তিল পালং পাকোড়া রেসিপি❤️
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো তিল পালং পাকোড়া রেসিপি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।বরাবরে মতোই সন্ধ্যার পর থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি পোস্ট লেখার কিন্তু কিছুতেই ঢুকতে পাচ্ছিলাম না।বার বার ব্যার্থ চেষ্টা চালানোর পর এই মাত্র সফল হলাম আর তাই তারাতাড়ি লিখতে শুরু করলাম মজাদার রেসিপিটি।
তিল অনেক উপকারী একটি সস্য তিলের তেল ব্যাবহার করে সৌন্দর্য চর্চা করা যায়।আগের দিনে রাজা-রানীরা তিলের তেল ব্যাবহার করে সৌন্দর্য ধরে রাখতো।
পালং শাকে আছে উচ্চ মাত্রার ম্যাগনেসিয়াম, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
এতে থাকা বেশি মাত্রার ভিটামিন এ, লিম্ফোসাইট বা রক্তের শ্বেত কণিকা দেহকে বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগ থেকে রক্ষা করে।পালং শাক আমরা নানা ভাবে খেয়ে থাকি। শীতকালীন সবজি পালং শাক যেকোনো ভাবে খেতেই অনেক ভালো লাগে আর যদি হয় তিল পালংকের পাকোড়া তাহলে তো কোন কথায় নেই।খুবই লোভনীয় এই রেসিপিটি না খেলে বোঝা যাবে না এর সুস্বাদু কতোটা।আমরা খুবই মজা করে খেয়েছি ।
তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন
তিল, |
---|
পালং শাক |
চিরা |
পোস্ত |
লবন |
হলুদ |
রসুন বাটা |
আদা বাটা |
জিরার গুড়া |
ধনিয়া গুড়া |
ভোজ্য তেল |
পিঁয়াজ কুচি |
কাঁচা মরিচ বাটা |
চালের গুড়ি |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি একটি বাটিতে করে পরিমাণ মতো চিরা ভিজিয়ে রেখেছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন পালংশাক বেছে ধুয়ে পরিস্কার করে নিয়েছি ও কুচিকুচি করে কোটে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন কুঁচি করে কেটে নেয়া পালংশাকে আগে থেকে ভিজিয়ে রাখা চিরা গুলো দিয়েছি। চিরা ভিজিয়ে রাখার কারণে একদমই নরম হয়ে গেছে।
চতুর্থ ধাপ
এখন সব গুলো মসলা উপকরণ ও তিল দিয়েছি চিরাও পালংশাকে এবং সেগুলো খুবই ভালো করে মেখে নিয়েছি। এখানে এক ফোটাও জল ব্যাবহার করতে হবে না।একটু চালের গুড়ি দিয়েছি তাতে করে মাখাটি একটু টাইট হবে এবং তাতে করে পাকোড়ার আকার দিতে সুবিধা হবে।
পঞ্চম ধাপ
এখন হাতের সাহায্য মিশ্রণ টি একটু করে নিয়েছি চ্যাপ্টা আকার দিয়েছি। এভাবে একে একে সব গুলোই বানিয়ে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন বানানো বড়া গুলোতে আবারও এপিঠ ওপিঠ গোটা ছেলা তিল দিয়েছি।
অষ্টম ধাপ
এখন কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়েছি ও তেল গরম হয়ে গেলে একে একে বানিয়ে রাখা পাকোড়া গুলো দিয়েছি ও ভেজে নিয়েছি।
নবম ধাপ
এখন বড়া গুলো মুচমুচে ভাজা হয়েছে তাই একটি প্লেটে তুলে নিয়েছি।
পরিবেশের জন্য তৈরি
এই ছিলো আমার মুচমুচে মজাদার তিল পালং পাকোড়া রেসিপিটি।খেতে ভীষণ সুস্বাদু এই রেসিপি।আমরা তো সবাই জমিয়ে খেয়েছি। আজকের মতো একখানে শেষ করছি আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোষ্টের মাধ্যমে।
সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
তিল আর পালং শাক দিয়ে তৈরি এই পাকোড়া সত্যিই বেশ ইউনিক এবং মজাদার মনে হচ্ছে। সাধারণত পালং শাকের বড়া খাওয়া হলেও তিল দিয়ে এরকম কিছু কখনো খাওয়া হয়নি। দেখেতো লোভনীয় লাগছে, খেতেও নিশ্চয়ই দারুণ হয়েছে। মাঝেমধ্যে এভাবে নতুন কিছু ট্রাই করা ভালো লাগে। আপনার এই অসাধারণ রেসিপির জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। এমন চমৎকার নতুন নতুন আইডিয়া আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
তিল দিয়ে খেয়ে দেখবেন আপু ভালো লাগবে।
চিড়ের সাথে পালং শাককে মিশিয়ে খুব সুন্দর পকোড়া বানিয়েছো তুমি। তার ওপরে সাদা তেলের কঠিন দেয়ার ফলে আমার ধারণা পকোড়া খেতে একেবারেই অন্যরকম হয়েছিল। এ রেসিপিটা ভীষণ হেলদি। তুমি তো এটা ডুবো তেলে ভেজেছো তাওয়াতে শ্যালো ফ্রাইও করা যায়।
ঠিক বলেছো রেসিপি টি একদমই হেলদি।
তিল আর পালং দুটোই কিন্তু বেশ লোভনীয় খাবার । আর পুষ্টিকর খাবারও বটে। আপনি এই দুই রকমের জিনিস দিয়ে বেশ লোভনীয় পাকোড় ভাজা তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা পাকোড় ভাজা দেখে তো খেয়ে ফেলতে মনে চাইছৈ। ধন্যবাদ আপনার দারুন রেসিপির জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
তিল পালং পাকোড়া রেসিপি দারুন হয়েছে। দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল। অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
দারুণ একটা রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। কখনো পালং শাক দিয়ে তিল দিয়ে তৈরি করা হয়নি। দেখেই তো লোভ লাগছে। আমার তো মনে হচ্ছে এটা খুবই মজার হয়েছিল। দেখতেও খুব সুন্দর লাগছে তিল আর পালংশাক দিয়ে তৈরি করা পকোড়াটা।এটা কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক ভালো।
বেশ ইউনিক একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। পালং শাকের বড়া খাওয়া হয়েছে তবে এভাবে চিড়া এবং তেল দিয়ে কখনো তৈরি করা হয়নি। দেখতে তো বেশ লোভনীয় লাগছে। মাঝেমধ্যে এরকম ভিন্ন কিছু খেতে ভালোই লাগে। আপনাকে ধন্যবাদ আপু মজার একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
লিংক
অনেক মজাদার পাকোড়া রেসিপি তৈরি করেছেন তো আপনি। দেখেইতো জিভে জল চলে আসলো। মজার মজার পাকোড়া গুলো খেতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। এই ধরনের পাকোড়া গুলো বিকেল বেলায় বেশি মজা করে খাওয়া যায়। আপনার তৈরি করা আজকের পাকোড়া রেসিপি টা আমার খাওয়া হয়েছে অনেকবার। এটা তো আমার অনেক মজা লাগে খেতে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।
এমনি পালং শাক তো অনেক খেয়েছি। হবে আজকে তো আপনি আমাকে একদম টাক লাগিয়ে দিয়েছেন। পালং শাক এবং তিল দিয়ে যে এরকম পাকোড়া তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে সেটা আমার কল্পনার বাইরে। নতুন একটা রেসিপি শিখে নিলাম বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখব। আপনার পরিবেশন দেখে মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। মুগ্ধতা রেখে গেলাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।