বাঙালি রেসিপি: রুই মাছ দিয়ে শিমের বিচি রান্না। || Delicious Food 😋
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি, আমার আজকের আয়োজন। শীতকাল মানেই বিভিন্ন ধরনের সবজির সমাহার, আর এই শীতেই ভরপুর সবজি কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া যায়। বিশেষ করে শীতের সময় আমি সবজি খেতে কার্পন্য করিনা। যাইহোক শীতের সবজির মধ্যে শিম অন্যতম এবং অনেকেই শিমের বিচি খেতে ভীষণ পছন্দ করেন। আমিও শিমের বিচি খেতে ভীষণ পছন্দ করি। যাইহোক শিমের বিচি অনেকভাবে রান্না করে খাওয়া যায়, যাইহোক আমি রুইমাছ দিয়ে শিমের বিচি রান্না দেখাবো আজকে। তো চলুন দেখে নেয়া যাক আজকের রেসিপি।
শীমের বিচি | ৫০০গ্রাম | রুই মাছ | ৩০০ গ্রাম |
---|---|---|---|
টমেটো | ২০০ গ্রাম | পেঁয়াজ কুচি | এক কাপ |
হলুদ গুঁড়া | এক চামচ | মরিচ গুঁড়া | এক চামচ |
জিরা গুঁড়া | এক চামচ | রসুন বাটা | এক চামচ |
লবণ | স্বাদমতো | সোয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
কাঁচামরিচ | স্বাদমতো | ধনিয়া পাতা | স্বাদমতো |
প্রথমেই শিমের বিচি গুলো খোসা ছাড়িয়ে নিলাম। এরপর ধুয়ে একটি চালনিতে উঠিয়ে নিলাম।
এবার রুই মাছগুলোতে হলুদ মরিচ মাখিয়ে নিলাম।
এবার মাছের টুকরোগুলো কড়াইতে তেল দিয়ে ভেজে নিলাম।
এবার কড়াইতে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি গুলো বাদামি রঙের করে ভেজে নিলাম।
এরপর টমেটো কুচি দিয়ে মসলা গুলো দিয়ে দিলাম। এবার মসলা গুলো ভালোভাবে কষিয়ে নিলাম। এরপর সামান্য পানি দিয়ে টমেটো গুলো ভালোভাবে গলিয়ে নিলাম।
এবার শিমের বিচি গুলো দিয়ে দশ মিনিট মসলার সাথে কষিয়ে নিলাম। এরপর সামান্য ঝোল দিয়ে দিলাম এবং রান্না করতে থাকলাম।
এই ধাপে পরিমান মত ঝোল দিয়ে দিলাম। এরপর ভাজা মাছ এবং কাঁচামরিচ দিয়ে দিলাম। এবার ঢাকনা দিয়ে বিশ মিনিট রান্না করলাম। ঝোল অনেকটাই শুকিয়ে এলে ধনিয়া পাতা দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিলাম। আমাদের সুস্বাদু তরকারিটা তৈরি, এবার পরিবেশনের পালা।
🍱 পরিবেশন করলাম 🍱
এটা একেবারেই চেটেপুটে খাওয়ার মতো খাবার। আমরা পরিবারের সবাই খাবারটি বেশ উপভোগ করলাম।
ছবি যন্ত্র | রিয়েলমি সি-২৫ |
---|---|
ছবির কারিগর | @emranhasan |
ছবির অবস্থান | ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ। |
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
এটা আমার ভীষণ পছন্দের একটা রেসিপি তবে আমি মাছের মাথা দিয়ে খেতে বেশি পছন্দ করি। অনেক ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
সিমের বিচি আমিও ভীষণ পছন্দ করি। আর আমি সবসময় শীতের সিজন আসলে অনেকগুলো কিনে ফ্রিজে রেখে দেই যেন কয়েকবার খেতে পারি। কারণ এই সিমের বিচি বেশিদিন বাজারে পাওয়া যায় না। আর এই সবজিটি শীতকালে অনেক ভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। আপনিও দেখছি সিমের বিচি দিয়ে রুই মাছের রেসিপিটি অনেক লোভনীয় করে রান্না করেছে। দেখে বুঝা যাচ্ছে আপনার রেসিপিটি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আর রান্নার কালারটিও চমৎকার এসেছে।
সিমের বিচি আলাদা ভাবে কখনো এভাবে রান্না করে খাওয়া হয়নি।আপনি সিমের বিচি দিয়ে রুই মাছের মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।নিশ্চয়ই খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।মজাদার এই রেসিপি আমাদের মাঝে এত সুন্দর হবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
এটা অত্যন্ত সুস্বাদু রেসিপি।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া শীতকালে ভরপুর সবজি পাওয়া যায় তাইতো কব্জি ডুবিয়ে সবজি খাওয়া যায়। আমার কাছে সেজন্যই শীতকাল খুব ভালো লাগে। যাই হোক আপনি আজ শিমের বিচি দিয়ে রুই মাছের খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। আমি শিমের বিচি খেতে খুব পছন্দ করি। কিছুদিন আগে এই রেসিপি তৈরি করেছিলাম খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার রেসিপি দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
এরকম তরকারি হলে খাওয়া একেবারে জমে যায়। অসাধারণ ছিল খাবারটি।
যে কোন মাছের রেসিপির মধ্যে শিমের বিচি ব্যবহার করলে অনেক বেশি মজাদার। আসলে শিমের বিচি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আপনি রুই মাছ দিয়ে শিমের বিচি রান্না রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি একদম ইউনিক পদ্ধতি অবলম্বন করে রেসিপি টি তৈরি করেছেন।
জি ভাই শিমের বিচি শরীরের জন্য অনেক উপকার। তরকারিটা খেতে অসাধারণ লেগেছে।
মজার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন ভাইয়া।শীতের এই সময়ে শিমের বিচি দিয়ে নানা রকমের রেসিপি খেতে ভীষণ মজা হয়ে থাকে।আমি আজ শোল মাছ শিমের বিচি দিয়ে রান্না করেছি।আপনি রুই মাছ দিয়ে রান্না করেছেন।রেসিপিটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল আশাকরি। অনেক ধন্যবাদ জানাই দারুন সুস্বাদু রেসিপিটি আমাদের মাঝে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে অনেক চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
আগে যখন বাড়িতে ছিলাম তখন প্রতি শীতে আমার মা এই রেসিপিটা রান্না করত ।আমার মা খেতে খুবই পছন্দ করে কিন্তু আমার কাছে তুমি ভালো লাগত না। আপনার রেসিপিটা দেখে সেই দিনগুলো মনে পড়ে গেল। খুবই সুন্দর হয়েছে আপনার রেসিপিটা পরিবেশন ও অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
আমার রেসিপি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি।
এটা সত্যি বলেছেন ভাই শীতের সময়ে বাহারি সবজি দিয়ে কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া যায়। সিমের বিচি দিয়ে রুই মাছের অনেক চমৎকার একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন দেখতে লোভনীয় লাগছে। এ ধরনের রেসিপি দিয়ে খাবার খাইতে তো দারুন লাগে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করার জন্য
হ্যা আমি শীতকালীন সবজি খেতে ভীষণ পছন্দ করি।
শীতে আপনি সবজি খেতে কার্পণ্য করেন না জেনে ভালো লাগলো।আসলে শীতের সময় কম দামেই খুবই তরতাজা সবজি পাওয়া যায়।আপনি সিমের বিচি দিয়ে চমৎকার সুন্দর ও লোভনীয় করে সিমের বিচি রান্না করেছেন এবং রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। আমার রন্ধন প্রণালী আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।