অফিসে ইফতার পার্টির আয়োজন।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে মাহে- রমজানের ইফতারি পার্টি নিয়ে একটি ব্লগ শেয়ার করবো।
মাহে রমজান হলো রহমত বরকতের মাস। সারা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় সিয়াম সাধনার মাধ্যমে এই মাসটি অতিক্রম করে। এই মাসে যে মহান সৃষ্টিকর্তার রহমত নাযিল হয় তাতে কোন সন্দেহ নেই। মহান সৃষ্টিকর্তা এই মাসের খাবারের কোন হিসাব নিবেন না। রোজাদার তার ইচ্ছেমতো হালাল খাবার দিয়ে সেহরি করতে পারে, আবার ইচ্ছেমতো হালাল খাবার দিয়ে ইফতার করতে পারবে। আর এই মাসে প্রতিটি সাওয়াব ৭০% বাড়িয়ে দেওয়া হয়। একজন রোজাদারের সব থেকে খুশির সময় হলো ইফতারের সময়।
ইফতারের সময়কে স্মৃতির পাতায় ধরে রাখতে অনেকেই ইফতার পার্টির আয়োজন করে থাকে। ইদানিং বেশি অংশে দেখা যাচ্ছে নদীর তীরে, প্রাকৃতিক পরিবেশে, খোলা আকাশের নিচে ইফতার পার্টি করছে। এই বিষয়টা আমার কাছেও ভালো লাগে। তবে আমাদের খোলা আকাশের নিচে ইফতার করার ব্যবস্থা নেই। আমরা প্রতি বছর অফিসের কলিগরা মিলে অফিসের ভিতরেই ইফতার পার্টি করে থাকি।
এই বছরও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। এই বছর আমরা ১২ই মার্চ ১১ তম রোজাতে ইফতার পার্টি করেছিলাম। প্রতি বছরই আমরা ফল ফ্রুটের সাথে বিরিয়ানি রাখি। কারন বিরিয়ানি আমাদের খুবই প্রিয় একটি খাবার। এই বছর বিরিয়ানির সাথে ফল ফ্রুটের মধ্যে ছিল আপেল, মালটা, খেজুর, তরমুজ, আনারস, আঙ্গুর ফল। এই বছর দুটি আইটেম এক্সট্রা যোগ হয়েছে, আর সেটা হলো মিষ্টি আর এক কাপ দই।
আমাদের অফিস থেকে এই বছর জন প্রতি ইফতারির জন্য ৭৫ টাকা বাজেট ছিল। এছাড়াও আমরা সবাই ৩০০ টাকা করে তুলেছিলাম। সবাই আমাদের সাথে খুশি মনে অংশ গ্রহন করেছিল। আমরা নিজেরাই বাজার সদাই করে বিরিয়ানি রান্না করেছিলাম। ফল ফ্রুট কিনে এনেছিলাম। যেদিন ইফতারির পার্টি হয় সেদিন তো কাজে ঠিকভাবে মনে বসে না। যোহরের নামাজ পড়ে আমরা ইফতারি রেডি করার কাজে যোগ দিয়েছিলাম।
ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছিলো আমাদের অফিসের ক্যান্টিনে। সেখানে প্রতি টেবিলে আমরা ইফতার সাজিয়ে রাখি। সবাই ইফতারের ১০/১৫ মিনিট আগে ক্যানটিনে গিয়ে উপস্থিত হয়। সবাই মিলে ইফতারের আগে দোয়া মোনাজাত করা হয়। আমাদের সাথে কয়েক জন হিন্দু ভাইও ছিল। আমরা সবাই মিলেই ইফতার করেছি। আমাদের ইফতার পার্টি খুবই সুন্দর হয়েছিল।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ১১-০৩-২০২৫ |
সময় | বিকাল ৫.৩০ মিনিট |
স্থান | নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা। |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
আসলে কর্মস্থলে থাকলে সেখানে সবাইকে নিয়ে কোন আয়োজন করলে খুবই ভালো লাগে। আয়োজনগুলো করতেই অনেক বেশি ভালো লাগে। সবাই মিলে বিরিয়ানি রান্না করেছেন। সবকিছু সাজিয়েছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগছে। আসলে এভাবে সবার মধ্যে সম্প্রীতি বজায় থাকে।
জী আপু সবাই মিলে খুবই আনন্দের সাথে ইফতারের পার্টির আয়োজন করেছিলাম।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া সবাই মিলে একসাথে ইফতার করা সুন্দর মুহূর্তটা ধরে রাখার জন্য অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় একসাথে ইফতার করতে যাই। আপনাদের অফিসে ইফতার পার্টির আয়োজন করেছে দেখে খুবই ভালো লাগলো। তবে অফিসে ইফতারের আয়োজনের পাশাপাশি আপনারা নিজেরাও টাকা তুলে বিরিয়ানি রান্না করেছেন দেখে আরো ভালো লাগছে। অফিসের ক্যান্টিনে সবাই মিলে অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
জী আপু বিরিয়ানি রান্না করার মুহূর্তটা খুব সুন্দরভাবে আমরা এনজয় করেছিলাম।
খোলা পরিবেশে প্রকৃতির নিচে ইফতার করতে আসলেই ভালো লাগে। আপনার অফিসে খুব সুন্দর ইফতার পার্টি আয়োজন করেছেন। বাইরে ইফতার করার সুযোগ হয়নি তাই সবাই মিলে ভিতরে ইফতার করলেন। আসলে সবাই একসাথে থাকলেই অনুভূতি গুলো অন্যরকম। ভালো লাগলো আপনাদের কাটানো মুহূর্ত গুলো দেখে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
যে এক সময় ইচ্ছা রয়েছে খোলা আকাশের নিচে প্রাকৃতিক পরিবেশে ইফতার পার্টি করবো ইনশাআল্লাহ।
রমজান মাসে ভাইয়া সবাই মিলে একসাথে ইফতারি করতে অনেক ভালো লাগে । তবে খোলা আকাশের নিচে ইফতার না করলেও সবাই মিলে অফিসের ভিতরে চমৎকারভাবে ইফতারের আয়োজন করলেন। এবং ইফতারের সাথে ফল ফ্রুটের সাথে বিরিয়ানি ও রাখলেন। এবং জনপ্রতি আপনার 300 টাকা করে তুলেছেন এই কারণে সুন্দর করে অনুষ্ঠান করেছেন। আর এসব অনুষ্ঠানগুলো সারা জীবন মনে থাকে ইফতারের। ভালো লাগলো আপনার পোস্টে দেখে।
জী সুন্দরভাবে ইফতার পার্টির আয়োজন সম্পন্ন করার জন্য সবাই শরীক থেকেছেন।