আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ -৩৭
আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।
আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।
আজকের বিষয়ঃ
ছোটবেলায় স্কুলে না যেতে চাওয়ার বাহানা নিয়ে মজার কোন জোকস বা অনুগল্প।
বিষয় নির্বাচনকারীঃ
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
- এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
খোকা : বাবা আমি আর আজ স্কুলে যাবো না।
বাবা : কেন বাবু কী হয়েছে?
বায়োলজি টিচার বলে, সেল মানে শরীরের কোষিকা !
ফিজিক্স টিচার বলে, সেল মানে ব্যাটারি !
ইকোনোমিক্স টিচার বলে, সেল মানে বিক্রি !
হিস্ট্রি টিচার বলে, সেল মানে জেল !
ইংরেজি টিচার বলে, সেল মানে মোবাইল !
যে স্কুলে টিচারদের মধ্যে একটা শব্দ নিয়ে এতো কনফিউশন সেই স্কুলে পরে আমি কি শিখবো???
সেদিন ছিলো আমার জন্মদিন। তো আমার স্কুলে যেতে একদমই মনে চাচ্ছিলোনা। কিন্তু স্কুলে না গেলেও আব্বু বকা দিবে। তাই ভাবতেছিলাম কি করা যায়। তো আমার পড়ার টেবিল এর জন্য একটা টুল ছিলো। সেটা একটু নরবরে ছিলো। মানে ভেঙ্গে যাবে এমন অবস্থা। তখন আমি সেটাকে এমন ভাবে ভেঙ্গে ফেললাম যেনো মনে হয় বসার পর ভেঙ্গে গিয়েছে। তারপর আমি ভান ধরলাম যে আমার হাত মচকে গেছে। আব্বু দুপুরে বাসায় আসলে সেটাই বলি। আর স্কুলেও যাইনা। যদিও রাতে ধরা খেয়ে গিয়েছিলাম। 🤣🤣🤣🤣।
রোজ রোজ তো, আর অন্যান্য শরীর খারাপ হতো না, তাই কি আর করা মাঝেমধ্যেই স্কুলে না যাওয়ার জন্য বলতাম- খুব পেটে ব্যথা করছে। বলেই সাথে সাথে পেটে হাত দিয়ে শুয়ে পড়তাম। আর বাড়ির লোকেরা ভাবতো ,সত্যিই মনে হয় অনেক পেটে ব্যথা করছে 🤪।আসলে পেটে ব্যথা তো আর বাইরে থেকে দেখা যায় না ,জ্বর বললে তাও অনেক সময় গায়ে হাত দিলে বুঝে যাবে। কিন্তু পেটে ব্যথা করছে, মাথার যন্ত্রণা করছে , বমি পাচ্ছেএইসব অজুহাত দিলে আর বাইরে থেকে বুঝতে পারত না, তাই এই অজুহাত গুলোকেই কাজে লাগাতাম। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই যখন স্কুলের টাইম পার হয়ে যেত, তখন দিব্যি আমি ঘুরে বেড়াতাম ।🐒আর তখনই বুঝে যেত আমার ছলনা😐।
বাড়ির লোকেরা যদি এই টেক্সটা এখন দেখে তাহলে কি অবস্থা হবে বুঝতে পারছেন তো দিদি??🤣🤣🤣🤣
তাহলে, হয়তো বাড়ীর লোকেরা ডিপ্রেশনে চলে যাবে 🤪। আসলে আমাদের বাড়ীর লোকেরা ভাবে আমরা ভাজা মাছ উল্টাতে পারিনা কিন্তু আমরা আসলে উল্টে কাটা টাও ছাড়িনা।🐒
হেহেহে 🤪🤪 আমায়ও তাই ভাবে দিদি ..ভাজা মাছ উল্টাতে পারিনা আর এটাই সত্যি🤣🤣 কারণ আমি মাছ ই খাই না তাহলে ভাজা মাছ উল্টাতে যাব কোনো !
