চারটি সেরা ফটো এডিটর।
হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই ? আজকে আমি আপনাদের খুব সিম্পল একটা জিনিস শেখাতে চলেছি। অনেকের কাছে হয়তো কোন গুরুত্ব পাবে না। আবার কিছু কিছু ইউজারের জন্য এটি খুবই উপকারে আসবে। আজকে আমি আমার ব্যবহার করা কিছু ফটো এডিটর অ্যাপস দেখাবো। এগুলো দিয়ে আমি আমার সমস্ত ব্যানার, ফটোগ্রাফি ইত্যাদি এডিট করে থাকি। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক আমার ফোনে থাকা ফটো এডিটর সফটওয়্যার গুলো।
আমরা যখন স্টিমিট এ পোস্ট করি তখন পোষ্টের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সুন্দর একটি থাম্বনেইল যুক্ত করে দেই। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন ইউজার খুব সহজেই আকর্ষণ বোধ করবে পোস্ট ভিজিট করার জন্য ,যদি থাম্বনেইল সুন্দর থাকে। এক্ষেত্রে মনের কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে বিভিন্ন ধরনের ফটো সংগ্রহ করে সেগুলোর ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করে অন্যত্র জোড়া লাগানো লাগতে পারে। এইজন্য আমি একটি অ্যাপস ব্যবহার করি। এটির নাম হল ব্যাকগ্রাউন্ড ইরেজার। ডাউনলোড লিংক
এই অ্যাপস ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করতে পারবেন। এই অ্যাপস টি মোটামুটি পার্ফেক্ট ভাবেই ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করতে পারে। এই অ্যাপস এর মধ্যে আপনি তিনটি অপশন পাবেন। একটি হচ্ছে ম্যাজিক ইরেজার, আরেকটি হচ্ছে ম্যানুয়াল ইরেজার এবং অটো ইরেজার। অ্যাপসটির মধ্যে ঢুকলে এই তিনটির সুবিধা খুব সহজেই লক্ষ করতে পারবেন।
এই ফটোতে দেখুন। বামপাশের ছবিটির ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করতে আমার এক মিনিটও সময় লাগেনি। কারন এখানে একটি মাত্র কালার রয়েছে। এজন্য অটো ইরেজার এ ক্লিক করলে সব ব্যাকগ্রাউন্ড অটোমেটিক রিমুভ হয়ে যাবে। আর যদি বিভিন্ন ধরনের কালার থাকে তাহলে ম্যাজিক অথবা ম্যানুয়েল ইরেজার দিয়ে রিমুভ করতে হয়। এই সফটওয়্যার টি খুবই কাজের। আপনারা ইউজ করতে পারেন।
এরপর যেই অ্যাপসটি রয়েছে সেটি হচ্ছে ফটো এডিটর প্রো। এই অ্যাপসটির পূর্বনাম ছিল পলিশ। এটি প্লে স্টোরে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। তবুও আমি ডাউনলোড লিংক দিয়ে দিচ্ছি। এখানে ক্লিক করুন।
এই অ্যাপসটি ব্যবহার করে আমি সাধারণত লেয়ার ফটো এড করি। যদি বেশি লেয়ারের কাজ না থাকে, সামান্য দুইটি লেয়ারের কাজ থাকে তাহলে এই অ্যাপসটি দিয়ে খুব সহজে করা যায়। এছাড়াও অনেকগুলো সুন্দর সুন্দর ইংলিশ ফন্ট আছে। এছাড়াও এই অ্যাপসে অনেকগুলো কাজ আছে। কিন্তু এই দুইটির বাইরে আমি তেমন কোনো কাজ করিনা। আপনারাও ট্রাই করে দেখতে পারেন। আশা করি ভালো লাগবে।
এরপর যেই অ্যাপসটি রয়েছে সেটির নাম হল স্নাপসীড। প্লে স্টোরে ৪.৪ রেটিং পাওয়া একটি অ্যাপস, যেখানে ওয়ান মিলিয়ন ইউজার রিভিউ দিয়েছে। এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি অ্যাপস। আর আমার পছন্দের লিস্টে শীর্ষে আছে এই অ্যাপসটি। আমি অনেক বেশি অ্যাপস ট্রাই করিনি। তবে যেগুলো করেছি তার মধ্যে এটি সেরা।
আপনারা এখানে ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
এই অ্যাপস এর মধ্যে আপনি প্রচুর প্রচুর ফিচার পাবেন। আপনার মনের কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে যা যা প্রয়োজন তার প্রায় সবকিছুই এই অ্যাপ দিয়ে করা যায়। আমার করা সব ফটোগ্রাফি গুলো এই অ্যাপস দিয়েই আমি এডিট করি।
