কবিতা : ‘হৃদয়ে বর্ষা’ - ফ্যান্টম | আবৃত্তিতে : নির্মাল্য
নমস্কার বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ঈশ্বরের কৃপায় সকলেই সুস্থ ও সবল। যদিও কদিন অসুস্থ্য হয়ে শয্যাশায়ী, তবুও বলবো যে আপনাদের আশীর্বাদ ও ভালোবাসায় আমি সর্বোপরি ভালো আছি। আজ আপনাদের সাথে আরো একটি নতুন কবিতা আবৃত্তি নিয়ে হাজির হয়েছি।
আজ আপনাদের কাছে আমাদের প্রিয় ফ্যান্টম দার আরেকটি কবিতা আবৃত্তি রূপে পরিবেশন করছি। আবৃত্তি সিরিজে এটি আমার ত্রয়োদশতম উপস্থাপনা। আমার আজকের পরিবেশন, হৃদয়ে বর্ষা। হৃদয়ে বর্ষা একটি রুপক ধর্মী কবিতা যেখানে কবি অতীত থেমে না থেকে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। যেটা অভিমত পর্যায়ে গিয়ে আরো আলোচনা করবো। আর দেরি করা ঠিক হবেনা, তাহলে চলুন শুরু করে দেওয়া যাক।
বর্ষাও অবশেষে শেষ হতে চললো
কিছুদিন পর হাওয়ারা নদীর বুকে
জল খেয়ে খেয়ে ঘুরে বেড়াবে,
কাশফুলের আন্দোলিত হৃদয় জুড়ে।
তবুও তোমার দেখা পাই নি
কথা ছিল তুমি আসবে বর্ষার মাঝামাঝি।
আমার রাজ্যে প্রবল প্লাবনে ও
দেখা দিয়েছে দারুন জলের অভাব।
শুধু তোমার ভরসায় তোমার প্রতীক্ষায়
কেটে গেছে পুরো বর্ষাকাল ।
আজ আমি সময়ের প্রত্যেকটা পদচারণ শুনি
ফেরত নিয়েছি জীবনের সব লেনদেন,
আমাদের বিশ্বাসভঙ্গের দায় কে নেবে ?
মাঝে মাঝেই মুখোশের আড়ালে বেরিয়ে পড়ে
কিছু মুখ কিছু লোভী চকচকে চোখ,
মনে হয় পৃথিবী বড় বিচিত্র বড় বসবাসের অযোগ্য।
তবুও আমাকে বাঁচতে হবে
আগামী সুন্দর সকালের জন্য।
শরতের শিউলির বুক জুড়ে
আমার আশারা ঘুরবে ফিরবে,
সে দিনের প্রতীক্ষা তোমার জন্য নয়
সেদিন হয়তো আরও বড় কিছু ,
আরো মহৎ কিছু আসবে তোমার বিপরীতে।
হৃদয়ে বর্ষা কবিতায় বর্ষা কথাটি রূপক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। হৃদয়ে বর্ষা কথাটির আক্ষরিক অর্থ এক রকম হলেও কবিতার মূল ভাবার্থ সঠিক বুঝতে পারলে বোঝা যায় যে এখানে যে মনের ভেতরের কান্নার কথা বলা হয়েছে, যা আমরা সচরাচর দেখতে পাই না। কবি জীবনের নানান দিক নিয়ে তার কবিতাটি রচনা করেছেন। কবি যেমন অতীতের দুঃখের কথা বলেছেন তেমনি আবার পুরনো অতীতকে ভুলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার কথাও বলেছেন।
অতীতকে ফেলে আমাদের নতুন করে সুদিনের আশা নিয়ে পথ চলা শুরু করে দিতে হবে। কারণ অতীতকে ভুলে সামনে এগিয়ে চলাই আমাদের জন্য শ্রেয়। কবিতার প্রতি লাইনেই কবির লুকিয়ে রাখা ব্যাথা ফুটে বেরিয়ে এসেছে। যেখানে কবি বলেছেন যে আমার রাজ্যে প্রবল প্লাবনের দেখা দিয়েছে দারুন জলের অভাব।
তিনি বলছেন যে আগামী দিনের কথা ভেবেই কবিকে বাঁচতে হবে, কারণ অতীতের খারাপ সময়টা কেটে হয়তো ভবিষ্যতে ভালো সময়টা ফিরে আসবে। হয়তো দুঃখের অতীত কাটিয়ে তার দ্বিগুণ সুখ জীবনে ফিরে আসবে।
