হ্যালো..!!
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ পরিবার
আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে
আজ , শুক্রবার, নভেম্বর / ২৯ /২০২৪
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দু আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি। অন্যদিন আমি আপনাদের সাথে রেসিপি, ড্রাই পোস্ট ,ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে থাকি। কিন্তু আজকে আমি আপনাদের সাথে অন্য রকম একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনারা হয়তো জানেন এর আগে আমি বলেছি আমার ছোট্ট সোনা মনি মাহাদী অসুস্থ। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে সব বাচ্চাদের হয়তো এরকম অসুস্থতার সম্মুখীন হয়েছে। শুধু ছোট বাচ্চা না বড়রাও অনেকেই ঠান্ডা সর্দি কাশির জন্য অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আমার ছেলেকে চোখে চোখে রেখেও অসুস্থতার কাছ থেকে রেহাই পেলাম না। মাহাদীর বয়স দুই বছর এখন সে অনেক দুষ্টামি করে। এই বয়সটা সব বাচ্চারাই অনেক দুষ্টামি করে থাকে। বেশিরভাগই সে ধুলা বালি ও পানি নিয়ে খেলা করে ।যতই আমি পানিও ধুলাবালি থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করি তবুও যেন ধুলাবালি ও পানির সাথে সে লেগেই থাকে। ধুলাবালি নারলেও আমি তাকে একা একা খেলতে দিই ।অন্য বাচ্চাদের তুলনায় সে অনেক ছোট। সেজন্য অন্য বন্ধুরা তাকে মেরে পালিয়ে যায় ।তাই তাদের সাথে আমি তেমন একটা মিসতে দেই না মাহদিকে।
মাহাদির যখন জ্বর এসেছিল তখন আমি মাহাদিকে নাপা খাওয়াইছিলাম। নাপা খেয়ে জ্বর প্রায় সেরে গিয়েছিল। জ্বর সেরে গিয়েছিল বলে আমি আমার মাদের বাসায় একটু ঘুরতে গিয়েছিলাম ।মাদের বাসায় গেলে আমার ছেলে অনেক আনন্দ পায়। কিন্তু মাদের পানি আমার ছেলে খেলে ঠান্ডা লাগে ।আমি আমাদের বাসা থেকে পানি নিয়ে গিয়েছিলাম ।ভাবছিলাম একদিন থেকে চলে আসব
কিন্তু যেয়ে আসতে ইচ্ছে করছিল না তাই তিনদিন মাদের বাসায় থাকছিলাম ।মাদের বাসার পানি খেয়ে মাহাদীর আবার জ্বর এসেছে। তখন আমি মাহাদিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই ।ডাক্তার তখন তাকে জ্বরের ঔষধ দেয়। জ্বরের ঔষধ খেয়ে মাহাদির জ্বর একটুও কম ছিল না। প্রায় ১০২ জ্বর ছিল তখন আমি অনেক হতাশ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবছিলাম কোন ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলেন খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাবে ।যেমন কান্না করছে তেমনি কিছু খেতে চাচ্ছে না। আপনারা তো জানেন ছোট বাচ্চাদের শরীর অসুস্থ থাকলে তারা কেমন করে । মুখের দিকে আমি আর তাকাতে পারছিলাম না ।অনেক কষ্ট লাগছিল মাহাদীর অসুস্থতার জন্য ।আম্মুদের বাসায় ঘুরতে না গেলে হয়তো আবার নতুন করে আমার ছেলের জ্বর আসতো না। গতকাল রাতে মাহাদি একটুও ঘুমায়নি ।
আমি সারারাত মাহাদীকে দিয়ে বসে থেকে মাথায়পানি পটি করে দিয়েছিলাম। ভাবছিলাম কখন আবার সকাল হবে মাহদিকে ডাক্তারের কাছে যাব।
যখন সকাল হলো তখন মাহাদিকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে চলে গেলাম ।শুনেছি বামুন্দিতে শিশু অভিজ্ঞ ডাক্তার আছে। সেই ডাক্তার নাকি অনেক ভালো চিকিৎসা করে। সেজন্য আমি মাহদিকে সেই শিশু অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় ।এবং যে বাচ্চাকে দেখে এবং বলে বাচ্চার তেমন একটা রক্ত নেই ।মাহাদি ডিম আর মাছ ভাজি ছাড়া কোন সবজি খেতে চায় না। আজ পর্যন্ত মাংস খাই না ।অনেক চেষ্টা করেছি তবুও মাংস খাওয়াতে পারিনি। সেজন্য হয়তো এমন দুর্দশা। সব ধরনের সবজি খেলে হয়তো এমন অবস্থা হতো না ।বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির অভাবে তার মুখে ঘা হয়েছে এবং রক্তের অভাব। মাহাদি একটুও খাবার খেতে চায় না অনেক ওষুধ খাওয়ানোর পর অল্প একটু খাই। শুধু কাটুন দেখে কাটুন না দিলে খেতে চায় না ।এমনিতেই ও ছোটকাল থেকেই অল্প একটু খাই ।বেশি খাবার খেতে চাই না ।অনেক জোর করে করে খাবার খাওয়ানো হয়ে থাকে। আজকের সারাদিন একটুও ভাত খাইনি মাহাতি শুধু একটু ফল আর পানি খেয়ে আছে। বাচ্চারা অসুস্থ থাকলে সব থেকে মায়েদের বেশি কষ্ট লাগে। মনে হয় যেন আমার বাচ্চার অসুখ না হয়ে আমার হলে ভালো হতো ।আজকে সারাদিন মাহাদিকে কোলে করে নিয়ে বেরিয়েছি । খাওয়ার তেমন একটা সুযোগ পায়নি। মাহাদী কারোর কাছে থাকতে চাচ্ছিল না। শুধু কান্না করছিল তাই আমি কোলে করে নিয়ে বেরিয়েছিলাম। আপনারা দোয়া করবেন আমার বাচ্চা যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায় ।আপনাদের বাচ্চাদের ও সাবধানে রাখবেন আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বাচ্চাদের জ্বর ঠান্ডা লেগেই থাকছে।
🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹
আল্লাহ হাফেজ...! আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হবে ইনশাল্লাহ ❣️❣️❣️
ব্লগার | @mdemaislam00 |
ব্লগিং ডিভাইস | infinix note 11pro |
অনুবাদে | মোছাঃ ইমা খাতুন |
শ্রেণী | রেসিপি |
আমার নাম মোছাঃ ইমা খাতুন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বর্তমান ঠিকানা ষোলটাকা, গাংনী মেহেরপুর। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি করতে অনেক পছন্দ করি এছাড়াও আমি লেখালেখি এবং ডাই পোস্ট করতে ভালোবাসি। আমি এসএসসি পাশ করেছি আমাদের গ্রাম থেকে এবং পাশাপাশি ব্লগিং করি এবং নিজের যোগ্যতাকে যোগ্য অবস্থান দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি মানুষ একদিন হয়তো থাকবে না কিন্তু মানুষের কর্ম সারা জীবন থেকে যাবে এই জন্য আমি কাজের ভিতরে আসল শান্তি খুঁজে পাই।
এখন অনেক বাচ্চাদের সর্দি জ্বর কাশি লেগে রয়েছে। ঠিক তেমনি শীতের জন্য অনেক যত্নবান হতে হবে। বাবুর যেহেতু রক্তের সমস্যা তাহলে সেভাবে খাওয়াতে হবে। মাছ মাংস ডিম এগুলো একটু বেশি খাওয়াতে হবে।
মাছ ও ডিম খাই কিন্তু মাংস একটুও খেতে চায় না আপু সেজন্য অনেক ঝামেলা।
প্রথমে তোমার বাবুর জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভ কামনা করি মহান সৃষ্টিকর্তা যেন বাবুকে দ্রুত সুস্থ করে দেন। ছোট বয়সে বাচ্চাদের এমন রক্ত স্বল্পতা হতে পারে এটা স্বাভাবিক ভয়ের কোন কারণ নেই। তবে ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। আশা করব দ্রুত বাবু ঠিক হয়ে যাবে।
ভাইয়া দোয়া করবেন যেন খুব তাড়াতাড়ি মাহাদি সুস্থ হয়ে যায়।
এটা মূলত আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার কারণেই হচ্ছে আপু। কিছুদিন আগে আমার ছেলেটাও খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। ছোটদের সাথে সাথে বড়রাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আপনার ছেলের সুস্থতা কামনা করছি। ছোট বাচ্চা অসুস্থ হলে কতটা কষ্ট হয় মায়েদের সেটা আমি জানি।
আসলেই আপু বাচ্চারা অসুস্থ হলে খুব কষ্ট লাগে।