গল্প: একটি বালকের অকাল মৃত্যু
গল্প
বেশ অনেকদিন আগের একটা শোনা ঘটনা। একটি ছেলের আম্মা খুবই অসুস্থ। ডাক্তার বিভিন্ন ঔষধের নাম লিখে দিয়েছিল প্রেসক্রিপশনে। প্রেসক্রিপশনে যে সমস্ত ওষুধগুলো ছিল তার মধ্যে একটা তরল ঔষধ ছিল। তার বাসা থেকে ফার্মেসি টা অনেক দূর। ছেলেটা প্রেসক্রিপশন নিয়ে সাইকেলে চোড়ে ফার্মেসিতে যায়। এরপর প্রেসক্রিপশন সেখানে দেয়। প্রেসক্রিপশন দেখে তাকে ওষুধ দেয়া হয়। সেখানে তরল একটা ভিটামিন জাতীয় ঔষধ ছিল। সে শুনেছিল এই তরল ঔষধটা এক প্রকার ভিটামিন। এই ভিটামিন টা দিন দিন খেলে তার আম্মা সুস্থ হয়ে যাবে। যাইহোক সে টাকা পরিশোধ করে আবার সাইকেলে উঠে বাড়ির দিকে রওনা দেয়। পথ চলতে জায়গায় জায়গায় রাস্তা ভাঙ্গা। বয়স কম, শক্তি ও বয়সের তুলনায় সাইকেলটা ওয়েট বেশি। সে খুব সাবধানতার সাথেই ঔষধ এর ঝোলা সাইকেলে ঝুলিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছে। এবার পথের মধ্যে বেকায়দা ভাবে ছেলেটা সাইকেল থেকে পড়ে যায়।
সাইকেল থেকে পড়ে যাওয়া মাত্রই কাঁচের বোতলটা ফেটে যায় এবং সেই বোতল থেকে বেশ ঔষধ পড়ে যায়। সে কোন রকম সাইকেল থেকে উঠে। এরপর কোন বুদ্ধি করতে পারে না। সে ভাবছিল ফাটা বোতল কিভাবে বাসায় নিয়ে যাবে। দিকে তো কাজ ফেটে গেছে আবার বেশ অনেকটা বোতল থেকে পড়ে গেছে। তারপরে যাওয়া এবং কাছে ঔষধ গুলো অনেকে দেখেছে। কোন একজন প্রশ্ন করেছিল বোতলে কিসের ঔষধ। সে উত্তর দিয়েছিল এই বোতলের মধ্যে ভিটামিন ঔষধ। ভিটামিনের দাম অনেক বেশি পড়েছে। বোতলটা ভেঙে গেল। এখন ভাঙ্গাবো তোদের তরল ঔষধ কিভাবে বাসা পর্যন্ত পৌঁছাবে। তবে পথের মানুষে তাকে বলেছিল ভিটামিন যখন সেটা তো যে সে খাওয়া যায়।
ছেলেটা কোন বুদ্ধি করতে পারল না। সাইকেল থেকে পড়ে যাওয়ায় আচ্ছা রকম সে আঘাত পেয়েছে। এদিকে কাছের বোতল ফেটে গেছে। কোনভাবে সে কাছের বোতলের ঔষধ তাকে বাঁচানোর সুযোগ পাচ্ছে না। তাই বিভিন্ন জনের কথা শোনার পর নিজ জ্ঞান করে ভেবে দেখল দামি ভিটামিন। বাসায় পৌঁছানোর আগেই সব পড়ে যাবে। আবার কাছের ভাঙ্গা বোতল নিয়ে যাওয়াটাও ঝামেলা। তাই সে বাকি যতটুকু ভিটামিন বোতলের মধ্যে ছিল, সেগুলো সব খেয়ে নিয়েছে। এরপর ঝামেলা মুক্ত মনে করে বোতলটা রাস্তার পাশে বন জঙ্গলের দিকে ফেলে দিয়ে সাইকেলে উঠে বাসার দিকে চলে যাচ্ছিল। আর এভাবেই এক মুহূর্তে বাসায় পৌঁছে যায়। তার মা অশিক্ষিত মানুষ। এদিকে ডাক্তারের লেখা প্রেসক্রিপশন তো কিছু বুঝবে না। ছেলেকে প্রশ্ন করলো সব ঔষধ পেয়েছে। ছেলে বলল সব ঔষধ পেয়েছে এছাড়াও রাস্তায় পড়ে যাওয়ার ঘটনা আর ভিটামিন এর বোতল ভেঙে যাওয়া বাকি সেবোন করা ইত্যাদি খুলে বলল।
