টমেটো চাটনি রেসিপি ❤️

in আমার বাংলা ব্লগyesterday

হ্যালো

কেমন আছেন সবাই। আশা করছি খুবই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি সুস্থ আছি আপনাদের আশির্বাদে ও সৃষ্টি কর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।

IMG_20250223_181400.jpg

আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো একদমই সাধারণ পদ্ধতিতে টমেটোর চাটনি রেসিপি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

টমেটো অনেক পুষ্টিকর একটি সবজি। এই পুষ্টিকর সবজিটি রান্না করে খেতে যতোটা ভালো লাগে ততটাই ভালো লাগে সালাদ হিসেবে খেতে।মাছ, মাংস এবং যেকোনো রকমের নিরামিষ তরকারিতে টমেটো খেতে দারুণ লাগে।টমেটো ব্যাবহারের ফলে রেসিপির স্বাদ দিগুণ বেড়ে যায় ও মুখের রুচি বাড়ায়।

বিয়ে বাড়িতে পাতের শেষে নানান পদ্ধতিতে টমেটোর টক বা চাটনি করে থাকে তবে আমরা ছোট বেলা থেকে এই ঘরোয়া উপায়ে সুস্বাদু ও মুখরোচক টমেটো চাটনিটি খেয়ে থাকি।একই পদ্ধতিতে টমেটো রান্না করে পাতলা করলে তাকে টক বলে আর এরকম ভারি ভাবে রান্না করলে তাকে চাটনি বলে।দুভাবে খেতেই খুবই ভালো লাগে এই টমেটোর টক বা চাটনি। খুবই সহজ পদ্ধতি এই টমেটোর চাটনির।বর্তমান বাজারে খুবই তরতাজা লাল টুকটুকে টমেটো পাওয়া যায়।দামও অনেক কম আর মানে অনেক ভালো।অন্য সময় দামবেশি দিদি টমেটো কিনে রান্না করলে সহজে সিদ্ধ হতে চায় না কচকচে হয়ে থাকে কিন্তুু এখনকার টমেটো একদমই মোমের মতো গলে যায়।

তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি

IMG_20250223_170628.png

টমেটো
গুড়
সরিষা
ভোজ্য তেল
লবন

PhotoCollage_1740309891977.jpg

প্রথম ধাপ

প্রথমে আমি কিছু লাল টুকটুকে পাকা টমেটো নিয়েছি।

InShot_20250223_175450396.jpg

দ্বিতীয় ধাপ

এখন টমেটো গুলো জল দিয়ে পরিস্কার করে ধুয়ে নিয়েছি এবং টুকরো টুকরো করে কেটে নিয়েছি। ছোট করে কাটলে তারাতাড়ি সিদ্ধ হয়।

IMG_20250223_175710.jpg

IMG_20250223_175729.jpg

তৃতীয় ধাপ

এখন চুলায় কড়াই বসিয়েছি ও তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে গরম করে নিয়েছি ও তাতে গোটা সরিষা ফোঁড়ন দিয়েছি ও আগে থেকে কেটে রাখা টমেটো গুলো দিয়েছি।

PhotoCollage_1740312038317.jpg

চতুর্থ ধাপ

এখন টমেটো গুলোতে লবন দিয়েছি ও নারাচারা করে নিয়েছি।

PhotoCollage_1740312157869.jpg

পঞ্চম ধাপ

অল্প সময় রান্না করে নিয়েছি তাতেই টমেটো গুলো গলে গেছে এতোটা ভালো টমেটো।

PhotoCollage_1740312233276.jpg

ষষ্ঠ ধাপ

এখন আধাগলা টমেটো গুলোতে আঁখের গুড় দিয়েছি ও নারাচারা করে নিয়েছি। এখানে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এক ফোঁটাও জল ব্যাবহার করেনি। টমেটোর জল ও গুড় দেয়ার পর যে জল বের হয়েছে তাতেই হয়ে গেছে মজার টমেটোর চাটনি।

PhotoCollage_1740312402836.jpg

সপ্তম ধাপ

হয়ে গেছে তাই নামিয়ে নিয়েছি পরিবেশের জন্য।

InShot_20250223_181054066.jpg

পরিবেশন

IMG_20250223_181400.jpg

InShot_20250223_181630650.jpg

IMG_20250223_181400.jpg
এই ছিলো আমার আজকের লোভনীয় মুখরোচক সহজ পদ্ধতিতে টমেটোর চাটনি রেসিপি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আবারও দেখা হবে অন্যকোন নতুন পোস্টের মাধ্যমে।
সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।

