জগদ্ধাত্রী পুজো ১৪২৯ : পূজা পরিক্রমা পর্ব ০৬ [অন্তিম পর্ব]
আজকের পর্ব হলো এই সিরিজের একদম শেষ পর্ব । এই পুজো প্যান্ডেলটা দেখা শেষ করতে করতে রাত প্রায় ন'টা বেজে গিয়েছিলো । তাই এরপরে আর কোনো পুজো না দেখেই আমরা বাড়ি ফিরে এসেছিলুম । লাস্ট পুজো প্যান্ডেলটাও দারুন সুন্দর ছিল । এই পুজো প্যান্ডেলের বৈশিষ্ট্য ছিল এটি সম্পূর্ণ বেত, বাঁশ, কাপড়, পাটের দড়ি আর কাগজ দিয়ে তৈরী । তবে প্রধান উপকরণ অবশ্যি বেত ।
এটাই ছিল এই পুজো প্যান্ডেলের মুখ্য প্রচারণা । তবে বেত দিয়ে হাতি, ঘোড়া, গরু, গরুর গাড়ি, পাখি, মানুষ, গাছগাছালি এত নিখুঁত সুন্দর ভাবে তৈরী করেছিল যে দেখলে চোখ ফেরানো কঠিন । আর একটা বিষয় ছিল ভিআইপি পাস্ ছিল যাঁদের তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট কোনো নির্ধারিত সময় ফিক্সড ছিল না প্যান্ডেল ঘুরে দেখার । অন্যদের যেখানে বরাদ্দ মোটে ৩-৫ মিনিট । অন্যখানে ভিআইপি পাস্ধারীদের তেমন কোনো টাইম লিমিটেশন নেই । তাই আমরা অনেকটা সময় ধরে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বেতের তৈরী এই সব দারুন সুন্দর মানুষ, হাতি, ঘোড়া, গরুর গাড়ি, নৌকা, মাছ, ফুল, পাখির মডেল দেখেছিলাম ।
তবে দুঃখ একটাই যে বাস্তবে যতটা সুন্দর দেখায় ক্যামেরা দিয়ে ততটা সুন্দর করে সেটা ফ্রেম বন্দী করা সম্ভবপর নয় । আর বিশেষ করে মোবাইল ফোনের ক্যামেরা দিয়ে তো নয়-ই । পুজো প্যান্ডেলের মুখ্য আকর্ষণ দেবী প্রতিমাটিও দারুন মনোমুগ্ধকর হয়েছিল । পুজো প্যান্ডেলের চারিপাশ ঘিরে আবার বেশ বড়সড় একটা মেলাও বসেছিল । স্বাগতা মেলায় একটা raffel draw তে একটা ক্যাডবেরি চকোলেট জিতেছিল ।
এরপরে বাড়ি ফেরার পালা । রাস্তায় ছিল অসম্ভব লোকে লোকারণ্য । একটা সুঁচও যেনো গলতে না পারে এমন ঠাস বুনোট সে ভীড় । বহুকষ্টে সেই ভীড় ঠেলে প্রায় এক কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে অবশেষে গাড়ির কাছে এসে পৌঁছলাম ।
সম্পূর্ণ পুজো প্যান্ডেলটাই বেত দিয়ে তৈরী । এছাড়াও মানুষ, হাতি, ঘোড়া, গরুর গাড়ি, নৌকা, মাছ, ফুল, পাখির মডেলগুলোও সব বেতেরই তৈরী ।
তারিখ : ০১ নভেম্বর ২০২২
সময় : রাত ০৮ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এত জীবন্ত সব মূর্তিগুলো খুবই নিখুঁতভাবে শুধুমাত্র বেত দিয়ে তৈরী । আর কোনো উপকরণই ইউজ করা হয়নি এখানে ।
তারিখ : ০১ নভেম্বর ২০২২
সময় : রাত ০৮ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
প্যান্ডেলের অভ্যন্তরভাগও দারুনরূপে সুসজ্জিত । আর দেবী প্রতিমাটির উচ্চতা ছিল প্রায় তিন মানুষ । অপরূপা দেবী মূর্তি, দারুন সাজে সজ্জিতা ।
তারিখ : ০১ নভেম্বর ২০২২
সময় : রাত ০৮ টা ৫০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫০০ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 500 trx)
তারিখ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
টাস্ক ১৬৪ : ৫০০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫০০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : 080e548fc4e29f3bc0115b6cd8c359edc6648fa2ea90a97b86599e835987a0a0
টাস্ক ১৬৪ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
পুজো পরিক্রমার শেষ পর্বের ফটোগ্রাফি চমৎকার ছিল।এটা কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় শুধুমাত্র বেত,কাগজ, বাঁশ,কাপড়,পাটের দড়ি দিয়ে প্যান্ডেল টি তৈরি করা হয়েছে।কিন্তু প্রধান উপকরণ বেত।আর সবকিছুই বেতের তৈরি।এটা কিন্তু দাদা ঠিক বলেছেন বাস্তবে যতটা সুন্দর লাগে ক্যামেরা তে অতটা সুন্দর দেখায় না।তবে বাস্তবে হয়তো এর থেকেও ভালো লাগতে পারে, স্বাভাবিক।কিন্তু অনেক ভালো লাগছে দেখতে ফটোগ্রাফি গুলো প্যান্ডেলের ।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য দাদা।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
স্বাগতা আপুর ভাগ্য বরাবরই ভালো। তাছাড়াও বেতের কারুকাজ আসলেই চোখ ধাঁধানো। বেশ উপভোগ করলাম ছবিগুলো। ধন্যবাদ দাদা আপনাদের পুজোর মুহূর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
@tipu curate 7
Upvoted 👌 (Mana: 0/7) Get profit votes with @tipU :)
স্বাগতা আপু ক্যাডবেরি চকোলেট জিতেছিল শুনে খুবই ভালো লাগলো। আসলে ওনার ভাগ্যটা ভীষণ ভালো। আর বাঁশ এবং বেতের তৈরি এত অসাধারণ নিখুঁত জিনিস দেখে সত্যিই অবাক হলাম। আসলে এই রকম হাতে তৈরি করা কিন্তু ভীষণ কঠিন। যে মানুষগুলো তৈরি করেছে তারা অনেক গুণী শিল্পী। আমি তো এরকম কখনো সামনাসামনি দেখেছি বলে মনে হয় না। তবে আপনাদের ভিআইপি পাস ছিল বলে একটু বেশি করে ঘুরতে পেরেছেন।
বেত, বাঁশ, কাপড়, পাটের দড়ি আর কাগজ দিয়ে সাজানো পুজো প্যান্ডেলটি সত্যিই অসাধারণ লাগছে দেখতে। কে বলেছে দাদা এই দৃশ্যগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারেননি। ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। হয়তো বাস্তবে দেখতে আরো বেশি সুন্দর ছিল। তবে ফটোগ্রাফি গুলো দেখতেও ভালো লাগছে। বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেলে রেফেল ড্রোর আয়োজন করা হয়। স্বাগতা দিদি চকলেট পেয়েছে জেনে ভালই লাগলো। আমিও ছোটবেলায় একবার মেলায় লটারিতে পিস্তল পেয়েছিলাম।🤭
,বেত,বাঁশ,কাগজ,পাটের দড়ি,কাপড় এসব দিয়ে পূজো প্যান্ডেলের সবকিছু বানানো হয়েছে যা সত্যিই খুব অবাক বিষয়। আর দাদা ফটোগ্রাফি আপনি বেশ ভালোই তুলেছেন।সত্যিই ফটোগ্রাফি গুলো মনোমুগ্ধকর ছিল।সেখানে আবার মেলাও হয়েছিল।দিদি ক্যাডবেরি জিতে নিল। বেশ দারুন লাগলো দাদা।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে নিলাম,।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।