আকাশের স্বপ্ন পূরণ (প্রথম পর্ব)

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


ক্লান্ত দেহে আকাশ পার্কের বেঞ্চে বসে জীবন নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে লাগলো। কত স্বপ্ন নিয়ে সে এই শহরে এসেছিল। শহরে এসে লেখাপড়া করতে তার অনেক কষ্ট হয়েছে। বহু সংগ্রাম করে টিউশনি করিয়ে নিজের খরচ নিজেই জোগাড় করে সে তার লেখাপড়া চালিয়েছে। তার চোখে সব সময় একটা স্বপ্ন লেগে থাকতো। সেটা হচ্ছে পড়ালেখা শেষ করে ভালো একটা চাকরি পাওয়া। চাকরি পেয়ে পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করা। কিন্তু পড়ালেখা শেষ হয়েছে আকাশের প্রায় তিন বছর হতে চলল। এর ভিতরে সে বহু চাকরির ইন্টারভিউ দিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার কোনো চাকরি হয়নি।

1000001079.png

আকাশ হতাশ হয়ে অনেকটা হাল ছেড়ে দেয়ার মতো অবস্থায় রয়েছে। সে চিন্তা করছিলো প্রতিবার চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে কিছু টাকা খরচ হয়ে যায়। চাকরি না পেয়ে শুধু শুধু এই বাড়তি টাকাগুলো খরচ করতে তার খুব গায়ে বাঁধে। কারণ আকাশ শহরে থেকে টিউশনি করিয়ে সে যে কটা টাকা আয় করে। সেই টাকার ভেতর সে নিজে চলে বাকি টাকা সে বাড়িতে পাঠায়। বাড়িতে রয়েছে তার বৃদ্ধ বাবা মা এবং ভাই বোন। চার ভাই বোন আর বাবা মা মিলে তাদের ৬ জনের সংসার। এত বড় সংসারের খরচ চালানো চাট্টিখানি কথা না।

তারপরেও আকাশ নীরবে নিভৃতে পরিবার চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দিন দিন সে হতাশ হয়ে পড়ছে। চাকরির ইন্টারভিউ দিতে দিতে সে এখন রীতিমতো ক্লান্ত। এদিকে তাকে নতুন দুশ্চিন্তা পেয়ে বসেছে। সে যে দুটো টিউশনি করায়। সেই দুটো বাসা থেকেই তাকে ঘুরিয়ে পেচিয়ে বলা হয়েছে যে তাকে দিয়ে হয়তো আর বেশিদিন তারা পড়াবে না। কারণ এখন নাকি সবাই মেডিকেল আর বুয়েটের স্টুডেন্ট ছাড়া কাউকে দিয়ে বাচ্চাদেরকে পড়াতে চায় না। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


PUSS_Banner2.png



ধন্যবাদ

Sort:  
 2 days ago 

চাকরির বাজারে বর্তমান সময়ে মামা খালু না থাকলে লেখাপড়া করেও বৃথা। কেননা আমাদের দেশের মানুষ মেধাকে মূল্যায়ন করতে জানে না। যার ফলে আমাদের দেশ উন্নতি দিকেও ধাবিত হয় না অবনতি ছাড়া। যেমন আকাশ লেখাপড়া শেষ করেছে তিন বছর হলো ইন্টারভিউ দিয়ে ক্লান্ত চাকরি পাওয়া দুষ্কর ওদিকে বৃদ্ধ বাবা-মা বাসায় টিউশনিও হয়তো হবেনা আর। সব মিলিয়ে লেখাপড়া করে সে যেন নিজে একটা বোঝা হয়ে গেছে। যাই হোক দেখা যাক আকাশের জীবনে পরবর্তীতে কি ঘটতে চলেছে।