তখন থেকে তার মা আবার একটু ভীতু হলো। আমি বয়স্ক মানুষ আমার, কি নাকি ঔষধ বোতল ফেটে গেছে তাই বলে সব খেয়ে ফেলবে ওষুধগুলো। যাইহোক পরে আর কিছু মনে করল না। কিন্তু দেখা গেল কিছুটা সময় পর ছেলে ছটফট করা শুরু করে দিয়েছে। তার মা খুব ভয় পেয়ে গেল। বারবার মনে হচ্ছিল তার কাছে সেই ঔষধ খেয়ে আমার ছেলের কিছু হলো না তো। কিন্তু দেখা যায় মাঝেমধ্যে ছেলেটার গ্যাসের প্রবলেম হয়। স্বাভাবিক সেটাই মনে করছিল। তাই বেশি মানুষজনকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি। কিন্তু কিছুটা পর দেখা যায় ছেলের অবস্থা খুবই শোচনীয় হয়ে ওঠে। এরপর মাথায় পানি ঢালা হাত পা মালিশ করা। এভাবেই একটা মুহূর্তে ছেলেটার মৃত্যু হয়ে যায়। তখন আশেপাশের মানুষজন তাদের বাসায় আসে। বিস্তারিত ঘটনা শোনার পর স্থানীয় এক ব্যক্তি প্রেসক্রিপশনটা দেখে। প্রেসক্রিপশন টা দেখে সেই তরল ঔষধটা অনুমান করে বলে এটা বেশ কঠিন একটা ঔষধ। তিনি নিশ্চিত হন অতিরিক্ত এই তরল ঔষধ টা খেয়ে ফেলার জন্যই মৃত্যু হল। অতঃপর একদম নিশ্চিত হন যে হ্যাঁ এটাই সত্য। তরল ও ঔষধটা নরমালি কোন ভিটামিন ছিল না। সেটা বেশ পাওয়ারফুল তরল ঔষধ ছিল।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ
বিষয় | গল্প |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
Photo editing | PicsArt app |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
W3w location | source |
দেশ | বাংলাদেশ |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
X--promotion
আজকের কাজ সম্পন্ন
খুবই মর্মান্তিক ঘটনা আপু।খুব খারাপ লাগলো গল্পটি পড়ে।ছোট ছেলে মায়ের প্রতি কতোই না ভালোবাসা সে পড়ে যাওয়াতে মায়ের সব ঔষধের কাঁচের বোতল ভেঙ্গে ঔষধ গুলো পড়ে গেছে।ছেলে টি হয় তো ভেবেই নিয়েছে এতো দামী ভিটামিন ঔষধ তা খেলে উপকৃত হবে কিন্তুু ছোট ছেলেতো জানতো না ঔষধ বেশি খেলে বিষক্রিয়া হয়ে যেতে পারে।অবশেষে ছেলেটি মারা গেলো খুব খারাপ লোগলো গল্পটি পড়ে।ধন্যবাদ গল্পটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
গল্পটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ
আমার যতটুকু অভিজ্ঞতা আছে সেখান থেকে বলতে পারি যদি ঐ ওষুধটি সাধারণ কোনো ভিটামিন হতো তাহলে প্রতিক্রিয়া এত বেশি পরিমাণে হওয়া কথা নয়। খুব বেশি হলে পেটে জ্বালাপোড়া কিংবা পেটের আরও অনেক রকম সমস্যা তৈরি হতো। অন্য কোন পাওয়ারফুল মেডিসিন ছিল ঐ তরলটি। অকালে আরও একটি প্রাণ ঝরে গেল। এটাই প্রার্থনা করছি এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেনো কোনো বাচ্চার সাথে আর না ঘটে। আর বাচ্চাদের দিয়ে এরকম মেডিসিন আনানো থেকে বিরত থাকতে হবে আমাদের।
এই বিষয়ে আমাদের সজাগ হতে হবে
