ইফতারে কাটানো মূহুর্ত
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে করেছি আজকের পোস্ট।
ইফতারে কাটানো মূহুর্ত
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে এখন রমজান মাস আর রমজানে আমরা সবাই কম বেশি ব্যস্ত থাকি। আসলে যতই ভাবি যে ইফতারের আগে সব কিছু রেডি করে ফটোগ্রাফি করবো কিন্তু তা আর হয়ে উঠে না।আসলে বাচ্চারা ছোট তারজন্য তারা ইফতার রেডি করতে পারে না।যদিও তারা আমাকে একটু হেল্প করে।তবে সব কিছু আমারি করতে হয়। আজ কয়েক দিন ধরে যে হারে গরম পড়ছে বলার মতো নয়। তারপর ছোট বাচ্চারা রোজা রেখে পড়াশোনা করে।তারজন্য তাদের আর আমি তেমন কিছু বলি না। তবে যতটুকু সাহায্য করে আলহামদুলিল্লাহ। তবে নিজের একার পক্ষে সব কিছু সামলানো মুশকিল। যাইহোক তারপরও চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে আসার জন্য। আজ ইফতারের সময় কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে ছিলাম তাই ভাবালাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমরা সারাদিন রোজা রাখার পরে এক গ্লাস এমন ঠান্ডা শরবত হলে আমাদের আর কিছুই লাগে না। আসলে সারাদিন যে হারে গরম পড়ে ইফতারে এমন এক গ্লাস শরবত খেলে মন প্রাণ জুড়ে যায়। মনে হয় যে সকল ক্লান্তি দূর হয়ে গিয়েছে। যদিও এখন তরমুজ তেমন মিষ্টি নয় তবে ইফতারের সময় তরমুজ খেতে অনেক ভালো লাগে। তবে আমার তরমুজ তেমন পছন্দ নয় কিন্তু বাচ্চারা অনেক পছন্দ করে।
আর এই মাল্টা গুলো খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আসলে এগুলো টক টক মিষ্টি তাই ইফতারে আমার বেশ ভালো লাগে। তবে বাচ্চারা ও পছন্দ করে। আর আঙ্গুর আমার মেয়েদের অনেক পছন্দ। তবে এবার বেশ কিছু আঙ্গর এনেছে কিন্তু আঙ্গর গুলো টক। কি আর করা এটাই খেতে হবে।তারপর নতুন একটা ফল এটা হলো সামমাম। এটা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। সত্যি এই ফল গুলো খেতে অনেক মজার।
আর আমরা যত ধরনের ফল খায় না কেন ইফতারে ভাজাপোড়া না হলে আমাদের একদিন ও চলে না। তাই সব সময় চেষ্টা করি কিছু ভাজাপোড়া নিজেই তৈরি করে দেওয়ার জন্য। আসলে আমার দুই মেয়ের এই ডিমের চপ গুলো অনেক পছন্দ। তাই তো প্রতি দিন ডিমের চপ গুলো নিজে বাচ্চাদের বানিয়ে দেয়। আর সাথে রয়েছে বেগুনের চপ,পিঁয়াজু ইত্যাদি। সত্যি ইফতারে এগুলো অনেক মজার খাবার। তবে এগুলোর সাথে রয়েছে ছোলা ভুনা। আসলে ছোলা ভুনা ফটোগ্রাফি করতে পারিনি। আর খেজুর ছাড়া আমাদের ইফতার অসম্পূর্ণ। সাথে শসা,বুরিন্দা ইত্যাদি। ছিল। আমার শশুর বাড়ির ঐতিহ্য বলতে পারেন ছিটরুটি আর মাংস। আমরা প্রতি রোজায় বানিয়ে থাকি।আর যদি মাংস না থাকে তাহলে ডিম ভাজির সাথে ছিট রুটি খেয়ে থাকি।যাইহোক প্রতি দিন ইফতারে অনেক কিছু খাওয়া হয়। আর বেশির ভাগ খাবার গুলো নিজে তৈরি করে দেওয়ার চেষ্টা করি। বেশ ভালোই কেটেছে ইফতারে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | উপকরণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদপুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1901272325624131731?t=ly8a6FZMGOnUnpqv0zSGpQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
