জৌলুস নেই
একসময় গ্রাম বাংলার মেলার প্রধান আকর্ষণ ছিল সার্কাস, যাত্রা, পুতুল নাচ, সাপের খেলা, মোটরবাইক খেলা, ম্যাজিক শো, বিভিন্ন রকম লটারি ও প্রতিযোগিতা মূলক খেলা। তাছাড়া বিভিন্ন রকম মিষ্টান্ন-খাবারের দোকান, কসমেটিকস-খেলনার দোকান, তৈজসপত্রের দোকান কিংবা আসবাবপত্রের দোকান তো থাকতোই। এছাড়াও বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য থাকতো চরকি ও নাগরদোলা।
বিশেষ করে শীতকালে নতুবা বৈশাখ মাসে গ্রাম অঞ্চলের দিকে বেশ ভালই মেলা বসতো। মেলাকে ঘিরে আপামর সাধারণ মানুষের মাঝে যেন উৎসবের আমেজ কাজ করতো।
তবে দিন যত গড়িয়ে গিয়েছে, সময়ের পরিক্রমায় মেলা হারিয়েছে তার নিজস্ব জৌলুস। যদি একটা চিরন্তন সত্য কথা বলি, তাহলে হয়তো শুনতে কিছুটা অপ্রিয় লাগতে পারে, তবে বাস্তবতা হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির মোবাইল ও ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার কারণে, আজকের গ্রামীণ মেলার বাস্তব চিত্র বড্ড ভয়ানক।
সেদিন যখন পার্শ্ববর্তী এলাকায় মেলা দেখতে গিয়েছিলাম, তখন মেলার পরিবেশ দেখে বড্ড হতাশ হয়েছিলাম। গুটি কয়েক মাত্র দোকান বসেছে, মেলায় আগত লোকজন বলছে কিছুই নেই দেখার মত, তাই যেন মেলা জমজমাট হচ্ছে না।
তাছাড়া মেলা কেন্দ্রিক আগে যে উত্তেজনা সকলের ভিতরে কাজ করতো, তা যেন একদম পানসে হয়ে গিয়েছে।
যান্ত্রিকতার ছোঁয়া এখন চতুর্দিকে লেগে গিয়েছে হোক সেটা গ্রাম কিংবা শহর, সব জায়গাতেই একই রকম অবস্থা। তাই হয়তো মেলার বাস্তব চিত্র বড্ড করুণ।
তাছাড়াও মেলাতে সুস্থ বিনোদনের নামে অশ্লীলতা যখন ছোঁয়াচে ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছিল, সেই বিষয়গুলোও বেশ ভালই প্রভাব ফেলেছিল মেলার জৌলুস হারানোয়। সব মিলিয়ে বলতে গেলে, গ্রামীণ ঐতিহ্য এখন শুধু নামেই আছে, তবে বাস্তবে তা বড্ড প্রাণহীন।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমাদের সংস্কৃতির একটি অংশ মেলা। এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। অশ্লীলতা কারণে ও একটি গোষ্টির বিরোধীতার কারণে মেলার প্রধান আকর্ষণ যাত্রাপালা,সার্কাস না থাকায় মেলা গুলো জৌলুস হারিয়েছে। মাস দুয়েক আগে ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে, ৭ দিন ব্যাপি যাত্রাপালায় হাজার হাজার মানুষের উপস্থিত জানান দেয়, সুস্থ বিনোদনের দর্শক ও জৌলুস আছে। কিন্তু আকাশ সংস্কৃতি সবকিছুকে গ্রাস করে ফেলেছে। সুস্থ পুরোনো বিনোদন গুলো আবার ফিরে আসুক এই কামনা করি। আপনার আজকে মেলা নিয়ে পর্যবেক্ষণটা ভালো লেগেছে।দ্বিমতের সুযোগ নেই। আর্টিকেলটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।
সুস্থ বিনোদন আসলেই দরকার আপু। ধন্যবাদ আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
ছোটবেলায় দেখতাম যে মেলার মধ্যে প্রচুর মানুষ যেতো। সার্কাস এবং পুতুল নাচ দেখতে ভীষণ ভালো লাগতো। পরবর্তীতে মেলার মধ্যে পুতুল নাচের নামে নষ্টামি করা হতো বলে,মেলা থেকে পুতুল নাচ নামক বিনোদনটা একেবারেই উঠে গিয়েছে। এখন আসলে মেলায় গেলে তেমন ভালো লাগে না। হয়তোবা মাঝেমধ্যে যাওয়া হয় ঘুরাঘুরি করার জন্য। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সুস্থ বিনোদনের দরকার, সুস্থ বিনোদন আবারও ফিরে আসুক মেলায়, এমনটাই চাওয়া।