গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ভারত
নমস্কার বন্ধুরা,
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ১২ তম ম্যাচ নিউজিল্যান্ড এবং ভারতের দুই দলের কাছেই নিয়ম রক্ষার ম্যাচ। কারণ দুই দলে আগেই সেমিফাইনাল নিজেদের জায়গা পাকা করে ফেলেছে। তবে নিয়ম রক্ষার ম্যাচ হলেও নিউজিল্যান্ড ও ভারত উভয় দল চাইছিল তারা গ্রুপ স্টেজে অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালে খেলতে। সব ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে গেলে সেক্ষেত্রে বাড়তি একটা মানসিক শক্তি দলের সমস্ত খেলোয়াড়দের মধ্যে থাকে। সেই নিয়েই শুরু হয়েছিল নিউজিল্যান্ড ভারতের ম্যাচ। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল শ্যান্টনার টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেয়। আর ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার এটা ছিল টানা ১৩ তম টসে হার।
ভারতের ব্যাটিং ইনিংস রোহিত শর্মা ও শুভমন গিল শুরু করে। গত ম্যাচে ভালো রান পাওয়া শুভমন অল্প কটি বল খেলে আউট হয়ে যায়। অধিনায়ক রোহিত শর্মা ব্যক্তিগত ১৫ রানের মাথায় আউট হয়ে গেলে ভারত কিছুটা চাপে পরে যায়। চাপ আরো বাড়ে যখন গ্লেন ফিলিপসের এক হাতের দুর্দান্ত ক্যাচে বিগত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান বিরাট কোহলি মাত্র ১১ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যায়। শ্রেয়স আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল চতুর্থ জুটিতে ভারতের ব্যাটের হাল ধরে। অক্ষর ভারতের ১২৮ রানের মাথায় আউট হয়। দুই ব্যাটারের ৯৮ রানের পার্টনারশিপ ভারতকে কিছুটা সন্মান জনক জায়গায় পৌছে দেয়। খেলার গতি বাড়াতে গিয়ে কিউয়িদের দারুন স্পেলে শ্রেয়স আইয়ার ও কে এল রাহুলকে পরপর প্যাভিলিয়নে ফেরত যেতে বাধ্য করে। তকাহন ভারতের ২০০ রানের গণ্ডি পেরোবে কিনা তা নিয়ে সন্ধিহান ছিলাম। কিন্তু হার্দিক পাণ্ডিয়া এবং জাদেজার জুটিতে নতুন স্বপ্ন দেখাতে শুরু করে। সেই সময়ে পূর্ব কিউয়ি অধিনায়ক উইলিয়ামসন দুর্দান্ত ক্যাচ ধরে জাদেজা কে ফেরত পাঠায়। জাদেজা আউট হতেই হার্দিক জোরে ব্যাট চালানো শুরু করে। হার্দিকের ব্যাটের উপর ভর করে ভারত ২৪৯ রানে নিজেদের ব্যাটিং শেষ করে।
মাত্র ২৫০ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নিউজিল্যান্ড ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই রচীন রবীন্দ্রর উইকেট হারিয়ে ফেলে। যদিও তাতে খুব একটা ফারাক আসেনি নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের মধ্যে। তারা ধরে ধরে নিউজিল্যান্ডের রান বাড়াতে থাকে। উইলিয়ামসন এবং আরেক ওপেনার দ্বিতীয় উইকেটে ৩২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে। বরুন চক্রবর্তীর বলে দ্বিতীয় উইকেট হিসেবে পতন হয় উইল ইয়াংয়ের। কেন উইলিয়ামসন ড্যারেল মিচেলের সাথে পার্টনারশিপ করতে শুরু করে। কুলদীপ যাদব এবং জাদেজার পরপর দুইকেট ফেলে দিলে ভারত খেলায় কিছুটা ঘুরে আসে। তারপর কিউযয়িদের উইকেট হারানো আর থামেনি। চার বছর পরে ভারতীয় দলে ফেরত আসা বরুন চক্রবর্তীর ভেলকির সামনে একের পর এক কিউয়ি ব্যাটাররা প্যাভিলিয়নে ফিরে যেতে থাকে। শুধুমাত্র উইলিয়ামসন ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে থাকায় নিউজিল্যান্ড এর স্কোর বোর্ড এগোতে থাকে। অক্ষরের বলে কেন উইলিয়ামসন উইকেট হারালে নিউজিল্যান্ড তখন ১৬৯-৭ স্কোরে বেকায়দায় পড়ে যায়। কিউয়ি অধিনায়ক মিচেল শ্যান্টনার কিছুটা চেষ্টা করলেও শেষমেশ ২০৫ রানে নিউজিল্যান্ড শেষ উইকেট হারায়।
"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির প্রথম MEME Token : $PUSS by RME দাদা
"আমার বাংলা ব্লগের" প্রথম FUN MEME টোকেন $PUSS এখন SUNSWAP -এ লিস্টেড by RME দাদা
X-প্রোমশনের ক্ষেত্রে যে ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন,
@sunpumpmeme @trondao $PUSS

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই খেলাটি আমি দেখেছিলাম। নিউজিল্যান্ডের মতো দল ভারতের সাথে মাত্র ২ ৪৯ রান করতে পারে নাই। আমি প্রথম ভেবেছিলাম হয়তো নিউজিল্যান্ড ৪০ ওভার এই খেলাটি জিতে যাবে। কিন্তু ভারতের বোলারদের তুঁপের মুখে পড়ে নিউজিল্যান্ডের একের পর এক উইকেট এর পতন হয়। খুবই অল্প রানে নিউজিল্যান্ডকে আটকে দেই। আর সেই সাথে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়। ভারতের জন্য শুভকামনা রইল।
রোহিত শর্মা এখন প্রতি ম্যাচেই টস হেরে যাচ্ছে। তবে টস হারলেও ম্যাচ তো ভারত ঠিকই জিতে যাচ্ছে। যাইহোক এই ম্যাচে ভারতের ব্যাটিং ততোটা ভালো না হলেও,বোলিং এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। ভারত যে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে, সেটা আগেই ভেবেছিলাম। এই ম্যাচের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
প্রথমে মনে হয়েছিল লক্ষ্যটা একেবারেই কম। কিন্তু সেটা খুব সহজ যে হবে না সেটা বোঝা গেল ইনিংস শুরু হওয়ার পরে। দারুণ বোলিং করেছে ভারতীয় বোলার রা। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ কে একেবারে বিধ্বস্ত করে ছেড়েছিল।