নাকি এই বলে ডাক্তার সাহেব সেখান থেকে চলে যায়।
![]() |
---|
YouTube থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া |
এদিকে বাড়িতে গিয়ে দেখে তার শালিকা এসেছে সেই বিকেল বেলা। এখন হাসান সাহেব তার শালিকাকে রাখার উসিলায় তার শ্বশুরবাড়ি যাবে। কিন্তু হাসান সাহেবের বউ কোনোভাবেই তা মেনে নেয় না এবং তার ছোট বোনকে বাড়িতে রেখে দেয়।
![]() |
---|
YouTube থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া |
এদিকে আখম হাসান সাহেবের ছোট শালিকার বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল। সবকিছু পাকা হয়ে গিয়েছিল এবং দিনক্ষণ সবকিছু ঠিক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এই বিষয়ে হাসান সাহেব কিছুই জানতেন না। অবশেষে চমৎকার এই সত্য বিষয়টি হাসান সাহেবকে জানিয়ে দেয় ঘটক।
ঘটকের কথা শুনে হাসান সাহেব বাড়িতে চলে যাই এবং তার বউ এর কাছে দুঃখ প্রকাশ করে। কারণ বাড়ির বড় জামাইকে রেখে তার শ্বশুর বিয়ের সম্বন্ধ ঠিক করেছে। বিষয়টি জানতে পেরে তার বড় মেয়ে অনেক বেশি কষ্ট পায়।
![]() |
---|
YouTube থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া |
অবশেষে আহসান এবং তার স্ত্রী নীলিমা তার বাবার বাড়িতে যাই ছোট বোনের বিয়ে খাওয়ার জন্য। তবে হাসান সাহেবের শ্বশুর তার বড় জামাই এবং বড় মেয়েকে দেখে বেশ ক্ষিপ্ত হয়। কারণ ইতিপূর্বেই আ খ ম হাসান এর ব্যবহার তার শশুরকে কষ্ট দিয়েছে। সে কারণে বড় জামাইকে দেখে রাগান্বিত হয়ে গিয়েছিল।
আ খ ম হাসানের খাওয়ার দৃশ্য সত্যিই সবাইকে কষ্ট দিয়েছিল। রাত্রে খাবার সময় সে এমন আচরণ করে যে কখনো সে কোন কিছু খাইনি।
![]() |
---|
YouTube থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া |
যাইহোক অবশেষে দুইদিন পরে বিয়ের বর যাত্রী চলে এসেছিল এবং পাত্রপক্ষ বিয়ে করার জন্য চলে এসেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এখানে বড় জামাই এর মত ছোট জামাই চেহারা দেখতে একই রকমের ছিল। সে কারণে আখম হাসান এর শশুর এই বিয়ে দিতে রাজি ছিল না।
অবশেষে বাড়ির সকলেই মতামত দিয়েছিল এবং অবশেষে যাই হোক বিয়েটা হয়েই গেল।
![]() |
---|
YouTube থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া |
কিন্তু নাটকের শেষ পরিস্থিতিতে এবং শেষ অভিনয়টা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। কারণ সকলের এই দুর্বার চরিত্র আ খ ম হাসানকে বেশ কষ্ট দিয়েছিল। যাই হোক সবার সামনে আহসান সাহেব কানে ধরেছিল এবং তার কর্মের জন্য নিজেকে দুঃখিত বলেছিল।
সবাই খুশি হয়েছিল এবং আমরা এখানে নাটকের শেষ এবং সমাপ্তি দেখি।
|
---|
নাটকটি দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আমাদের সমাজে এখনো অনেক নির্লজ্জ মানুষ রয়েছে তাদের চোখের শরম অনেক কম। যাইহোক অবশেষে নাটকটি তার সঠিক পজিশন নিতে সক্ষম হয়েছে এবং নাটকটির দৃশ্য অনেক চমৎকার ছিল।
|
---|
১০/৮
|
---|
Amarbanglablog Discord server link
আমি
আমি মোহাম্মদ আকাশ সরদার। জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি ব্লগিং করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। যদিও আর্ট আমার অনেক বেশি পছন্দ তবে আর্টওয়ার্ক কাজের জন্য আমার হাত একদম বাজে। ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি আমার সব থেকে প্রিয় বিষয়। নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ এবং নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে বেশ ভালো লাগে। অসহায় মানুষদেরকে সাহায্য করতে পারলে মনের ভেতরে আনন্দ আসে। সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের সেবা করতে চাই এবং সকলের প্রিয় ব্যক্তি হয়ে এই সমাজে বসবাস করতে চাই।
আজকে আপনি ছেচড়া জামাই নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন। আপনার নাটক রিভিউটি পড়ে মনে হচ্ছিল যেন আমি নাটকটি সরাসরি দেখতেছি। আমি যদিও তেমন একটা নাটক দেখি না, তবে সময় পেলেই আখম হাসানের নাটক গুলো দেখি বেশ ভালো লাগে। উনি অনেক সুন্দর করে অভিনয় করেন, ওনি অভিনয় জগতের বড় একজন অভিনেতা। আপনি অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে রিভিউ শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক পুরনো এবং দারুন একটি নাটক আজকে আপনি আমাদের মাঝে রিভিউ করেছেন ভাইয়া। বর্তমান নাটক গুলো থেকে আগেকার নাটক গুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। খুব সুন্দর ভাবে আপনি ছ্যাঁচড়া জামাই নাটক রিভিউ করেছেন। এই নাটক রিমির মধ্যে আমার সব থেকে হাসি পায় যখন আহসান ডাক্তারকে প্রশ্ন করে চাল খাবার বিষয়টা। খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
পর পর কয়েকটি ঘোষণার মাধ্যমে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে, সেটা হলো Gate.io এর সহজ একটা টাস্ক কমপ্লিট করে ৫-১৫ ডলার জিতে নেয়ার সুযোগ নিতে পারেন। ধন্যবাদ
আমি ইতিপূর্বেই অ্যানাউন্সমেন্ট পোস্ট দেখেছি। আবারও মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।