চিংড়ি ভর্তা রেসিপি❤️
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো মজাদার সুস্বাদু চিংড়ি মাছের রেসিপি।
চিংড়ি মাছ খুবই জনপ্রিয় একটি মাছ।সবার পছন্দের এই চিংড়ি মাছ। চিংড়ি মাছ নানান রকম ভাবে খাওয়া যায়।যে ভাবেই খাওয়া হোক না কেন চিংড়ি মাছ খেতে দারুণ লাগে।আমি মাঝে মাঝে চিংড়ি মাছের পাকোড়া বানিয়ে খেয়ে থাকি। চিংড়ি মাছে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে।
চিংড়ি মাছের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ ভিটামিন বি-১২ পেয়ে থাকি চিংড়িতে । তবে বিশেষ ভিটামিনটি স্মৃতিশক্তি প্রখর রাখতে সাহায্য করে এবং হৃৎপিণ্ড ভাল রাখে। প্রচুর পরিমাণ প্রোটিনের উৎস হল চিংড়ি আর প্রোটিন শরীরের একটি প্রয়োজনীয় একটি মাছ এই চিংড়ি মাছ। এই পুষ্টিকর ও মজাদার মাছের ভর্তা দিয়ে গরম ভাত কিংবা চিতই পিঠা খেতে দারুণ লাগে।
তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন
১.কুচো চিংড়ি মাছ |
---|
২.পেঁয়াজ কুচি |
৩.শুকনা মরিচ |
৪.রসুন |
৫.লবন |
৬.হলুদ |
৭.সরিষার তেল |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি প্রথমে চিংড়ি মাছ গুলো পরিস্কার করে ধুয়ে জল ঝড়িয়ে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন পেঁয়াজ কুচি করে নিয়েছি ও রসুন ছিলে নিয়েছি,শুকনো মরিচ নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন কড়াইয়ে সরিষার তেল দিয়েছি ও তাতে শুকনা মরিচ দিয়ে ভেজে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এখন মরিচ ভাজা তেলেই পেঁয়াজ কুচিও রসুন ভেজে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এখন কুচো চিংড়ি গুলো কড়াইয়ে দিয়েছি ও তাতে লবন হলুদ দিয়েছি এবং নারাচারা করে মিশিয়ে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন শিল পাটায় ভাজা শুকনো মরিচ বেটে নিয়েছি ও তাতে পেঁয়াজ ও রসুন ভাজা গুলো দিয়ে বেঁটে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
এখন ভাজা কুচো চিংড়ি গুলো দিয়েছি ও বেঁটে নিয়েছি খুবই ভালো করে।
অষ্টম ধাপ
চিংড়ি ভর্তা খুব ভালো ভাবে হয়ে গেছে তাই পাটা থেকে তুলে নিয়েছি।
পরিবেশের জন্য তৈরি
এই ছিলো আমার মজাদার কুচো চিংড়ি ভর্তা রেসিপিটি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আবারও দেখা হবে অন্যকোন নতুন পোস্টের মাধ্যমে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
ছোট ছোট এই চিংড়িগুলো ভর্তা খেতে দারুন লাগে। আমার তো বেশ ভালো লাগে খেতে। গরম ভাতের সাথে এই ভর্তার কম্বিনেশন আহা ভাবতেই মুখে পানি চলে আসছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু চিংড়ি মাছের মজাদার ভর্তা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
লিংক
অনেক সুন্দর চিংড়ি ভর্তা রেসিপি প্রস্তুত করেছেন দিদি দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। চিংড়ি মাছ আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। চিংড়ি ভর্তা রেসিপি অবশ্য কখনো খাওয়া হয়নি আপনার রেসিপিটি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে বিস্তারিত ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
চিংড়ি মাছ যেহেতু পছন্দ করেন তাই এভাবে ভর্তা বানিয়ে খেয়ে দেখবেন খুবই ভালো লাগবে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
চিংড়ি মাছ এমনিতে কমবেশি সকলের প্রিয়। যেভাবে চিংড়ি মাছের রেসিপি করা হোক না কেন খেতে খুবই ভালো লাগে। আজকে আপনি বেশ মজার করে চিংড়ি মাছের ভর্তা রেসিপি তৈরি করলেন। তাহলে তো বোঝা যাচ্ছে কত সুস্বাদু হবে চিংড়ি মাছের ভর্তা। রেসিপিটি বিস্তারিত দেখে অনেক ভালো লেগেছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।
একদম বাস্তব সত্য কথা হলো চিংড়ি মাছ আমার খুবই পছন্দের। এটাতে যতই এলার্জি থাকুক না কেন এটা খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।চিংড়ির বিভিন্ন রকমের রেসিপি করে খাওয়া হয়েছে তবে এভাবে ভর্তা করে খাওয়া হয়নি। আপনি তো রেসিপি টা দেখিয়ে লোভ লাগিয়ে দিলেন। ইচ্ছে করছে এখান থেকে নিয়ে ভাত খাওয়া শুরু করে ফেলি।
এভাবে ভর্তা করে খেয়ে দেখবেন আরো প্রেমে পড়ে যাবেন চিংড়ি মাছের।
হ্যাঁ আপু অবশ্যই ভাবে একদিন ট্রাই করবো। অবশ্য চিংড়ি মাছ ফ্রিজে রয়েছে সেগুলো দিয়ে ট্রাই করা যাবে।
চিংড়ি মাছ তেমন একটা খাওয়া হয়না। আপনি চিংড়ি মাছ দিয়ে মজাদার ভর্তা বানিয়েছেন। গরম ভাতের সাথে ভর্তা খেতে দারুণ লাগে।
অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।
বাসায় গেলে মাঝেমধ্যে চিংড়ি ভর্তা খাওয়া হয়। আমার আম্মু চিংড়ি ভর্তা খেতে খুব পছন্দ করে।আপনি খুব সুন্দর ভাবে চিংড়ি ভর্তা করেছেন, দেখেই খাওয়ার জন্য লোভ হচ্ছে।চিংড়ি ভর্তা তৈরি করার পদ্ধতি আমাদের মাঝে এত সুন্দর হবে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
চিংড়ি মাছ দিয়ে যে কোন কিছু বানালে খেতে বেশ মজা লাগে। আজকে আপনি খুব মজার চিংড়ি ভর্তা রেসিপি করেছেন। তবে এ ধরনের ভর্তা রেসিপির মধ্যে শুকনো মরিচ দিলে খেতে বেশ মজা লাগে। আর চিংড়ি মাছের মধ্যে এমনিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন আছে। খুব সুন্দর করে চিংড়ি মাছের ভর্তা রেসিপি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ভর্তা খেতে অনেকেই ভালোবাসে৷ কারণ ভর্তা যেরকম সুস্বাদু হয়ে থাকে তা অন্য কোন খাবারের মধ্যেই থাকে না৷ আর আজকে যেভাবে আপনি এই ভর্তা রেসিপি শেয়ার করেছেন তা দেখে খুব ভালোই লাগছে৷ এখানে এটি দেখে মনে হচ্ছে যে অনেক সুস্বাদু হয়েছে৷ একই সাথে এখানে এটি তৈরি করা ধাপগুলো আপনি যেভাবে তৈরি করেছেন তা যেরকম সুন্দর হয়েছে তেমনি এখানে এত সুন্দর ও সুস্বাদু একটি রেসিপি বেশি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে৷