বৃষ্টি যেন থামছেই না

আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে বৃষ্টি সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।


rain-4421893_1280.jpg



লিংক


আসলে বৃষ্টি যেমন একদিক থেকে আমাদের গরমের থেকে স্বস্তি দেয় তেমনি অতিরিক্ত বৃষ্টি আমাদের জন্য সমস্যা ডেকে আনে। আসলে এই অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে পাহাড় অঞ্চলের যেসব ধ্বস নামে তাতে করে প্রতিবছর প্রচুর লোক মারা যায় এবং এর ফলে যোগাযোগ মাধ্যম একদম প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। আসলে যখন খুব অল্প বৃষ্টি হয় তখন মনে হয় যে এরকম বৃষ্টি হলে ভালো হয়। কিন্তু এই বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে গেলে মানুষের ভোগান্তির আর শেষ থাকেনা। আসলে একটা জিনিস কয়েকটা দিন ধরে ভেবেই চলেছি যে যেসব অঞ্চল গুলো নিচু অঞ্চল তাদের বর্ষার সময় কতটা বেশি কষ্ট হয়। বিশেষ করে শহরাঞ্চলের দিকে যেখানে প্রতিবার বৃষ্টির সময় জল জমাট বাঁধে সেখানে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু সব জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। কেননা তখন সব নোংরা জল এক জায়গায় জড়ো হয়ে যায়।


আসলে এভাবে যদি বৃষ্টি প্রতিদিন বাড়তে থাকে তাহলে মাঝে মাঝে বন্যার দেখা দেবে। কিন্তু এই অতিরিক্ত বৃষ্টি এবং কম বৃষ্টির জন্য কিন্তু মানুষ নিজেরাই দায়ী। কেননা মানুষ যে হারে গাছপালা কেটে সেখানে বসবাসযোগ্য জমি তৈরি করছে তার ফলে একদিক থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। আবার কখনো যদি অতিবৃষ্টি হয় তাহলে সেই জল সরে যাওয়ার কোন জায়গা থাকে না। অর্থাৎ জলের যেসব আঁধার গুলো মানুষ দিন দিন বন্ধ করে সেখানে বসতবাড়ি গড়ে তুলছে এতে করে জলের আঁধার কমে যাচ্ছে। আর এর ফলে এই অতিরিক্ত জল কোথাও সরতে না পারায় জল জমাট বেঁধে বন্যা সৃষ্টি হয়। আসলে কিছুদিন আগে পর্যন্ত খুব একটা বৃষ্টি হচ্ছিল না। কিন্তু হঠাৎ কিছুদিন যাবত একটানা বৃষ্টি চলছে।


আসলে এই বৃষ্টির ফলে আমাদের যাতায়াত ব্যবস্থায় অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছে। কেননা রাস্তায় যে পরিমাণ গর্ত রয়েছে অর্থাৎ খারাপ রাস্তা রয়েছে সেখানে জল জমে তা বোঝার উপায় নেই। হঠাৎ করে এসব গর্তে পড়ে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন। আসলে এই একটানা বৃষ্টি যেন জনজীবনকে একদম থমকে দিয়েছে। যারা প্রতিদিন সকালবেলা বাইরে দিনমজুরের জন্য কাজে বের হয় তাদের এই কটা দিন ঘরে বসে বসে সময় কাটাতে হচ্ছে। আসলে তারা যদি একটা দিন ঘরে বসে বসে সময় কাটায় তাহলে তাদের সেই দিনের কোন ইনকাম থাকেনা। আর এইসব শ্রেণীর লোকেরা সাধারণত দিন আনে দিন খায়। আর একদিন যদি তারা কাজে না যেতে পারে তাহলে পরের দিন তাদের সংসার কিভাবে চলবে তা তারা কখনো বুঝে উঠতে পারে না।


আসলে এসব অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়াও যেসব জায়গায় মাছ চাষ করা হয় সেসব জায়গাগুলো জলে পরিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে এবং সেখানকার মাছ নদীর জলে মিশে যাচ্ছে। আসলে এর ফলে যে ঐসব পুকুরের মালিক গুলোর যে কতটা বেশি ক্ষতি হচ্ছে তা তারাই একমাত্র বুঝতে পারে। আসলে এই বৃষ্টি আগেরকার সময় কখনো এরকম ছিল না। কেননা তখন জলের আঁধার যেমন বেশি ছিল ঠিক অন্য দিক থেকে গাছপালার পরিমাণ অনেক বেশি ছিল। আর তখনকার সময়ে এত ঘনবসতি কখনোই ছিল না। আসলে এই ঘনবসতি হওয়ার কারণে জল বাইরে বের হওয়ার রাস্তা পাচ্ছে না এবং মানুষ যে হারে নোংরা আবর্জনা এদিক-ওদিকে ফেলে দিচ্ছে তাতে করে ড্রেন গুলো সেই নোংরায় পরিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। আর আমরা যদি এখনো সচেতন না হই তাহলে এই দুর্যোগ আরও দিন দিন বাড়তে থাকবে।



আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

Sort:  
 2 days ago 

অতিবৃষ্টি সব দিক থেকেই ক্ষতিকর। রোডের মধ্যে যদি গর্ত থাকে তাহলে বৃষ্টি হলে সেটি আরো বেশি ভয়ংকর রূপ নেয়। যাইহোক বিষয়টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।