সেটাই, আপনি তো মাছই খান না ।তাহলে মাছ উল্টাতে যাবেনই বা কেন! হি হি হি।
এখন পটল উল্টিয়েই খাই দিদি মাছের পরিবর্তে 🤣🤣।
হা হা হা 🤣🤣🤣🤣🤣।
এই সেইম কাজ আমি করতাম। আমার তো ডক্টরের কাছেও নিয়ে যেত। হাহাহা
কি মুশকিল ! মিথ্যে মিথ্যে অসুখের জন্য আবার ডাক্তারের কাছেও নিয়ে যাওয়া, হা হা হা।
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি এতো সুন্দর একটা আয়োজন এর জন্য।
আমার যতদুর মনে পরে আমি তখন ৩য় শ্রেণীতে পড়াশোনা করি। একদিন আমার স্কুল এর পড়া হয় নাই। সকলেই ম্যাডামকে অনেক বেশি ভয় পাইতাম কারণ উনি অনেক রাগি ছিলো আর পিটাইতো অনেক। স্কুল এ না গেলে এই দিকে মা পিটাবে। কিছুক্ষণ ধুম ধরে বসে থাকতে থাকতে মাথায় বুদ্ধি আসলো। পরে খাটের নিচে ঢুকে শুয়ে ঘুমাই গেছিলাম। আর টিফিন এর সময় বের হয়ে আশছি। কেউ বুঝতে নাই সেদিন। আর এভাবেই মাঝে মাঝেই এভাবে ফাকি দিতাম।
ওরে বুদ্ধি 🤣
স্কুলে না যাওয়ার জন্য নানা ধরনের উপায় খুঁজে বের করতাম দাদা। তার মধ্য থেকে একটি শেয়ার করছি । কোথায় যেন একটা পড়েছিলাম অথবা শুনেছিলাম যে, বগলের মধ্যে পেঁয়াজ নিয়ে রোদে দাঁড়িয়ে থাকলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় 🤣🤣! শিখেছি তা কাজে লাগাবো না সেটা তো আর হয় না! স্কুলে যাওয়ার ১ ঘন্টা আগে পেঁয়াজ বগলে নিয়ে রোদে দাঁড়িয়ে থাকতাম শরীরের তাপমাত্রা বাড়ানোর জন্য। বগলের মধ্যে পেঁয়াজ রাখার কারণে শরীরের তাপমাত্রা বাড়তো কি না যায় না, তবে রোদে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে শরীর গরম হয়ে যেত। তাড়াতাড়ি করে রুমে এসে মাকে বলতাম আজ গায়ে জ্বর স্কুলে যাব না 🤣🤣। এই কাজ অনেকবারই করেছি কিন্তু এইসব করে প্রত্যেকবার স্কুলে যাওয়া থেকে মাফ পেতাম সেটা হতো না।
ছোট বেলায় আমি আর আমার ছোট ভাই সব সময় এক সাথে স্কুলে যেতাম।আর স্কুলে যাওয়ার সময় সব সময় আমাদের টিফিন দিয়ে দিতও মেজু আপু। আর স্কুলে তো না যাওয়ার হাজার বাহানা করতাম কিন্তু কাজ হতো না। আর বাসা থেকে বের হয়ে ছোট ভাই আর আমি। আমার ছোট ভাই রাস্তা দিয়ে যেতে টিফিন শেষ করে নিতো।আর স্কুলে যাওয়ার আগেই সামনে কিছু ধান ক্ষেত থাকতো। আর ধান ক্ষেতে তো পানি থাকতোই।আমি না হয় আমার ছোট ভাই দুইজন থেকে একজন ধান ক্ষেতের কাঁদা পানিতে ইচ্ছা বসে ভালো করে কাঁদা আর পানি মাখিয়ে নিতাম🤭🤭।আর বাসায় এসে বলতাম স্কুলে যাওয়ার সময় পড়ে গেছি ধান ক্ষেতে।আর আম্মু বলতো একজন পড়লি দুইজন আসলি কেনও। একা একা ভালো লাগে না তাই চলে আসছি😁😁🤭🤭🤭।আবার এমনোও করতাম মাঝে মাঝে দুইজন এক সাথে কাঁদা মাখিয়ে নিতাম 😁😁🤭।অনেক ধন্যবাদ ছোট বেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেলও।
হাহাহা। সত্যি খুব মজা পেলাম।
মজার ব্যাপার হলো একবারও ধরা পড়ি নাই হিহিহি🤭🤭 ধন্যবাদ ভাইয়া।
আদরের মেয়ে কিছুতেই আজ স্কুলে যাবে না। বাবা বুদ্ধি করে তাকে একটা পয়সা দিয়ে বললেন, ‘এটা দিয়ে টস করো, তারপর ‘টসভাগ্য’ দেখে অন্তত স্কুলে যাও।’
মেয়ে পয়সাটা হাতে নিয়ে বলল, ‘ঠিক আছে, পয়সাটা আমি ওপরে ছুড়ে দিচ্ছি। যদি ‘হেড’ ওঠে তাহলে মামার সঙ্গে বাইরে ঘুরতে যাব। যদি ‘টেল’ ওঠে তাহলে ভিডিও গেম খেলতে বসব। আর যদি পয়সাটা ওপর থেকে আর নিচে ফিরে না আসে তাহলে স্কুলে যাবো!’
আমাদের স্কুলে ইউনিফর্ম ছাড়া ঢুকতে দিত না। একদম ফুল ইউনিফর্ম এ ঢোকা লাগত। যেদিনই স্কুল যেতে মন চাইত না শার্ট অথবা প্যান্ট রাখতাম লুকিয়ে।আম্মু আমাকে কিছু বললেই বলতাম তুমিই তো সব গুছিয়ে রাখো আমি কিভাবে জানব।
এটা যদিও ভালো বুদ্ধি ভাই কিন্তু এই বুদ্ধি যদি আমি ছোটবেলায় ব্যবহার করতাম মার একটাও মাটিতে পড়তো না, সব আমার পিঠেই পড়তো... হেহে 🤣🤣।
আমাদের স্কুলের পাশে পাটের চাষ হতো। তো স্কুল ঘরের মধ্য থেকে বইগুলো জানালার পাশে রেখে দিলাম। এরপরে স্কুলের সামনে দিয়ে স্কুলের পেছনের দিকে চলে গেলাম, যে জানাল পাশে আমার বই গুলো রাখা ছিল। এবার ওখান থেকে বই নিয়ে পাটের আড়ালে লুকিয়ে পড়লাম এবং পাশ দিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম।