মুচমুচে বাঁধাকপির পাকোড়া।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে মুচমুচে বাঁধাকপির পাকোড়া রেসিপি শেয়ার করবো। রেসিপিটি দেখতে যেমন লোভনীয় লাগছে খেতেও দারুন স্বাদ ছিল।
বন্ধুরা ধীরে ধীরে এবছরের শীত মৌসুম বিদায় নিচ্ছে। অলরেডি হালকা পাতলা গরম শুরু হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে বাজারে শীতের সবজি ভরপুর রয়েছে। শীতের সবজি দিয়ে বাজার সয়লাব। বাঁধাকপি ফুলকপি, গাজর, শসা, টমেটো, বিভিন্ন ধরনের শাক বাজারে দেখা যাচ্ছে। এসব সবজি দিয়ে প্রতি ঘরে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করা হচ্ছে। তাছাড়া শীতকালে একটু ভাজাপোড়া খেতে ভালো লাগে। সব থেকে বেশি যে রেসিপিটা চোখে পড়ছে, সেটা হচ্ছে বাঁধাকপি অথবা ফুলকপির পাকোড়া রেসিপি। গত পরশুদিন আমিও বাঁধাকপির পাকোড়া রেসিপি করে খেয়েছিলাম। রেসিপি টা অনেক সুন্দর হয়েছিল। সে কারনে ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক।
রেসিপির বিভিন্ন উপকরণসমূহ
- বাঁধাকপি এক চতুর্থাংশ
- গাজর ছোট তিনটি
- বেসন এক কাপ পরিমাণ
- বোটের মিশ্রণ এক কাপ পরিমাণ
- কাঁচা মরিচ চার পিস
- পেঁয়াজ কুচি পরিমাণ মতো
- আদা বাটা পরিমাণ মতো
- রসুন বাটা পরিমাণ মতো
- ধনিয়ার গুঁড়ো পরিমান মত
- হলুদের গুঁড়ো পরিমাণ মতো
- জিরে গুঁড়ো পরিমাণ মতো
- সয়াবিন তেল পরিমান মত।
পাকোড়া রেসিপি তৈরি করার বিস্তারিত বর্ণনা -
প্রথমে আমি প্লাস্টিকের মধ্যম সাইজের একটি গামলাতে কুচি কুচি করে রাখা বাঁধাকপি, বেসন, বোটের মিশ্রণ, পেঁয়াজ কুচি, গাজর কুচি সহ সমস্ত উপকরণ একসাথে মিক্স করে নিলাম।
মিশ্রনটা দেখতে পাচ্ছেন, খুবই সুন্দর হয়েছে। একেবারে রেস্তোরাঁর পাকোড়া তৈরির মিশ্ররনের মতো হয়েছে। যারা প্রফেশোনাল ভাবে পাকোড়া তৈরি করে তাদের উপকরণের মিশ্রন এমনই হয়ে থাকে।
তারপর সদ্য কিনে আনা কিয়াম ব্যান্ডের ফ্রাইপেন চুলাতে বসিয়ে তাতে পরিমাণ মত সয়াবিন তেল দিয়ে দিলাম। তেল গরম হতে হতে আমি উপকরণের মিশ্রন হাতে নিয়ে পকোড়া বানিয়ে রেডি করছি।
তারপর আমি ধীরে ধীরে পাকোড়া বানিয়ে একে একে ফ্রাইপেনের তেলে ছেড়ে দিলাম। চুলার আগুনটা একটু বাড়িয়ে দিলাম। চার থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে পাকোড়ার একপাশ হয়ে গেলো।
দশ মিনিটের মধ্যে পাকোড়া ভাজা ভাজা হয়ে গেলো। দেখতে পাচ্ছেন কত লোভনীয় লাগছে। পাকোড়া ভাজা হওয়ার পরে তেল ছেঁকে নামিয়ে নিলাম।
মুচমুচে বাঁধাকপির পাকোড়া পরিবেশন-
কেমন হলো আমার মুচমুচে পাকোড়া রেসিপি। দেখতে যেমন লোভনীয় লাগছে খেতেও দারুন স্বাদ ছিল। গরম গরম খেতে পারলে বেশি স্বাদ লাগে। সন্ধ্যার সময় পাকোড়ার সাথে সালাদ হিসাবে টমেটো, গাজর, শসা ও টমেটো সস ছিল। সব মিলিয়ে দারুন একটি রেসিপি হয়েছে। প্রতি কামরে কামরেই স্বাদ।😋😋
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ০৯-০২-২০২৫ |
সময় | রাত-৮.০০ |
স্থান | নিজ বাসা, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
@joniprins, [12/30/2024 3:52 PM]
Click Here For Join Heroism Discord Server
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
