নিজের খারাপ সময় মানুষকে বুঝতে দিবেন না
কথায় আছে আগে দর্শনধারী পরে কোন বিচারী। যদিও এই কথাটা আমার উপরোক্ত টাইটেলের সাথে সাধারণত উদাহরণ হিসেবে যায় না, কিন্তু তারপরও এই বিষয়টি বললাম যাতে করে বিষয়টি বুঝতে আপনাদের সুবিধা হয়। নিজেদের যতই খারাপ দিন চলুক না কেন ভিতরে যতই আঘাত লাগুক না কেন, উপরে আপনাকে ফিটফাট থাকতে হবে এবং আশেপাশের মানুষদের বুঝতে দেওয়া যাবে না আপনি কতটা ক্ষতিগ্রস্ত। আমি এখানে সবার কথা বলছি না। নিজের পরিবার কিংবা কাছের মানুষ ব্যতীত। কারণ তারা তো আপনাদের নিজের আপন। কিন্তু তারপরও এমন কিছু আত্মীয়-স্বজন কিংবা আপনারা যেখানে কাজ করি অফিসের কলিগ এরা কিন্তু এই বিষয়গুলোর জন্যই সুযোগ খুজে থাকেন এবং এসব বিষয় দেখলেই উল্টো আপনার উপর হাসি ঠাট্টা করবে।
আপনার যতই সমস্যা থাকেন না কেন আপনি একমাত্র মহান সৃষ্টিকর্তাকেই সেই বিষয়গুলো জানান। তার কাছে ভেঙে পড়ুন, আবার তার সাথে কথা শেষ হয়ে গেলে নিজেকে আবার ফিটফাট করে নিনন। অর্থাৎ নিজের খারাপ সময় গুলোতে নিজেকেই সাহস যোগাতে হবে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। মনে করুন আপনার একটি জব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু আপনি সেটা অন্য কাউকে বুঝতে দিলেন না এবং কনফিডেন্টলি ভাইভা দিলেন এবং ভাইভায় যারা আপনার ভাইভা নিচ্ছিল সে তারা বুঝতে পারল এর যদি এখানে জব নাও হয় এর কোয়ালিফিকেশন এত ভালো এবং তার প্রেজেন্টেশনে ভালো। যে কোন এক জায়গায় চাকরি হয়ে যাবে। কিন্তু সেই লোক যদি এসে বলতো যে, স্যার আমার চাকরি খুবই দরকার আমার পরিবারের এই সমস্যা ওই সমস্যা তাহলে কিন্তু তারা উনাকে চাকরিতে খুব বেশি একটা সামর্থ্যন করতো না।
বুকে একরাশ ব্যথা নিয়ে সবার সামনে প্রেজেন্টেশন দেওয়া কিংবা সবার সাথে সবসময় হাসিমুখে ভালোভাবে কথা বলা এগুলো হচ্ছে মহৎ মানুষের গুণ এবং নিজের দুঃখ কষ্ট কে চাপিয়ে রেখে যে মানুষগুলো এইসব কাজ করতে পারে তারা আর যাই হোক জীবনে অসফল হয়ে থাকে না। নিজের অনেক আত্মীয়-স্বজন রয়েছে যারা এসব সুযোগ-সন্ধান করে থাকে এবং যখনই আপনার খারাপ সময় আসবে তখন আপনাকে কথা শোনানোর জন্য তারাই সবার আগে চলে আসবে। তাই নিজের খারাপ সময়কে নিজেই হ্যান্ডেল করতে শিখুন। নিজেকে শক্ত করে সামনের দিকে এগিয়ে চলতে থাকুন। দেখবেন জীবনে ভালো কিছু করতে পারবেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।
অনেক চমৎকার একটি পোস্ট লিখেছেন পড়ে খুব ভালো লাগলো। আমাদের জীবনে যত খারাপ সময়ই আসুক না কেন সেটা কারো কাছে না বলে একমাত্র সৃষ্টিকর্তার কাছে বলায় উত্তম। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
নিজের খারাপ সময় গুলো যখন অন্যের মাঝে ব্যক্ত করা যাবে তখনই সে সেই খারাপ সময়টা জেনে যাবে এবং মানুষের দুর্বলতা খুঁজে নেবে। খারাপ সময় মনের মাঝে উপস্থাপন করে কখনো উপকার পাওয়া যায় না বরঞ্চ ক্ষতির একটা দিক সৃষ্টি করা হয়। তাই আমি মনে করি বিষয়গুলো নিজের মধ্যে রাখা উচিত।
সত্যি তাই নিজের খারাপ সময় মানুষকে বুঝতে দিতে নেই কারণ সাহায্য তো করেই না বরং সুযোগ পেয়ে হাসিতামাশা করে থাকে মানুষ। বেশ ভালো লিখেছেন আজকের পোস্ট টি।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর টপিক নিয়ে আজকের পোস্ট লিখে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।