টাটা

পোস্টবিবরণ
পোস্ট তৈরি@shapladatta
শ্রেণীরেসিপি
ডিভাইসOppoA95
লোকেশনবাংলাদেশ

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20230826_182241.jpg

আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



IMG_20250222_212248.png

IMG_20250222_212237.png

Sort:  
 yesterday 

আপু টমেটোর এমন লোভনীয় চাটনি দেখেই জিভে জল টলমল করছে। টমেটো দিয়ে এভাবে চাটনি খেতে আমি খুব পছন্দ করি। এভাবে চাটনি বানিয়ে রেখে বেশ কিছুদিন খাওয়া যায়। আপনি প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 6 hours ago 

টমেটো দিয়ে এরকম চাটনি খেতে আপনি ভালোবাসেন জেনে ভালো লাগলো।

 yesterday 

আমার বাড়িতে বলা হয় যেকোনো চাটনি রান্না করা সব থেকে সহজ অথচ হাসির বিষয় হল আমি কোন চ্যাট নেই ঠিক মত রান্না করতে পারি না। বাড়িতে গিয়ে সমস্ত নাম আমি নিজের হাতে করলেও চাকরির জন্য আমার জা কে বা এ বাড়িতে হলে মা কে ঠেকিয়ে দিই। তোমার চাটনির রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগছে। এই ভাবেই আমাদের বাড়িতেও করা হয়।

 yesterday 

ব্যাস্তার জন্য এইরকম হয়।তোমার বাড়িতে এরকম ভাবেই চাটনি রান্না করা হয় জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 yesterday 

এরকম চাটনিগুলো দেখলে তো জিভে এমনিতেই জল চলে আসে আপু। সত্যিকার অর্থেই আপনার তৈরি করা চাটনি রেসিপিটি দেখে আমার খাওয়ার খুবই লোভ লেগে গেলো। গুড় টমেটো এবং সরিষা দিয়ে দারুন একটি পুষ্টিকর রেসিপি তৈরি করেছেন। সঠিক বলেছেন বিয়ে বাড়িতে টমেটোর বিভিন্নভাবে চাটনি তৈরি করা হয়।

 yesterday 

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 yesterday 

টমেটো চাটনি রেসিপি শেয়ার করেছেন।যে কোন তরকারীতে টমেটো মিশ্রণ করে এবং টমেটোর চাটনি খেতে অনেক টেস্টি লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভ সামলাতে পারছি না। আপনি অনেক সুন্দর করে সময় দিয়ে ধৈর্য ধরে রেসিপিটি তৈরি করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে খেতে ও মনে হয় অনেক মজাদার হয়েছিল।

 yesterday 

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 yesterday 

টমেটো চাটনির রেসিপিটি দেখে তো খাওয়ার আগেই স্বাদ অনুভব করতে পারছি ।যে কোনো খাবারের সঙ্গে টমেটোর মিশ্রণ দারুণ মানিয়ে যায়, আর চাটনি হলে তো কথাই নেই। আপনার যত্ন আর ধৈর্যের ছোঁয়া স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে, যা রেসিপিটিকে আরও লোভনীয় করে তুলেছে। নিঃসন্দেহে দারুণ মজাদার হয়েছে।

 6 hours ago 

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 yesterday 

শীতকালে টমেটো সবজিটা যেন সবরকম ভাবে রান্না করা যায়। ঠিক তেমনিভাবে টমেটোর চাটনি সস তৈরি করা হয়। আপনি বেশ সুন্দরভাবে গুছিয়ে টমেটো চাটনি বানিয়ে আমাদের মাঝে রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 hours ago 

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 yesterday 

PhotoCollage_1740314792264.jpg

 yesterday 

দিদি টমেটো চাটনি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। গরমের সময় টমেটো চাটনি খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আর এটা সত্যি কথা বলেছেন টমেটো অনেক পুষ্টি গুণসমৃদ্ধ খাবার। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 6 hours ago 

অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।

 18 hours ago 

আমিও মাঝে মাঝে এমন করে চাটনী করে খাই। আপনি কিন্তু বেশ দারুন একটি রেসিপি করেছেন। একেবারে জিভে পানি আসার মত। তবে আজকের এই রেসিপি কিন্তু আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। এমন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 6 hours ago 

আপনি ও মাঝে মাঝে এরকম চাটনি করে খান জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 16 hours ago 

আপু আপনি আমার অনেক পছন্দের একটি রেসিপি শেয়ার করছেন। টমেটোর চাটনি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। তবে চাটনির মধ্যে হালকা ঝাল হলে খেতে আরো বেশি ভালো লাগে আমার। যাইহোক আপনার রেসিপি দেখে জিভে পানি চলে আসলো আপু। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।

 6 hours ago 

টক,মিষ্টি, ঝাল টক খেতে আমারও অনেক ভালো লাগে।