বাঁধাকপির পাকোড়া খেতে সত্যি খুব ভালো লাগে। গরম গরম বাঁধাকপির পাকোড়া অনুভূতি সত্যি বেশ অসাধারণ হয়ে থাকে। বাঁধাকপির পাকোড়া তৈরি প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন । দেখে খুব ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে ভাই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ।
দারুন সুন্দর মুচমুচে করে বাঁধাকপির পকোড়া তৈরি করেছেন। এই ধরনের পকোড়া চা দিয়ে খেতে খুব ভালো লাগে। ছবিতে পকোড়া গুলি দেখেই তো লোভ লেগে যাচ্ছে। এই ধরনের বাঁধাকপির পকোড়া খেতে আমি খুব পছন্দ করি। সম্পূর্ণ রেসিপিটি শেয়ার করবার জন্য ধন্যবাদ।
নিজের ঘরে বানালেই খেতে মন চাই। রেস্টুরেন্টের পাকোড়াতে বিশ্বাস নেই।😉
আপনি তো একদম সঠিক বলেছেন,বর্তমানে শীত বিদায় নিতে চলেছে কিন্তু শীতের শাকসবজি দিয়ে বাজার এখন সয়লাব রয়েছে।বাঁধাকপি গাজর বেসন এবং বুট দিয়ে মুচমুচে মজাদার পাকোড়া রেসিপি শেয়ার করেছেন। এরকম নাস্তা গুলো বিকেলের জন্য একেবারে পারফেক্ট। খুবই সহজ ভাবে বাঁধাকপির পাকোড়া তৈরি করা শিখিয়ে দিয়েছেন ভাই। আপনার আজকের রেসিপি পোস্ট টি দুর্দান্ত ছিলো।
জী ভাই শীতের সবজি বাজারে ভালোই দেখ যাচ্ছে।
Task Done
এই সিজনে বাঁধাকপির পাকোড়া রেসিপি এখন পর্যন্ত কোন দিন খাওয়া হয়নি। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে মুচমুচে বাঁধাকপির পাকোড়া রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।
গতকালই গ্রামের বাড়ি এসে বাগান থেকে একটা বাঁধাকপি তুলে তার পকোড়া বানিয়েছিলাম। আমার আর সেই ছবিগুলো তুলে রাখতে মনে নেই যে ব্লগ করব। আমি অবশ্য বুটের ডাল বেটি না দিয়ে সামান্য চালগুড়ো ব্যবহার করেছি তাতে বেশ ভালো রকম মুচমুচে হয়েছে। খেতেও ভালো হয়েছিল। আপনার রেসিপিটি চমৎকার লাগছে। আশা করি খেতে বেশ ভালো লাগছিল।
শীতের বিকালে বাঁধাকপির পাকোড়া খুবই সুস্বাদু লাগে খেতে। কিছুদিন আগেও বাঁধাকপির পাকোড়া খেয়েছিলাম। আপনার রেসিপিটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। খেতেও নিশ্চয়ই দারুন ছিল। পুরো রেসিপিটা খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া এত মজার একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী খেতে দারুন স্বাদ হয়েছিল। ধন্যবাদ।
এত মজাদার ভাবে বাঁধাকপির পাকোড়া তৈরি করেছেন দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো। পাকোড়া কিন্তু আমার অনেক বেশি পছন্দের। মুচমুচে এবং গরম গরম হলে অনেক বেশি মজা করে খাওয়া যায়। দেখেই বুঝতে পারছি বাঁধাকপির এই পাকোড়া গুলো অনেক মজা করে খেয়েছেন। আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক লোভ লাগলো আমার।
এটা ঠিক বলেছেন শীতকালে ভাজাপোড়া খাবার খেতে একটু বেশিই ভালো লাগে। সন্ধ্যার নাস্তায় গরম গরম পাকোড়া হলে চায়ের সাথে আড্ডাটা ও বেশ জমে উঠে। আপনার বাঁধাকপির পাকোড়া দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপনি মুচমুচে বাঁধাকপির পাকোড়া রেসিপি তৈরি করেছেন দেখতে ভীষণ লোভনীয় লাগছে। এধরনের মুখোরোচক খাবার গুলো খেতে ভীষণ ভালো লাগে। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি রন্ধন প্রক্রিয়া বিস্তারিতভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।