সত্যিই কি তাই নয়? আমাদেরকে অতীত পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যেতে হবে, আরো নতুন উদ্যমে নিয়ে।
আবৃত্তি
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ফ্যান্টম দাদার "হৃদয়ে বর্ষা" কবিতা ও আবৃত্তিতে : নির্মাল্য দাদা, যেন সোনায় সোহাগা। অসাধারণ একটি তাৎপর্যপূর্ণ কবিতা পড়লেন দাদা সাথে আবৃত্তিতে মনোযোগ দিয়ে শুনলাম। অসাধারণ হয়েছে। আপনাদের দুজনের জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ অমিতাব বাবু। অনেক অনেক ধন্যবাদ 🥰
দাদার লেখা কবিতা এর আগেও আপনি আবৃত্তি করেছেন আমি শুনেছিলাম। আজকের হৃদয়ে বর্ষা এই কবিতাটি ভীষণ ভালো আবৃতি করেছেন। এই কবিতাটির মতামত মতো বেশ ভালো লিখেছেন। আসলেই অতীতকে ফেলে আমাদের নতুন করে সুদিনের আশা নিয়ে পথ চলা শুরু করে দিতে হবে। কারণ অতীত থেকে বর্তমান কিংবা ভবিষ্যৎটা আলোকিত করা উচিত। আপনার কন্ঠে কবিতা আবৃতি সত্যি অনেক ভালো লেগেছে।
সেটাই হয়তো আমাদের বাঁচার তাগিদ জোগাবে।
সত্যি দাদা খুবই চমৎকারভাবে কবিতাটি আবৃত্তি করেছেন, আপনার আবৃত্তি শুনে আমি একবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সে সাথে কবিতাটি নিয়ে আপনি আপনার যে মতামত ব্যক্ত করেছেন আসলে আমাদের উচিত অতীতকে ভুলে সামনে এগিয়ে যাওয়া আর এতে আমাদের সকলের জন্য মঙ্গল, আপনি ঠিকই বলেছেন। সে সাথে কবি তার লুকিয়ে থাকা মনের অতীতের ব্যথাগুলো প্রকাশ করার মাধ্যমে সেগুলোকে ভুলে গিয়ে ভবিষ্যতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এই কবিতায় ব্যক্ত করেছেন।
অতীত জিইয়ে রেখে খুব লাভ হয় না। তাই এগিয়ে চলাই শ্রেয়।
কবিতার অন্তর্নিহত তাৎপর্য ও সাবলীল কন্ঠে আবৃত্তি মন ও মস্তিষ্কে আপনার সুন্দর বক্তব্যর সাথে আমিও একমত প্রকাশ করছি।
জীবনের ফেলে আসা কর্কটময় অতি উজ্জ্বল দিনগুলোকে মনে রাখলে শুধুই কষ্টই পাবো। তার চেয়ে বরং অতীতকে ভুলে গিয়ে, নতুন করে জীবনকে নতুন আঙ্গিকে এবং অনেক নতুনত্বকে সাথে নিয়ে পুনরায় সামনে এগিয়ে যাওয়াই শ্রেয়। আপনার এত সুন্দর কবিতা ও দৃষ্টিনন্দন ভাবগাম্ভীর্য প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
শুধু অতীত ভুলে গেলে হবেনা, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে তবেই সামনে এগিয়ে চলতে হবে। ধন্যবাদ এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য। 🤗
ধন্যবাদ আপনাকেও ভাইয়া অতি উত্তম কথাগুলো বলার জন্য।
অতীত কে ভোলা যাবে না স্মরণ করে রাখতে হবে কিন্তু অতীতে পড়ে থাকা যাবে না। সামনে এগিয়ে যেতে হবে।। আপনার বক্তব্যটা পড়ে কবিতা টার আসল অর্থ বুঝেছি বলতে পারেন। আবৃত্তি টাও চমৎকার ছিল দাদা। সবমিলিয়ে দারুণ বলতেই হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।।