এই অ্যাপস এর মধ্যে যতরকম এডিট এর অপশন আছে সবগুলো নিজে নিজে শিখতে আপনার মাস খানেক সময় লেগে যেতে পারে । যদিও সব প্রয়োজন হয়না। কিছু ইম্পরট্যান্ট বিষয় আছে যেগুলো আপনি দেখলেই বুঝতে পারবেন। এই অ্যাপস সম্পর্কে ইউটিউবে প্রচুর টিউটোরিয়াল আছে। সেগুলো দেখেও ভালো এডিটিং শিখতে পারেন।
এরপর যে অ্যাপসের বিষয়ে বলতে যাচ্ছি এটার সম্পর্কে হয়তো বেশি কিছু বলার প্রয়োজন হবে না। কারণ প্রায় সবাই জানেন এই অ্যাপসটির ক্ষমতা সম্পর্কে। এটি দিয়ে খুবই হাই কোয়ালিটির ব্যানার, গিফ এবং শর্ট ভিডিও এডিট করা যায়। এটি দিয়ে খুব প্রফেশনাল মানের ব্যানার খুব ইজিলি তৈরি করা যায়। এই অ্যাপসটি প্লে স্টোরে পেয়ে যাবেন। এখানে ক্লিক করুন। ডাউনলোড করুন।
এ পর্যন্ত আমার যতগুলো ব্যানার দেখেছেন তার ম্যাক্সিমাম গুলোই এই ক্যানভা অ্যাপস দিয়ে তৈরি করা। যদিও ফ্রি ভার্সনে আমি বেশিদিন থাকতে পারিনি। প্রিমিয়াম ভার্সনে অনেক লোভনীয় ফিচার থাকায় আমি ১ মাসের প্যাকেজ টি সাবস্ক্রিপশন করে নিয়েছি। প্রিমিয়াম ভার্সন নিলে অনেক অনেক লক ফিচার আনলক হয়। যেটি আপনার কাছে দুর্দান্ত লাগবে। যাইহোক এটা আপনারা ব্যবহার করতে পারেন। আশা করি খুবই ভালো লাগবে।
তো কেমন লাগলো এই চারটি অ্যাপস?? আমি দীর্ঘদিন ধরে এই চারটি অ্যাপস ব্যবহার করে আসছি। আমি আমার সব ধরনের ফটোগ্রাফি এই অ্যাপস গুলো দ্বারাই এডিট করে থাকি। তবে আরও একটা ইনফরমেশন আপনাদের দিয়ে রাখি, সেটি হচ্ছে বিভিন্ন নামকরা ফটো এডিটিং সফটওয়্যার এর মধ্যে তেমন একটা বাংলা ফন্ট পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে ক্যানভা অ্যাপসে আপনারা অনেক অনেক বাংলা ফন্ট পেয়ে যাবেন। এটা বাঙ্গালীদের জন্য অনেক উপকারী একটি ফিচার । যাইহোক, প্রত্যেকটি অ্যাপসের লিংক সহ রিভিউ দিয়ে দিলাম। আপনাদের যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই ট্রাই করে দেখবেন। আজ আমি যাচ্ছি। দেখা হবে আবার আগামী কোন পোস্টে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন । আল্লাহ্ হাফেজ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
অনেক উপকারী একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আমি নিজে স্ন্যাপসিড ফটো এডিট অ্যাপ্স টি ব্যবহার করি । তবে আপনার পোষ্ট থেকে আরো কিছু ফটো এডিট অ্যাপস সম্পর্কে ধারণা পেলাম যা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। অনেক অনেক ধন্যবাদ সুমন ভাই।
ক্যানভা ও স্নাপসীড এই দুটি আমি ব্যবহার করি, উপরের দুটি অ্যাপ সম্পর্কে আমার ধারণা ছিল না, তবে বেশ উপকৃত হলাম কারণ অনেক সময় ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করা নিয়ে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়। আগামীতে কখনো যদি আমার ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ এর প্রয়োজন হয় তাহলে আপনার সাজেস্ট করা এই সফটওয়্যারটি আমার বেশ কাজে আসবে।
একটি সত্যি কথা বলি ভাইয়া আমি অনেক দিন ধরেই এই অ্যাপগুলি খুঁজতেছি। আমি দেখি সবাই খুব সুন্দর সুন্দর ছবি ডিজাইন করে কিন্তু আমি করতে পারিনা ।আমি নাম জানিনা কোন অ্যাপস গুলো দিয়ে এই কাজ গুলো করবো কিন্তু আমার মনের মত একটি পোস্ট আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সত্যি খুব উপকার হলো আমার। এগুলো সম্পর্কে খুব সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে লিখেছেন। আমি এখনই অ্যাপসটি ডাউনলোড দিব ধন্যবাদ ভাইয়া।
