মেহেরপুর ভ্রমণ - বন্ধুর বিয়ে উপলক্ষে।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। গত পর্বে শেয়ার করেছিলাম বন্ধুর বিয়ে খাওয়া শেষ করেছি। এবার বাড়ি ফেরার পালা। কিন্তু সেই মুহূর্তে আকাশে প্রচন্ড মেঘের দেখা দিয়েছে। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সবার থেকে যখন বিদায় নিব তখন বন্ধু আর বন্ধুর ওয়াইফের হাতে আমাদের পক্ষ থেকে হানিমুন স্পন্সর গিফট তুলে দিলাম।
এরপর বাইক স্টার্ট করে রওনা দিলাম। পাঁচ সাত কিলো যাওয়ার পরেই বৃষ্টি শুরু হল। বৃষ্টির প্রকোপ ধীরে ধীরে বাড়তে লাগলো। না থেমে পারলাম না। একটা চায়ের দোকান দেখে সেখানে বাইক স্টান্ড করে দোকানের মধ্যে চলে গেলাম সবাই। সবাই এক কাপ করে রং চা খেলাম। ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর বৃষ্টি কমে গেল। তখন মাথায় চিন্তা আসলো আমরা আসার সময় যে পথ দিয়ে এসেছি সেই পথে অনেক শুকনো মাটি পড়ে থাকতে দেখে এসেছিলাম।
ওই যে ইটভাটা গুলোর মাটি টানে, সেটা রাস্তায় পড়ে থাকে সেটার কথা বলছে আর কি। ওগুলো শুকনা থাকলে তো কোন সমস্যা নেই কিন্তু এখন বৃষ্টি হয়েছে। ও পথে যাওয়াটা খুবই রিস্কি হয়ে যাবে। একটুখানি ব্রেক ধরলেই গাড়ি স্লিপ করবে। সিদ্ধান্ত চেঞ্জ করলাম। ভাবলাম চুয়াডাঙ্গা হয়ে যাব। আবার যাত্রা শুরু করলাম। অনেক দূর চলে এসেছি তখন খেয়াল করলাম যে ভয়ে আমরা এই পাশ দিয়ে আসলাম এই পথেরো সেই একই অবস্থা। কি আর করার ওভাবেই আগাইতে থাকলাম ধীরে ধীরে।
এতটাই ধীরে ধীরে আগাচ্ছি যেন সামনে কোনো গাড়ি চলে আসলে ব্রেক না ধরেই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকা যায়। যেতে যেতে হঠাৎ খুবই সুন্দর একটা জায়গা নজরে আসলো। কিছুদিন আগে আমার এক বন্ধু কাফি আর তার ওয়াইফ জেবি এই জায়গাটাতে এসে ফেসবুকে পোস্ট করেছিল। জায়গাটা দেখেই বিষয়টা আমার মাথায় চলে আসলো। আমরা সবাই সেখানে গেলাম এবং বাইক স্ট্যান্ড পর একটু দাঁড়াইলাম।
মাঠের মাঝখান দিয়ে রাস্তা। দুই পাশে অনেক নারিকেল গাছ। দেখতে ভীষণ সুন্দর জায়গাটা। সবাই নিজেদের কয়টা ছবি উঠালাম। কিছু সময় এখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করে এরপর আবার রওনা দিলাম।
যে পথ দিয়ে প্রথম এসেছিলাম সেখানে কাদা থাকার রাস্তা ছিল ৫ থেকে ১০ কিলো মতো। কিন্তু আমরা এখন যে রাস্তায় আছি সেই রাস্তায় প্রায় পুরোটাই বাজে অবস্থা। প্রচুর কাদা, কল্পনার বাইরে। খুবই রিস্কে গাড়ি চালাতে হচ্ছিল। অনেক সাবধানতার সাথে গাড়ি চালিয়ে আগাচ্ছিলাম আমরা। অবশেষে পরিষ্কার রাস্তার দেখা মিলল। কিছুটা থেমে একটুখানি রেস্ট নিলাম। এদিকে রাস্তা অনেক সুন্দর বাট ঝামেলাটা ছিল ওই কাদা নিয়ে।