দাদা আসলে অন্য ভাব ধারার কবিতা লেখে যেটা আমি আবৃত্তি না করলে ঠাহর করতে পারিনা। আগেও নিজে নিজে আবৃত্তি করে বুঝতাম। এখন সবার সাথে সেটা ভাগ করে নিই।
অনেক দিন আগে কবিতাটা পড়েছিলাম। ভুলেই গিয়েছিলাম সত্যি বলতে। আবৃত্তিটা শুনছিলাম আর কবিতার লাইন গুলোতে চোখ বোলাচ্ছিলাম। খারাপ লাগছিল না। বেশ ভালো একটা চেষ্টা করেছেন আবৃত্তি করার দাদা। কবিতাটা নোটপ্যাডে আলাদা করে রেখে দিলাম। আমার নিজেরও খুব ইচ্ছে করছে একদিন আবৃত্তি করতে। দেখি, একদিন চেষ্টা করে দেখব এত সুন্দর একটা লেখা নিজের গলায় ফুটিয়ে তুলতে।
অবশ্যই করো। আসলে আমি কবিতা পড়া আর আবৃত্তি করার মধ্যে বিস্তর ফারা পেয়েছি। কবিতা আমি খুব একটা বুঝতে পারি না কিন্তু যদি আবৃত্তি করি তাহলে অনেকটা উপলব্ধি হয়।
দাদার লেখা বেশিরভাগ কবিতাগুলোই আমার পড়া হয়ে ওঠেনি। তবে বেশ কিছুদিন ধরে তোমার আবৃত্তির মধ্য দিয়ে দাদার কিছু কবিতা পড়ার বা শোনার সুযোগ হয়েছে। কবিতার লাইনগুলো দেখছিলাম আর তোমার আবৃত্তি শুনছিলাম এক কথায় সত্যিই অনবদ্ধ ছিল নির্মাল্য দা।
ধন্যবাদ সুরঞ্জিত বাবু। দাদা অনেক কবিতা লিখেছেন। গত বছর থেকে শুরু করে
দাদা আজকে আপনার কন্ঠে আবৃত্তি শুনতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। সত্যিই বড় দাদার লেখা কবিতা আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে আবৃত্তি করলেন। এই কবিতাটি আপনার মুখে আবৃত্তি শুনতে অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমার।
ধন্যবাদ রায়হান ভাই 🤗
আমাদের শ্রদ্ধেয় প্রিয় দাদার লেখা ‘হৃদয়ে বর্ষা’ কবিতাটি যেমন অসাধারণ ছিল। ঠিক তেমনি অসাধারণ ভাবে কবিতাটি আপনি আবৃত্তি করেছেন। আপনার মিষ্টি কন্ঠের কবিতা আবৃত্তি আমি যতই শুনি ততই মুগ্ধ হয়ে যায়। সত্যি দাদা আপনার কন্ঠে কেমন যেন জাদু আছে।
জাদু হয়তো নেই তবে জাদু আনতে হবে। ধন্যবাদ 🤗
দাদা তোমার পরিবেশনায় দ্বাদশ তম কবিতা আবৃত্তিটি খুবই সুন্দর হয়েছে। ফ্যান্টম দাদার লেখা কবিতা গুলো যেমন সুন্দর, ঠিক তেমন সুন্দর তোমার আবৃত্তি করার কন্ঠ।
সেটাই তো দাদা আমাদের সবসময় অতীতকে ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। অতীত মানে হচ্ছে ভুত যার কোন রিয়েল অস্তিত্ব নেই। এটা শুধু মেমরি আর মেমোরিকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকা বোকামি। তাই আমাদের এই অতীতকে অতীতের জায়গায় রেখে নতুন উদ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে এ বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই আমার।
ওটা ত্রয়োদশ তম হবে। ভুল করে দ্বাদশ তম বলেছি 😝।
এটাই হলো আসল কথা।
হিহি.. কমেন্ট কারীর কোন দোষ নেই দাদা ! এখানে কনটেন্ট ক্রিয়েটর একটু মিসটেক করে ফেলেছে।