হরেক রকমের ইফতারি দেখে ভালো লাগলো। আসলে ইফতারের সময় ভাজাপোড়ার চেয়ে বেশি বেশি ফল খেলে অনেক বেশি ভালো লাগে। খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটালেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে ইফতারি খাওয়ার মজাই আলাদা। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জি আপু সবাইকে নিয়ে ইফতার খাওয়ার মজাই আলাদা। ধন্যবাদ আপু।
ইফতারের সময়টি পরিবার ও বন্ধুদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার একটি বিশেষ মুহূর্ত।ইফতারের সময় পরিবার ও বন্ধুদের সাথে একত্রে বসে খাওয়ার মাধ্যমে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়।ইফতারের সময় ধ্যান বা প্রার্থনার মাধ্যমে আত্মিক শান্তি অর্জনের বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। এটি রোজার প্রকৃত উদ্দেশ্যকে আরও গভীরভাবে বুঝতে সাহায্য করে।
সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
রোজার মধ্যে কম বেশি সবারই ব্যস্ততা থাকে। ছোটরা রোজা রেখে পড়াশোনা করে এটাই অনেক বেশি। তারপর ওরা আপনাকে সাহায্য করে শুনে ভালো লাগলো। ইফতারের কাটানো মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ইফতারে বিভিন্ন রকম ফল থাকলে বেশ ভালো লাগে খেতে। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট দেখে। ধন্যবাদ আপু মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
জি আপু বিভিন্ন ধরনের ফল খেতে অনেক ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপু।
একদম ঠিক বলেছেন আপু সারাদিন রোজা থেকে ইফতারিতে ভাজা পোড়া না হলে মনে হয় চলে না। আপনি দেখছি তাহলে তো অনেক ধরনের আইটেম রেখেছেন। তবে আমরা সব সময় ইফতারিতে ফল ভাজাপোড়া এসবের পাশাপাশি একটি বা দুইটি ভাজি দিয়ে রুটি খেতে পছন্দ করি। রোজায় থেকে সারাদিন পর ইফতার করার মজাই আলাদা। খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু ধন্যবাদ।
আমরা সাধারণ ছিটরুটি খায় মাংস দিয়ে, ধন্যবাদ আপু।
ইফতারের এই মুহূর্তগুলো সত্যিই মনোমুগ্ধকর! নানা ধরনের ফল, ভাজাপোড়া, এবং পরিবারের সাথে ইফতার করার আনন্দ এক কথায় অসাধারণ। বিশেষ করে তরমুজ এবং মাল্টার স্বাদ খুব ভালো লাগে। পরিবারের সবার সঙ্গ উপভোগ করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু ইফতারে কাটানো সুন্দর মূহুর্ত আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে প্রতিটি মুসলমান বোনেরা রমজানে নিজের হাতে খাবার তৈরি করে খাওয়াতে ভালোবাসেন।সব সময় তাড়াহুড়োতে ফটোগ্রাফি সব করা হয়ে উঠে না।তবে এই রমজান মাসে কারো বাড়িতেই আসলে আয়োজনের কমতি থাকে না।আর যেহেতু বাচ্চারা রোজা রাখে। তাই খাবার গুলো ও তাদের মন মতোই করতে হয়।সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
জি আপু বাচ্চাদের পছন্দ মতো খাবার তৈরি করতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু।
রমজান মাসে ব্যস্ততা আসলেই বেড়ে যায়। কয়েকদিন ধরে প্রচুর গরম পড়ছে। তাই ইফতারের সময় শরবত খেয়েই পেট ভরে যায় হা হা হা। যাইহোক তরমুজ লাল দেখে কিনবেন। তাহলে অবশ্যই মিষ্টি হবে। আমি তো রোজার আগের দিন থেকে রেগুলার তরমুজ কিনছি। প্রতিটি তরমুজ খুব ভালো হয়েছে। যাইহোক ইফতারের মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।