একটুখানি থেমে চা খাওয়া আবার যাত্রা শুরু করা। এভাবেই আস্তে ধীরে আমরা আসতে থাকলাম। যেখানে রাস্তা খুব সুন্দর কোন রাস নাই সেখানে একটু গতি বাড়িয়ে আসার সময়টাকে সংকোচন করার চেষ্টা করলাম। যেখানে যেতে লেগেছিল আড়াই ঘন্টা সেখানে ফিরতে সময় লাগলো ৪ ঘন্টা। পুরো দেড় ঘন্টা সময় বেশি লাগছে। যাইহোক শেষমেশ তবুও ভালোভাবেই বাড়ি ফিরতে পারছি আলহামদুলিল্লাহ। গাড়ির অবস্থা ছিল ভীষণ খারাপ। মনে হচ্ছিল ধানের ক্ষেত থেকে উঠিয়ে নিয়ে আসলাম। প্রথমে বাড়িতে না গিয়ে বাজারে গিয়ে গাড়ি ওয়াশ করে তারপর বাড়ি ফিরেছিলাম। এটাই ছিল পুরো জার্নির ঘটনা। এখানেই শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

এই দিনটি অনেক সুন্দর ছিল। আবহাওয়া অনেক সুন্দর মেহেরপুর অঞ্চল সবুজ শ্যামল পরিবেশ দ্বারা ঘেরা যেটা আমি খুবই পছন্দ করি। আমরা সেখানে গিয়ে দারুন সময় কাটিয়েছিলাম । বিশেষ করে নারকেল গাছের সারি ওই জায়গাটি সবচেয়ে বেস্ট ছিল।
0.00 SBD,
0.51 STEEM,
0.51 SP
আসলে শীতকালে রাস্তা দিয়ে ট্রাকটারে করে মাটি টানে তখন অনেক মাটি রাস্তায় পড়ে থাকে। আর সেই মাটিগুলো যখন শুকিয়ে যায় তখনও আমাদের বাইকারদের সমস্যা হয় কারণ এগুলো থেকে ধুলো উড়ে, যেগুলো নাকে চোখে মুখে ঢুকতে থাকে। আবার যখন বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে বা হালকা বৃষ্টি হয় তখন আরো বাজে অবস্থা হয়ে যায়। এ অবস্থায় বাইক চালানো খুবই রিস্কি কারণ, এই অবস্থায় আমি একবার পড়ে গিয়েছিলাম। যাই হোক সর্বোপরি ভালোই ভালো ফিরতে পেরেছেন এবং বাইকটি নিয়ে ওয়াশ করে তারপরে ফিরলেন বাসায়। অন্তত বাইকটা স্বস্তি পাবে। হাহাহহা।
0.00 SBD,
0.49 STEEM,
0.49 SP
দুই চাকার বাইক বৃষ্টির দিনে এমনিতেই রিক্স। আর যদি রাস্তার উপরে মাটি পড়ে থাকে তখন মহা রিক্স এ পরিণত হয়। আসার সময় যে বৃষ্টি হবে এটা আসলে আপনারা কল্পনাও করতে পারেননি। তবে ধীরে ধীরে চালিয়ে গন্তব্যে পৌঁছেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। আর গাড়ি মহাশয়কে ও ভালোভাবে ওয়াশ করে তারপরে বাড়ি ফিরলেন। ধন্যবাদ ভাইয়া এই অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
0.00 SBD,
0.47 STEEM,
0.47 SP
বাইক নিয়ে পুরো যাত্রাপথটা কিন্তু বেশ রোমাঞ্চকর ছিল ভাই। এই মেহেরপুর ভ্রমণের প্রথম পর্বটা আমি পড়েছিলাম। এখন এই পর্বটা পড়েও খুব ভালো লাগলো। বাইক নিয়ে অনেকটা পথ গেলে সময় বেশ ভালো কাটে। আর অনেকে থাকলে তো কথাই নেই। আপনার এই মেহেরপুর ভ্রমণের পর্ব গুলি আমার পড়তে খুব ভালো লাগছে।
0.00 SBD,
0.45 STEEM,
0.45 SP
বন্ধুর বিয়ে খেয়ে ফেরার পথে ভালো ই বৃষ্টি পেয়েছেন। বৃষ্টি হলে কাঁচা রাস্তায় বাইক চালানো ভীষণ কঠিন।তাই আপনারা অন্য রাস্তা দিয়ে গেলেন।সেখানেও একই অবস্থা।রাস্তাটা সত্যি ই সুন্দর। ফটোগ্রাফি করে দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই।সুস্থ,সুন্দরভাবে বাসায় ফিরেছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। অনেক ধন্যবাদ অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
পুরো জার্নিটা অনেক সুন্দর ছিল তবে মাঝে একটু পিচ্ছিল রাস্তা আমাদেরকে একদম এলোমেলো করে দিয়েছে। তবে দুই পাশে দিয়ে নারিকেলে গাছের জায়গাটা আসলেই অসাধারণ সুন্দর ছিল এটা প্রশংসা করার মতো।