আপনার গল্পটি পড়ে সত্যি অনেক খারাপ লাগলো। আসলে আপু আমার মনে হয় ভিটামিন যতই পাওয়ারের হোক না কেন তাতে মৃত্যু হওয়া উচিত ছিল না।আমার মনে হয় অন্য ঔষধ হবে হয়তো।যাইহোক অকালে ছেলেটি শেষ হয়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে গল্পটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার মত দেখে খুশি হলাম
অনেক মর্মান্তিক একটি ঘটনা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাবি। আসলে কখন কার মৃত্যু কিভাবে হবে কেউ জানে না। মাকে বাঁচাতে ওষুধ আনতে গিয়েছে। কিন্তু সে ঔষধ নষ্ট হওয়ার ভয়ে নিজেই সেবন করে মৃত্যুর দিকে ঢলে পড়েছে। আসলে এমন ঘটনা সত্যি মেনে নেওয়া কঠিন।
খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন
আসলে গল্পটি পড়ে খুবই খারাপ লাগলো। ভুল করে তরল ওষুধ খাওয়ার কারণে ছেলেটি অকালেই মারা গেল। তাই আমাদেরকে এখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে যে, কোন অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে বা মেয়েদেরকে দিয়ে এরকম ওষুধ ক্রয় করানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
আপু আপনার গল্পটি পড়ে বেশ খারাপ লাগলো। আসলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিছু ভুল ওষুধের কারণে মানুষ মারা যায়। হয়তোবা ছেলেটির ক্ষেত্র সেরকম হয়েছে। আর যখন মানুষ দুনিয়া থেকে চলে যায় তখন অনেক মানুষ অনেক কিছু বলে তখন আরো খারাপ লাগে। আর এরকম কষ্টদায়ক পোস্টগুলো পড়লে নিজের কাছেও খারাপ লাগে।
হ্যাঁ আপু অনেক খারাপ লেগেছিল
আপু আজকে আপনি একটি কষ্টের পোস্ট লিখেছেন। তবে আমি মনে করি এখানে ছেলেটির ও কিছু ভুল ছিল। কারণ সাইকেল থেকে পড়ে ওষুধের বোতলটি ফেটে গেল। আর সে ওষুধগুলো ছেলেটির কিছু খেয়ে ফেলেছে। তবে ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়া যে কোন ওষুধ খাওয়া ভালো না হোক সেটি ভিটামিন বা অন্য কিছু। তবে কিছু কিছু মৃত্যু আছে যেগুলো অনেক কারণ বা কিন্তু থাকে। আমারও মনে হয় ছেলেটির মৃত্যুর কারণ আছে। বাস্তব একটি গল্প আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
আপু আপনি খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন। তবে পরবর্তীতে চেষ্টা করবেন বানান গুলো ঠিক রেখে পোস্ট করার। আপনার পোস্টে অনেক বানান ভুল রয়েছে। যাই হোক ঐ ছেলের বয়স কম হওয়ায় সে ঔষধ সম্পর্কে তেমন কিছু না জেনে বোতল ভেঙ্গে যাওয়ায় তা খেয়ে নিয়েছে। হয়তো তার ভাগ্যে মৃত্যু এভাবেই লেখা ছিল। তারজন্য ছেলেটি যেমন বুঝতে পারেনি তেমনি তার মা ও বুঝতে পারেনি। তবে এভাবে ছেলেটির মৃত্যু হওয়াতে খুব খারাপ লাগলো। ধন্যবাদ আপু বাস্তবিক একটা গল্প শেয়ার করার জন্য।
ভুল হয়ে যায়, টাইপিং এর জন্য। ধন্যবাদ আপু