You are viewing a single comment's thread from:

RE: আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ -৩৭

আসলে ছোটবেলায় স্কুলে না যাওয়ার জন্য অনেক বাহানা করতাম, কিন্তু মা-বাবা তো ঠিকই ধরে ফেলতো তাই কোন বাহানাই শেষ পর্যন্ত কাজ করতো না। তখন আমি সবে মাত্র ক্লাস ওয়ানে পড়ি। আমাকে স্কুল থেকে স্বরবর্ণ লিখে আনতে বলেছিল। তবে প্রথম দিন লিখে যায়নি কোন একটা বাহানা দিয়েছিলাম, তাই পরের দিন sir বলেছিল যে যদি না লিখে নিয়ে আসিস তাহলে কিন্তু বেতের বাড়ি খাবি। কিন্তু পরের দিনও খেলাধুলা করার ছলে আমি আসলে ভুলেই গেছিলাম যে আমাকে স্কুলে যে কাজ দিয়েছিল ওটা লিখে নিয়ে যায়নি। তাই মনে মনে একটা ফন্দি ফিকির আঁকলাম যে কি করে আজকের দিনও স্কুল মিস দেওয়া যায়। যাইহোক শেষমেশ কোন কিছু না পেয়ে ভাবলাম যে পাতলা পায়খানার একটা বাহানা ধরি। আমি ঘন্টার পর ঘন্টা বাথরুমে বসে থাকবো তারপর যখন স্কুলে যাওয়ার টাইম শেষ হয়ে যাবে তখন বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসবো। আসলে আমি সেটাই করেছিলাম প্রায় আধাঘন্টা ধরে আমি বাথরুমে বসে ছিলাম। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কোন বাথরুমই তো হচ্ছিল না। কারণ স্কুলে যাওয়ার আগে মা আমাকে আগেই বাথরুম করিয়ে নিয়ে এসেছিল। তাই কোন প্রকারেই বাথরুম হচ্ছিল না। তারপরও ঘুপটি মেরে বসে ছিলাম। বেশ কিছু সময় পর মা এর আমাকে নিয়ে সন্দেহ হলো যে ছেলে বাথরুমে বসে রয়েছে এত সময় কি করছে। তখন মা আমাকে বাইরে থেকে ডাক দিল যে তুই বাথরুমের ভিতরে কি করছিস তোর স্কুলের টাইম হয়ে গেল তো। তখন আমি মাকে বলেছিলাম যে আমার পাতলা পায়খানা হয়েছে। এজন্য আমি আজকে স্কুলে যেতে পারবো না। কিন্তু মা তো মা-ই হয়, তিনি দরজা খুলে ফেলে দিল এবং বলল দেখি তোর কেমন বাথরুম হচ্ছে, তুই পায়খানা কর আমি দেখছি। এইতো খেয়ে গেলাম ধরা, কারণ বাথরুম তো হচ্ছেই না, শুধু বসেই রয়েছি। পেটের ভেতর কিছু থাকলে তারপর না সেটা বেরোবে বাইরে। মোটামুটি মা ১০ মিনিটের মত আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো। এদিকে আমার ভয়ে যা বাথরুম আসছিল সেটা ভিতরে চলে গেল। যাইহোক এই জিনিস দেখার পরে মা এর এত পরিমাণে রাগ হয়েছিল যে ওখান থেকে কান ধরে টানতে টানতে বাড়ি নিয়ে এসে আমাকে স্কুলে নিয়ে দিয়ে আসলো। ভেবেছিলাম এই বুদ্ধি মাঝেমধ্যে কাজে লাগাবো কিন্তু কোন লাভ হলো না সুমন দা।