ঈদ স্পেশাল:"রসালো ও ঝরঝরে বোঁদে রেসিপি"
নমস্কার
ঈদ স্পেশাল:"রসালো ও ঝরঝরে বোঁদে রেসিপি"
মিষ্টি খেতে আমরা কম-বেশি সকলেই পছন্দ করি।আর মিষ্টির মধ্যে জনপ্রিয় একটি মিষ্টি হচ্ছে রসালো ও ঝরঝরে বোঁদে।যদিও আমরা অনেকসময় মিষ্টি জাতীয় রেসিপি দোকান থেকে কিনে খেয়ে থাকি কিন্তু সেটা সেইভাবে মন ভরে খেতে পারি না চাইলেও।তাই আজ আমি তৈরি করেছি "রসালো ও ঝরঝরে বোঁদে রেসিপি"।যারা কম মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন কিংবা সুগারজনিত সমস্যায় ভুগছেন তারাও কিন্তু এই মিষ্টি বোঁদে রেসিপিটা তৃপ্তি করে খেতে পারেন।কারন এটা তৈরি করতে খুব বেশি মিষ্টির প্রয়োজন হয় না।তাছাড়া আমি এতে নিজ হাতে ঘরে তৈরি ফুড কালার ব্যবহার করেছি।তাই কালারটি যেমন সুন্দর হয়েছিল তেমনি খেতেও খুবই রসালো ও ঝরঝরে হয়েছিল।তাছাড়া বাচ্চা থেকে বুড়ো সবাই এটা খেতে বেশ পছন্দ করে।আশা করি এই রেসিপিটি ভালো লাগবে আপনাদের কাছেও।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন রেসিপিটি শুরু করা যাক----
উপকরণসমূহ:
ক্রমিক নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
1 | বেসন | 1.5 কাপ |
2 | বেকিং পাউডার | 1/2 টেবিল চামচ |
3 | চিনি | 1 কাপ |
4 | হলুদ ফুড কালার | 1 চিমটি |
5 | পালংশাকের পাতা দিয়ে সবুজ ফুড কালার | 2 টেবিল চামচ |
6 | সাদা তেল | 1.5 কাপ |
7 | গোটা এলাচ | 1 টি |
8 | জল |
(এছাড়া আমি একটি পরিষ্কার স্টিলের ঝাঁকা নিয়েছি,চাইলে আপনারা ছাকনিও ব্যবহার করতে পারেন।)
প্রস্তুত-প্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি বেসনের সঙ্গে পরিমাণ মতো বেকিং পাউডার নিয়ে মিশিয়ে নেব হাত দিয়ে।
ধাপঃ 2
এরপর কিছু ফ্রেস ক্ষেতের পালংশাক তুলে বেছে নিয়ে জল দিয়ে ধুয়ে নেব।তারপর শীল-পাটায় বেঁটে রস বের করে নিলাম।
ধাপঃ 3
এবারে তিনটি বাটি নিয়ে নিলাম, তারপর বাটির মধ্যে হলুদ ফুড কালার ও পালংশাকের সবুজ ফুড কালারের মধ্যে কিছুটা করে বেসন মিশিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 4
এরপর তিনটি বাটিতেই আলাদা করে গাড় বেটার তৈরি করে নিলাম।
ধাপঃ 5
এখন একটি পরিস্কার কড়াই বসিয়ে দেব চুলার মিডিয়াম আঁচে।তারপর পরিমাণ মতো সাদা তেল দিয়ে গরম করে নেব।
ধাপঃ 6
এরপর একটি স্টিলের ঝাঁকার মধ্যে ছিদ্রযুক্ত স্থান দিয়েই বেসনের বেটার দিয়ে দেব।
ধাপঃ 7
এবারে ঝাঁকা থেকে ঝরে পড়া বোঁদেগুলি ভেজে নেব মুচমুচে করে।
ধাপঃ 8
এরপর বোঁদেগুলি খুব সুন্দর ও কালার তৈরি হয়েছে।এখন মুচমুচে করে ভেজে নিতে হবে।
ধাপঃ 9
তো আমার সবগুলি বোঁদে ভেজে নেওয়া হয়ে গিয়েছে একইভাবে।হলুদ, কমলা ও সবুজ রঙের বোঁদেগুলি।
ধাপঃ 10
এখন আমি মুচমুচে বোঁদেগুলি হাত দিয়ে মিশিয়ে নেব সব কালারের।
ধাপঃ 11
তো আমার সবগুলো বোঁদে একত্রে মিশিয়ে নেওয়া হয়ে গিয়েছে।
ধাপঃ 12
এখন পুনরায় চুলায় কড়াই বসিয়ে দেব,তারপর পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 13
এরপর পরিমাণ মতো জল ও একটি এলাচ ফাটিয়ে দিয়ে জ্বাল করে নেব চিনির সিরা তৈরির জন্য।
ধাপঃ 14
এবারে চিনির সিরা হালকা লাল হয়ে গেলে এবং এক তার পরিমাণ আঠালো হয়ে আসলে বোঁদে দিয়ে দিতে হবে।
ধাপঃ 15
তো আমি এখন চিনির সিরার মধ্যে মুচমুচে বোঁদেগুলি দিয়ে দেব এবং নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নেব।
ধাপঃ 16
এরপর বোঁদেগুলি হালকা জ্বাল করে নিয়ে নেড়েচেড়ে এক ঘন্টার জন্য রেখে দেব।
শেষ ধাপঃ
সবশেষে রসালো বোঁদেগুলি একটি পাত্রে নামিয়ে নেব।তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "রসালো ও ঝরঝরে বোঁদে রেসিপি"।
পরিবেশন:
