ছোটকাল থেকে আমার আর ইমনের অনেক মিল। কেননা আমরা দুজন জমজ ছিলাম ।যেদিকেই যেতাম একসঙ্গে যেতাম । ইমন ছিল ছেলে আমি ছিলাম মেয়ে। মেয়ে হলেও আমি ছেলের পোশাক পড়তাম। কেননা দুজন যা পড়তাম ম্যাচিং করে পড়তাম। যা খেতাম একসঙ্গে ভাগাভাগি করে খেতাম। আমার আর ইমনের একটা মিল ছিল আমার আর ইমনের জ্বর আসলে একসঙ্গে আসতো। এমন একটু ভীতু প্রকৃতির ছিল সেজন্য সে ঝড় আসলেই অনেক ভয় পেতো। অল্পতেই ভেঙ্গে পড়তো আমি একটু চঞ্চল ছিলাম ।তাই অনেক জ্বর আসলেও বসে থাকতাম না খেলাধুলা করে বেড়াতাম ।কিন্তু ইমন একটু ভীতু ছিল বলে সে জ্বর আসলে শুয়ে থাকতো সব সময়। তাকে দেখে মনে হতো সে কত অসুস্থ। ইমন আমার থেকে পড়াশোনায় অনেক ভালো ছিল। কেননা ইমন ছোটকাল থেকেই মেকানিক বিষয়ে একটু আগ্রহী ছিল। সে সব সময় ছোটখাটো জিনিস নিয়ে চেষ্টা করত সেটা ভেঙ্গে আবার নতুন করে গড়তে ।তাকে সবাই মজা করে বলতো বিজ্ঞানী। আমিও অনেক সময় ইমনকে মজা করে বিজ্ঞানী বলতাম। কেননা আমি সবসময় খেয়াল করে দেখতাম সে সবসময় খুঁটিনাটি জিনিস নিয়েই পড়ে থাকতো । আমাদের পাড়ার অনেকেই তার কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের জিনিস সারতে আসতো। ইমন কিছুটা জিনিস সাড়তে পারতো কিন্তু তার বিনিময়ে কোন টাকা পয়সা নিতো না ।অনেকেই লাইট সাড়তে আসতো।আমি আগেই বলেছি আমি একটু চঞ্চল প্রকৃতির ছিলাম। একদিন আমি আর ইমন আমাদের আম বাগানে আম পারতে গিয়েছিলাম ।ইমনকে আমি বললাম তুই গাছে উঠে পাকা আমগুলো পার ও বলল আমি পারতে পারব না ।
ইমন যখন বলল আমি গাছে উঠতে পারব না। তখন আমি বললাম তুই তাহলে নিচে দাঁড়িয়ে থাক আমি গাছে উঠে পারছি। তখন আমি গাছে উঠে পাকা পাকা আম পেড়ে খাচ্ছি ইমন নিচ থেকে আমার কাছে আম চাইছিল ।আমি অল্প কিছু আম দিচ্ছিলাম। গাছ পাকা আমগুলো আমি গাছে বসে বসে খাচ্ছিলাম ।তখন ইমন দৃশ্য দেখে ইমনের অনেক রাগ হয় এবং বলে তুই গাছে বসে থাক আমিও এবার আম গাছে উঠবো ।তখন ইমন আম গাছের উঁচু ডালে উঠে এবং একটা গাছ পাকা আম পারতে যায়। ইমন যেই টাল্টাতে আম পারছিল ডালটা অনেক শুরু ছিল। সেজন্য হয়তো সে ঝুলটা সামলাতে পারেনি। যখন সে পাকা আমটা বাড়তে যায় তখন সে অনেক উচু থেকে পড়ে যায় ।পড়ে যাওয়ার পর ইমনের হাতে অনেক আঘাত লাগে ।এবং চিল্লাতে শুরু করে দেয়। যখন আমি দেখি ইমন অনেক উচু ডাল থেকে নিচে পড়ে গিয়েছে। তখন আমি গাছ থেকে তখনই নেমে পড়ি এবং চিল্লাতে শুরু করে দিই। আমার চিল্লাতে শুনে আমাদের আম বাগানে অনেকেই চলে আসে। এবং দেখে ইমন এর হাতে অনেক আঘাত পেয়েছে। সে অনেক কষ্ট পায় তখন আমরা খুব দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই। ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার পর জানতে পারা যায় ইমনের হাতটা ভেঙ্গে গেছে। ইমনের হাতটা ভেঙ্গে গিয়েছিল বলে এমন এত জোরে চিল্লাচ্ছিল। হয়তো তার হাতে অনেক যন্ত্রণা করছিল ।তখন আমার অনেক খারাপ লাগে আমি যদি তাকে গাছ পাকা আম গুলো খেতে দিতাম তাহলে হয়তো আজকে এরকম হত না। আমি গাছ পাকা আম না দেওয়ার কারণে হয়তো আজকে এরকম হলো ।কিছু করার নেই অনেক সময় অজান্তেই অনেক ভুল হয়ে যায় ।আশা করি আমার ছোট গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে ।
🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹
আল্লাহ হাফেজ...! আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হবে ইনশাল্লাহ ❣️❣️❣️
ব্লগার | @mdemaislam00 |
ব্লগিং ডিভাইস | infinix note 11pro |
অনুবাদে | মোছাঃ ইমা খাতুন |
শ্রেণী | গল্প |
আমার নাম মোছাঃ ইমা খাতুন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বর্তমান ঠিকানা ষোলটাকা, গাংনী মেহেরপুর। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি করতে অনেক পছন্দ করি এছাড়াও আমি লেখালেখি এবং ডাই পোস্ট করতে ভালোবাসি। আমি এসএসসি পাশ করেছি আমাদের গ্রাম থেকে এবং পাশাপাশি ব্লগিং করি এবং নিজের যোগ্যতাকে যোগ্য অবস্থান দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি মানুষ একদিন হয়তো থাকবে না কিন্তু মানুষের কর্ম সারা জীবন থেকে যাবে এই জন্য আমি কাজের ভিতরে আসল শান্তি খুঁজে পাই।


আম পেড়ে খাওয়ার ভালো ও তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা গুলো অনেক ভালো লাগলো।আপনার ও ইমন ভাইয়ার সম্পর্কে অনেক সুন্দর সুন্দর কথা জানতে পেলাম।আপনি একাই পাকা পাকা আম খেয়ে নিচ্ছেন জন্য রাগ করে গাছে উঠেছে এবং পড়ে গিয়ে হাত ভেঙ্গে গেছে জেনে খারাপ লাগলো।আসলে এগুলোই শৈশব। শৈশবের খারাপ ভালো সব ভালো লাগে।ধন্যবাদ পোস্ট টি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
আপনারা জমজ ভাই বোন ছিলেন জেনে ভালো লাগলো। আর সাথে আম পাড়ার সেই অভিজ্ঞতা। শৈশবের এই দিনগুলো খুবই মধুর ছিল যা এখন শুধুই স্মৃতি। আপনার এই স্মৃতিচারণ পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপু।