ফুচকা পার্টি
এর আগের পোস্ট থেকে জেনেছেন বিন্দুর এডমিশন টেস্ট চলছে,এর ফলে আমাকে ওর সাথে সারা বাংলা সফর করা লাগতেছে৷ তারই প্রেক্ষিতে এবার এর জার্নি ছিল ঢাকা। বিন্দুর পরীক্ষা ছিল বুয়েটে সেজন্য ঢাকা যাওয়া। এখন ঢাকায় আমাদের আস্তানা হল দিদির বাড়ি।
দিদি বলতে আমার জ্যাঠাত বোন পুতুল দিদি। প্রথমে আমাদের প্ল্যান ছিল পরীক্ষা শেষে ওদিন ই রওনা দিব।কিন্তু দিদি আমাদের জন্য একটা সারপ্রাইজ রাখছিল। বিন্দুর পরীক্ষা ছিল বৃহস্পতিবার, আর শুক্রবারেই ভাগীনার জন্মদিন। তাই আমাদের আগের প্ল্যান ক্যান্সেল করতেই হল,কারন দিদি কিছুতেই আসতে দেবে না।
আর আমিও ভাবলাম একদিন পরে গেলে মোটেই মহাভারত অশুদ্ধ হবে না। তাই থেকেই গেলাম।ওদিকে জন্মদিন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালেই সাভার থেকে দাদা,বৌদি চলে আসল। সেখানে আমার মা ও ছিল, মা ও ওদের সাথে এসেছিল। এখন আমার পরিবারের সবাই খুব মজার।সবাই একসাথে হলে অনেক মজা হয়।
তাই ফাকা সময়ে আমরা লুডো খেলতে বসলাম সবাই মিলে। যদিও খেলছিল দাদা,বৌদি আর বিপক্ষে দিদি জামাইবাবু। আমি দুইপক্ষেরই উপদেষ্টা হয়ে শকুনি মামার দায়িত্ব পালন করছিলাম,যদিও গালিই খাচ্ছিলাম বেশি। যাই হোক বাজি ছাড়া খেলা জমে না।তাই দুইপক্ষকেই উস্কানি দিয়ে বাজি ধরালাম।
দিদিদের বাসা থেকে অল্পদুরে তালতলা সুপার মার্কেট৷ সেখানে দারুন ফুচকা আর চটপটি পাওয়া যায়। বাজি হল যে দল হারবে সে দল সবাইকে ফুচকা বা চটপটি খাওয়াবে। তুমুল খেলা চলল,আমি দুপক্ষের হয়েই কাজ করছিলাম।কারন এতে জয়ী দলের পক্ষেই থাকা যাবে।
যাই হোক খেলায় দাদা বৌদি বিজয়ী হয়,ফলে দিদি জামাইবাবুকে ফুচকা খাওয়াতে হবে সবাইকে। খেলা শেষ হতেই আমরা সবাই রওনা দিলাম তালতলার উদ্দেশ্যে।সেখানে গিয়ে দিদির পছন্দের দোকানে বসে পড়লাম। তবে আমরা সাধারণত যেমন দোকান কল্পনা করি এটি তেমন না। এটা একটা বেকারির দোকান, তাতে ফুচকা আর চটপটি সেল করা হয়। ফলে দোকানের মাঝে জায়গার স্বল্পতা।
যাই হোক দিদি, বৌদি আর বিন্দু ফুচকা অর্ডার দিল।আর আমি, দাদা আর জামাইবাবু অর্ডার দিলাম চটপটি। তবে আমি অবশ্য বৌদি আর বিন্দুর ফুচকাতে ভাগ বসাচ্ছিলাম।ভালই ছিল ফুচকা আর চটপটি। সবাই মিলে দারুন কিছু মুহুর্ত কাটিয়েছি। অনেক মজা করেছি সবাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মাঝেমধ্যে ফুচকা চটপটি অথবা ঝালমুড়ির পার্টি করলে অনেক ভালো লাগে। একটা সময় আমরা বেশ কয়েকজন বন্ধু মিলে এমন আয়োজন করতাম। এখন আর সেভাবে কেউ গোছানো হয় না। যে যার মত সংসার জীবনে চলে গেছে। তবে খুব মিস করি দিনগুলো। বিশেষ করে আপনারা যখন এমন সুন্দর আয়োজন সামনে নিয়ে আসেন। অনেক ভালো লাগলো আপনাদের এই আনন্দের মুহূর্তটা দেখে।
Twitter link
ছেলেবেলায় আমরা যে কতবার এমন দায়িত্ব পালন করেছি আর সবার থেকে বেশ করে ঘুষও খেয়েছি। আপনি তো দেখছি ফাকে দিয়ে আবার ফুচকাও খেয়ে নিলেন। সত্যি বলতে এমন আনন্দময় সময়গুলো আমার কাছে কিন্তু বেশ ভালো লাগে।
আমি সৎমানুষ ঘুষটুষ খাইনা,শুধু ফুচকা খাই।।হাহাহাহাহা ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বিন্দু বুয়েটেও এডমিশন পরীক্ষা দিলো জেনে ভালো লাগলো ভাই। তবে আপনার ভাগিনার জন্মদিন উপলক্ষে সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন। সেখানে পরিবারের সবাই মিলে আনন্দে মেতে উঠেছিলেন। আবার লুডু খেলার মধ্য দিয়ে ফুচকা খাওয়ার চমৎকার একটি আইডিয়া করেছিলেন। যাই হোক সবমিলিয়ে দেখতেছি আনন্দময় সময় কাটিয়েছেন। পরিশেষে বলি বিন্দুর জন্য পুনরায় শুভকামনা রইলো।