ইউটিউব ভিলেজ ভ্রমণ।(পর্ব-৪)

in আমার বাংলা ব্লগ18 hours ago

হ্যালো..!!

আমার প্রিয় বন্ধুরা,

আমি @purnima14 বাংলাদেশী,

আজ- ১২ই ফেব্রুয়ারি, বুধবার, ২০২৫খ্রিঃ

কভার ফটো


1000023930.jpg

কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।ঘোরাঘুরি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। সময় পেলে এদিকে ওদিকে ঘুরতে বের হয়। মা বাবা এবং পরিবারের সাথে ইউটিউব ভিলেজ ভ্রমণের বেশ কয়েকটি পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আজ আমি ভ্রমণের চতুর্থ পর্ব শেয়ার করবো।চলুন তাহলে দেরি না করে ভ্রমণের চতুর্থ পর্ব সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। গতদিন যেখান থেকে শেষ করেছিলাম আজ সেখান থেকে শুরু করছি।



1000023931.jpg
আমরা হাঁটতে হাঁটতে ছোটদের খেলার জন্য একটি বড় স্পট রয়েছে সেখানে প্রবেশ করেছিলাম। প্রথমেই দেখতে পাই এই স্প্রিং ঘোড়া । এর উপর উঠতে বেশ মজা পায়। এখানে আরো ছিলো কয়েক প্রকারের দোলনা, বিভিন্ন ধরনের চলমান খেলার রাইড আরো অনেক কিছু। আমার বোন ছুটে গিয়ে এই স্প্রিং ঘোড়াই উঠে পড়ে। ওর মতো আরো অনেক বাচ্চার এখানে খেলা করছিলো।বাচ্চাদের সাথে বড় মানুষেরাও বেশ মজা করছিলো।
1000023933.jpg

1000023932.jpg
এই স্প্রিং করার এক সাইডে স্পষ্ট ভাষায় লিখা ছিলো দশ বছরের ঊর্ধ্বে হলে এখানে ওঠা যাবে না। বোনের তো দশ বছর হয়নি। বোনের জন্য ওঠার অনুমতি থাকলেও আমাদের জন্য ছিলো না। তারপরেও আমার বাবা একটি স্প্রিং ঘোরায় উঠে পড়ে। যদিও বাবা লেখাটা খেয়াল করেছিল না। বাবাও যেন কিছু সময়ের জন্য বাচ্চা হয়ে গিয়েছিলো।বাবা কখনো এরকম করে আনন্দ করে না। বাবা মানুষটা একটু কঠোর প্রকৃতির খুব সহজে হাসে না। তাই বাবার হাসি দেখলে আমার খুব ভালো লাগে। বাবা যখন আমার জন্য হাসে তখন আরো বেশি ভালো লাগে। জানিনা কবে নিজে সফল হয়ে আমার সফলতার হাঁসি বাবাকে হাসাবো। যাই হোক, বাবার সাথে সাথে আমিও স্প্রিং এ উঠে পড়ি। মা এবং আন্টি পিছনে বসে সেগুলো দেখছিলো।বেশ কিছু সময় ধরে আমরা সেখানে মজা করছিলাম। এখানকার বেস্ট পার্ট ছিলো বাবার হাঁসি। প্রায় ১৫ মিনিট পর আমরা লেখাটা খেয়াল করি এবং সেখান থেকে নেমে পড়ি।
1000023934.jpg
বোনের কথা কি আর বলবো।মনে তো খুশির শেষ নেই। সে এখান থেকে সেখানে, সেখান থেকে এখানে করেই যাচ্ছেন। স্প্রিং খেলা শেষ করে সে আবার চলে গেছে আরেকটি খেলায় ওঠার জন্য। আমাকে বলছে দিদি তুই পাশে বস তাহলে আমি মজা পাবো। আমিও বোনের কথা শুনে এই খেলনা দুই পাশে দুজন বসে পড়লাম। দুজন মিলে ভীষণ মজা করছিলাম। এই খেলনার নামটা আমার ঠিক মনে পড়ছে না। তবে খেলাটি আমি ছোটবেলা থেকেই বেশ পছন্দ করে। স্পটে এসে বোন, বাবা, মা এবং আমি সবাই মজা করছিলাম। তারপর আমরা অনেক ধরনের দোলনা দেখতে পাই এখানে। আমি আর বোন একটা দোলনার মধ্যে গিয়ে বসে পড়ি। পাশের সাইডে আরেকটা দোলনায় মা এবং বাবা বসে দোল খেতে থাকে। তারপর আরেকটি দোলনায় আন্টি বসে পড়ে। আন্টি আমাকে ডেকে বলে কে আমার একটা সুন্দর ছবি তুলে দাও। তারপর আমি আন্টির বেশ কিছু ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি করে নি।সেখান থেকে মা-বাবার বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম।
1000023935.jpg
তারপর আমরা এসে খাওয়া-দাওয়ার দিকে। প্রথমে আমরা একটি কোক কিনে নি।তারপর সেখানে দেখতে পাই মুড়ি মাখার দোকান। সেখান থেকে পাঁচজন মুড়ি মাখা নিয়ে খেয়ে নি। তারপর আমরা দুই বোন কেক এবং চকলেট কিনে খেয়ে নি।তারপর আমার সেখান থেকে হাঁটতে হাঁটতে পুকুর ধারে চলে আসি। হেঁটে আসার সময় এই সুন্দর গেট দেখতে পায়। প্রত্যেকটি রাস্তার শুরুতে এরকম সুন্দর গেট রয়েছে। যা আমাকে খুবই মুগ্ধ করে। সবুজে ঘেরা এই গেট চমৎকার লেগেছিলো আমার কাছে।
1000023936.jpg

1000023937.jpg
হাঁটতে হাঁটতে বেশ খানিকটা সময় পার করে দি।তখন সূর্য প্রায় অনেকটাই পশ্চিমে চলে গেছে। গাছের ফাঁকা দিয়ে সূর্যের তীর্যক আলো আমার কাছে বেশ চমৎকার লাগছিলো।হাঁটতে হাঁটতে দেখতে পায় সুন্দর দুটি ডলফিন। এগুলো এধরনের কারো কাজ। এ নিজে ছোট একটি পুকুর তৈরি করা রয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মাছ এবং কচ্ছপ রয়েছে। মাছগুলো বেশ চমৎকার লাগছে না। এখানে লোকেরা ভিড় করে কচ্ছপ দেখছিল। আমি অবশ্য কচ্ছপ অনেক আগেই দেখেছিলাম। তারপর আমরা পুকুর ঘাটে দিকে চলে যায়।
1000023938.jpg
এখানে গিয়ে প্রথমে আমি এই সুন্দর ঘর গুলো খেয়াল করিনি। এ ঘরের দিকটাই আমাদের যাওয়া হয়নি। পুকুরের মধ্যে ছোট ছোট ঘর গুলো গল্প করার জন্য বেশ পারফেক্ট। অনেকে এখানে বসে গল্প করছিলো।পুকুরের মধ্যে এরকম ছনের ঘর আমার কাছে বেশ পছন্দ হয়েছে।পুকুরের বিভিন্ন সাইডে এরকম ছোট্ট ছোট্ট ঘর তৈরি করা ছিলো।ঘর গুলোর মধ্যে কাঠের তৈরি বেঞ্চ ছিলো।পুকুরের এপার থেকে এসব দেখছিলাম। চারিদিকে ঘোরার পর খুবই ক্লান্ত লাগছিলো। সেজন্য বাবা আর ঐদিকে যেতে দেয়নি।
1000023939.jpg
তারপর আমরা পুকুর ধারে দেখতে পাই সবাই রাইডে উঠছে। দেখে আমারও খুব ইচ্ছে হয়। আমার থেকে বোনের ইচ্ছাটা বেশি ছিলো।মা বাবা বলে দিয়েছে তারা এরাইডে উঠবে না। আমি তো করতে চেয়েছিলাম কিন্তু ব্যালেন্স করতে পারব কিনা তাই নিয়ে ভয় পাচ্ছিলাম। তারপর আমি এবং বোন মিলে ঠিক করলাম আমরা উঠবো। রাইডগুলো বেশ ছোট ছোট এবং সুন্দর ছিলো।এখানে ফটোগ্রাফিতে যেটা দেখতে পাচ্ছি এটা মূলত অনেক আগেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। দেখতে সুন্দর লাগছিল জন্য ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। এখানে রাইডে ওটা টিকিট ছিলো প্রতি পিস ৩০ টাকা করে। আমি আর বোন গিয়ে টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করলাম। বাকি অংশ পরবর্তী পর্বে শেয়ার করবো।
আজ এই পর্যন্তই।



ছবির বিবরণ

ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২১শে জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া



প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।



আমি কে !

Screenshot_20231102_205038_Facebook-01.jpeg

আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@purnima14



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 18 hours ago 
1000023952.png1000023954.png1000023953.png

Daily task.

 18 hours ago 

আমি এবার কুষ্টিয়াতে আসলে আপনাদের ইউটিউব ভিলেজ পার্ক টা দেখার চেষ্টা করব। অনেকদিন আগে থেকেই লক্ষ্য করে দেখছি এই পার্ক সম্পর্কে ব্লগ শেয়ার করে অনেকে। ভালো লাগলো আপনি খুব সুন্দর করে ভ্রমণ বিষয়টা উপস্থাপন করেছেন দেখে।

 18 hours ago 

ইউটিউব ভিলেজ ভ্রমণের চতুর্থ পর্বে আরো চমৎকার কিছু দৃশ্য দেখতে পেলাম। সেই সাথে আপনার বর্ণনা পড়েও অনেক কিছু জানতে পারলাম। স্পিরিং ঘোড়াগুলোতে ছোট বাচ্চারা উঠতে অনেক বেশি ভালোবাসে। আপনার বোনকে নিয়ে দেখতেছি ভালই সময় কাটিয়েছেন ইউটিউব ভিলেজে। খুবই ভালো লাগলো এই পর্বটি। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম আপু।

 18 hours ago 

ইউটিউব ভিলেজ এর জায়গাটা আসলেই অনেক সুন্দর। দর্শনার্থীদের জন্য খুবই উপযোগী একটা জায়গা এটা। আমিও চিন্তা করেছি এই জায়গাটা একদিন ভ্রমণ করে দেখে আসব।

 18 hours ago 

আজকে দেখতে দেখতে আপনি আমাদের মাঝে ইউটিউব ভিলেজ ভ্রমণের ৪র্থ পর্ব শেয়ার করলেন । আসলে এ ধরনের পার্কে সবাইকে নিয়ে ঘোরাঘুরি করা যায়। আপনি আপনার বাবাকে এবং আপনার ছোট বোনকে নিয়ে বেশ ভালোয় সময় অতিবাহিত করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 13 hours ago 

বোন, বাবা আর তুমি মিলে দেখছি বেশ ভালই স্প্রিং ঘোড়ায় উঠে মজা করেছিলে। সত্যি বলেছো, বাবারা সবসময় একটু কঠোর প্রকৃতির হয় আর তাদের মুখে হাঁসি দেখতে পারলে ভীষণ ভালো লাগে। আর সব থেকে বড় কথা হলো হাঁসিটা যদি আমাদের জন্য হয় সেটা আরো ভালো লাগে। মানুষ মনের দিক দিয়ে সব সময় বাচ্চা থাকতেই পছন্দ করে। সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করে ছেলে দেখে খুবই ভালো লাগলো।

 9 hours ago 

বেশ কিছুদিন আগে আপনার ইউটিউব ভিলেজ ভ্রমণের তিন নাম্বার পর্ব আমি পড়েছি।তবে ইউটিউব ভিলেজ ভ্রমণ আমি এখনো করি নাই।তবে আমারও আশা রয়েছে ইউটিউব ভিলেজ ভ্রমণ করবো।যাইহোক আপনি খুব সুন্দর অনুভূতি দিয়ে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করছে।ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভ্রমণ করার আগ্রহ বেড়ে গেলো। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।

 8 hours ago 

আজ আপনি খুব সুন্দর করে youtube ভিলেজ ভ্রমণের আরো একটা পর্ব সবার মাঝে শেয়ার করে নিলেন। আরো অনেক সুন্দর সুন্দর দেখতে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। আপনার কাটানো মুহূর্তটা যেমন ভালো ছিল, ফটোগ্রাফি গুলো ও অনেক বেশি সুন্দর লেগেছে। আশাকরি পরবর্তী পর্বটাও তাড়াতাড়ি শেয়ার করে নিবেন।

 7 hours ago 

আপনার ইউটিউব ভিলেজের ভ্রমণের মুহূর্তটা আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আর এরকম পার্ক গুলোতে গেলে তো একটু বেশি সুন্দর সময় কাটানো যায়। এই পার্কটা খুব সুন্দর। পার্কের পরিবেশটা একটু বেশি সুন্দর। আপনার মুহূর্তটা অনেক ভালো ছিল এটা পোস্টগুলো পড়েই বুঝতে পারছি।