এখন এটি পরিবেশন করতে হবে গরম কিংবা ঠান্ডা যেকোনো অবস্থায়।তাছাড়া এই মজার রসালো বোঁদে রেসিপিটি কয়েক দিন ধরে রেখে খাওয়াও সম্ভব।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।
বোঁদে রেসিপিটি দেখে অনেক ভালো লাগলো। দারুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন রেসিপিটি দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে।ধন্যবাদ দিদি দারুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার কাছে আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম,ধন্যবাদ আপনাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভীষণ সুন্দরভাবে ঝরঝরে বোঁদে বানিয়ে ফেলেছো দেখছি। এই ধরনের একটু কম মিষ্টি খাবারগুলো খেতে আমার খুব পছন্দ। দারুন সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে সমগ্র রেসিপিটি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছ বোন। তোমার রেসিপি দেখে যে কেউ সম্পূর্ণ রান্নাটি খুব তাড়াতাড়ি তৈরি করে ফেলতে পারবে।
হ্যাঁ দাদা,খুবই ঝরঝরে হয়েছিল আর ভিতরে রসালো।আপনার অনুভূতি পড়ে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ।
আরিব্বাস! জানো তো গ্রীণ ছোটবেলায় বাড়িতে যখনই কোন অনুষ্ঠান হত তখনই এররকম বোঁদে বানানো হত। টিফিন পাতে লুচি বা মুড়ির সাথে দেওয়া হবে বলে। তোমার বানানো বোঁদেটা অসাধারণ দেখতে হয়েছে৷ এই টুকু মেয়ে ইউনিভার্সিটি ও পড়াশুনো সামলে কত কি করো!
হি হি☺️☺️,দিদি আশীর্বাদ করো জানো আরো বেশি কিছু শিখতে পারি ও করতে পেরে তোমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারি।💝
শরীর ভালো না থাকলে কিছুই ভালো লাগে না। বোঁদে রেসিপি দারুন হয়েছে আপু। দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। অনেক লোভনীয় লাগছে দেখতে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
শুধু দেখতে লোভনীয় নয়,খেতেও অনেক মজাদার।ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
বোদে রেসিপি এখন পর্যন্ত কোন দিন খাওয়া হয়নি। আজকে আপনার মাধ্যমে এই নতুন রেসিপির সাথে পরিচিত হতে পারলাম। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে রসালো ও ঝরঝরে বোঁদে রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল।
ভাইয়া, এভাবে আপনি ট্রাই করে দেখতে পারেন।খুবই টেস্টি খেতে এটি,ধন্যবাদ আপনাকে।
টাস্ক প্রুফ:
রসালো ও ঝরঝরে বোঁদে রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। এত সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন আপনার রেসিপির পরিবেশে আমার কাছে দারুণ লেগেছে।
চাইলে আপনিও খুব তাড়াতাড়ি তৈরি করতে পারেন, ধন্যবাদ ভাইয়া।
বোঁদে অনেকটা বুন্দিয়ার মত লাগছে দেখতে। এগুলোকে আমাদের এদিকে বুন্দিয়া বলা হয়। ইফতারে অনেকেই এটা খেতে পছন্দ করে। আমি নিজে কখনোই এগুলো তৈরি করিনি। আপনার রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো দিদি। মজার একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু,এলাকাভেদে এর নাম ভিন্ন হতে পারে।আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
এগুলোকে আমরা বুন্দিয়া বলে থাকি। বিশেষ করে ছোলা মাখার ক্ষেত্রে বুন্দিয়া জিলাপির সাথে দেয়া হয়ে থাকে। খেতে ভীষণ মজা হয়। তবে বাড়িতে এভাবে কখনো ট্রাই করা হয়নি। পালং শাকের রস থেকে আপনি সবুজ রঙের ফুড কালার তৈরি করেছেন এটা দেখেই তো একদম অবাক লাগছে। দারুন রেসিপি তৈরি করছেন আপু। যে কোন সময় এটা তৈরি করে খেলে খুবই ভালো লাগবে।
বাড়িতে ট্রাই করে দেখতে পারেন আপু,ধন্যবাদ আপনাকে।