ক্যানভা, ব্যাকগ্রাউন্ড ইরেজার এবং স্নাপসিড এই ৩ টি অ্যাপ আমি ব্যাবহার করেছিলাম। আমার কাছে ক্যানভা এবং স্নাপসিড এই দুটি অ্যাপ ভালই লেগেছিলো। বিশেষ করে স্নাপসিড ভালো লেগেছিল কারন স্নাপসিড ফাংশন দিয়ে ভরপুর ছিল। তবে ব্যাকগ্রাউন্ড ইরেজার এই অ্যাপটিতে আমি খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করিনি তবে ম্যাজিক ইরেজার অপশনটি খারাপ ছিলো না । বাকি ২টো ঠিকঠাকই ছিলো। তবে ভাই আমার কাছে পিক্সআর্ট
অ্যাপ সব থেকে ভালো মনে হয়। এই ৪টি অ্যাপেরি গুন আপনি পিক্সআর্টে পেয়ে যাবেন। আপনি যদি পিক্সআর্ট ব্যবহার না করে থাকেন একবার চাইলে ব্যবহার করে দেখতে পারেন আশা করি ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর ভাবে ৪টি এ্যাপের রিভিউ দেয়ার জন্য।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট ছিল। আসলে আমরা অনেকেই আছি এমন যারা ছবি এডিট করতে পারিনা অন্যের ছবি দেখলে আফসোস করি এত সুন্দর কিভাবে করে।snapseed আর হচ্ছে Canva এই দুইটি অ্যাপ আমি ব্যবহার করেছি সত্যিই খুব উপকারী মূলক অ্যাপ।
আপনার অসাধারণ এই রিভিউ পোস্ট টা দেখে আমি মুগ্ধ। আসলে এখানে আমার প্রিয় অ্যাপসটি রয়েছে সেটির নাম হল স্নাপসীড। আমি পিছি তে ফটোশপ আর মোবাইলে স্নাপসীড ব্যবহার করি। এটি খুবই সুন্দর কাজ করে। সব চেয়ে বড় কথা হলো রেজুলেশন একদম পারফেক্ট থাকে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই রকম ভিন্নধর্মী রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। যারা ব্যবহার করে নাই আপনার রিভিউ পড়ে তাদের কাজে আসবে বলে আমি মনে করি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
ভাইয়া আমি এই অ্যাপস গুলো ব্যবহার করি তবে আজকে পেলাম ব্যাকগ্রাউন্ড ইরেজার। অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট করেছেন আমাদের সব সময়ই এসব অ্যাপস এর প্রয়োজন হয়। আশাকরি সবার অনেক কাজে লাগবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আশাকরি আপনার কাছে থেকে আরও বিভিন্ন অ্যাপস সম্পর্কে জানতে পারবো। অপেক্ষায় রইলাম আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময় এই কামনাই করি।
ক্যানভা এবং ব্যাকগ্রাউন্ড ইরেজার এই দুইটি আমি ব্যবহার করি,ক্যানভা দিয়ে খুবই সুন্দর সুন্দর কাজ করা যায় এবং সব কিছুর ডেমো থাকে তাই সময় ও কম লাগে।ভাইয়া আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।ভালোবাসা রইল আপনার জন্য
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার পোস্টে এই অ্যাপস গুলো শেয়ার করার জন্য। প্রকৃতপক্ষেই আমরা যারা নতুন তারা কিভাবে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড সহ বিভিন্ন খুঁটিনাটি এডিট কর যায় সে সম্বন্ধে সম্পূর্ণ ধারণা নেই।আশা করি এর থেকে আমরা উপকৃত হতে পারব।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া অ্যাপস গুলোর সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য। এরমধ্যে আমি শুধু ক্যানভা টা চালিয়েছিলাম। কিন্তু এখন আর সেটাও চালাই না । আর বাকি অ্যাপস গুলো আমার কাছে একদমই অজানা। এই অজানা বিষয় গুলো জেনে আমার অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।