ভালো থাকতে হলে নিজেকে সময় দিন।
ভালো থাকতে হলে আমাদের নিজেকে সময় দেয়া উচিত। ব্যাক্তিগত জীবনে আমরা সবাই ভীষণ ব্যাস্ত। নারী কিংবা পুরুষ সবাই সকাল থেকে রাত অবধি শুধুমাত্র কাজ, কাজ আর কাজ করে দিন পার করে দিচ্ছি। এটা এমন একটা প্রক্রিয়া যেখানে থেমে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই, সবকিছু ঠিক রাখতে হলে প্রতিনিয়ত নিজের কাজের গতি ধরে রাখতেই হবে। পুরুষেরা ঘরের বাইরে নিজের ঘাম ঝড়িয়ে থাকে পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেয়ার জন্য, আর ঘরে গৃহিণী তার পরিশ্রম করে থাকে পুরো সংসারটা গুছিয়ে আর সুন্দর রাখার জন্য।আর ঘরে যদি বাচ্চা-কাচ্চা থাকে তাহলে ব্যাপারটা বেশ কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং হয়ে থাকে।
বাবারা বাইরের কাজ করতে করতে খেতে পর্যন্ত ভুলে যান আর মাঝে মাঝে বসের বকুনি খেয়ে মনে হয় যেন এ দুনিয়ায় নেই। আর গৃহিণী সবকিছু একা হাতে সামাল দিতে গিয়ে তার গলা পর্যন্ত শুকিয়ে যায়, তবুও পানি খাওয়ার কথা ভুলে যান। মানে দিনকে দিন কাজের পরিধি বেড়ে চলেছে আর আমাদের বিশ্রামের সুযোগ ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে কেউ কেউ হুট করেই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে আবার কেউ কেউ হঠাৎ করে একেবারেই হারিয়ে যাচ্ছে অল্প বয়সে।
এখনকার পরিস্থিতি এমন বুড়ো হবার আগেই আমাদের বুড়োদের মতো রোগ ধরে যাচ্ছে, যা হয়তো আরো বিশ বছর পরে হবার কথা। আর কেমন যেন সবকিছু রোবটিক হয়ে যাচ্ছে, মানে কাজগুলো করতে হয় তাই করছি। কোন কিছুতেই আর আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায় না, শুধুমাত্র কাজ করে যেতে হবে এটাই বড় কথা।
আসলে সবকিছুর পরেও উচিত নিজেকে কিছুটা সময় দেয়া। দেখুন আপনার ভালো কেউ আপনাকে দেখিয়ে দেবে না চোখে আঙুল দিয়ে। নিজেকে নিজের কিসে ভালো সেটা একটু বুদ্ধি করে উপলব্ধি করতে হবে। সারাক্ষণ শুধুমাত্র অন্য কাউকে নিয়ে ভাববেন না, নিজেকে নিয়েও আপনাকে ভাবতে হবে। যখনই সময় পাবেন একটু সময় নিজেকে দিন, ভাবুন আপনার দিনগুলো কেমন যাচ্ছে? আদৌ আপনি কতটুকু সুখ পেয়েছেন আর কতটুকু সুখ দিতে পেরেছেন? একটু সুযোগ পেলেই আনন্দঘন মূহূর্ত কাটান, হুট করেই ঘুরতে চলে যান পছন্দের জায়গায়। প্রিয়জনদের খুলে বলুন কোন কাজটা আপনাকে আনন্দ দেয়? কোন খাবারটা আজ খেতে ইচ্ছে করছে? দেখবেন তাঁরাও ভাববে আপনি একটু ভালো থাকতে চাইছেন, তখন সবাই মিলে ভালো থাকার পরিবেশ তৈরি হবে।
তাইতো বলি নিজেকে সময় দিন, ভালো থাকার চেষ্টা করুন আর ভালো রাখার চেষ্টা করুন। নিশ্চয়ই সৃষ্টিকর্তা সবসময়ই ভালো মানুষ এবং ভালো চিন্তা চেতনার সাথেই থাকেন।
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার 💜
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
নিজেকে সময় দেওয়া সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সুস্থ ও সুন্দর জীবনযাপন করতে হলে মানসিক ও শারীরিকভাবে ভালো থাকা দরকার। ব্যস্ততার মাঝে একটু বিরতি নিয়ে নিজের পছন্দের কাজ করুন, পরিবার-প্রিয়জনদের সময় দেওয়ার মাঝেই জীবনের প্রকৃত আনন্দ লুকিয়ে থাকে। চমৎকার আলোচনা করেছেন ভাই।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর একটি টপিক আলোচনা করেছেন। ঠিক বলেছেন ভালো থাকতে হলে নিজেকে একটু সময় দেওয়া উচিত। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি কাজ করতে করতে আমরা খুবই ক্লান্ত হয়ে যাই। সেই ক্লান্ততা আমাদের বার্ধক্যের ছাপ রেখা একে দেয়। তখন নিজেকে খুবই দুর্বল লাগে। তারজন্য হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও নিজের জন্য একটু সময় বের করা খুবই প্রয়োজন। এতে করে নিজের মন মানসিকতা যেমন ভালো থাকবে তেমনি পরিবারের মানুষগুলোও আনন্দ পাবে। আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি বিষয় আলোচনা করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনি যদি নিজেকে একটু সময় দেন তাহলেই আমার লিখাটা সার্থক হবে।
নারী পুরুষ বর্তমান সবাই কর্মব্যস্ততায় নিমজ্জিত। আপনি সঠিক বলেছেন এখনকার মানুষ বুড়ো হওয়ার পূর্বেই মধ্যবয়স্ক হতে বুড়োর প্রতিরূপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে মানুষদের মধ্যে। তবে বাচ্চাদের জন্য এই বিষয়টা বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায়। আপনার সাথে সহমত আমিও, এরকম ব্যস্ততা থাকলেও আমি মনে করি নিজেকে সময় দেওয়া উচিত। এটাও ঠিক যে সৃষ্টিকর্তা ভালো মানুষদের এবং ভালো কাজের সাথে সর্বদাই থাকেন।
ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমাদের নিজেকে সময় দেয়া উচিত দিনশেষে।
আপনি খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট উপস্থাপন করছেন ভাই।আসলে কর্মজীবিরা কখনো নিজের বিশ্রামের কথা ভাবে না,কারণ তারা তাদের সংসার নিয়ে টেনশনে থাকে।তবে নিজেকে ভালো থাকার জন্য নিজের বিশ্রামের দরকার।নাহলে অল্প বয়সে অনেক কিছু হতে পারে। যাইহোক আপনার পোস্ট টি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
সত্যি কথা বলতে কি ভাইয়া সুস্থ থাকলে নিজের শরীরের প্রতি যত্ন থাকে না। যখন অসুস্থ হওয়া হয় তখন মনে পড়ে সুস্থতার কত মূল্য। আপনি খুব সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে পোস্টে লিখেছেন। আসলে সময় থাকতে আমাদের সাবধান হওয়া প্রয়োজন এবং নিজেকে সময় দেওয়া প্রয়োজন।
ভালো থাকতে হলে নিজেকে সময় দিতে হবে।এটা বাস্তব সত্য কথা।নিজের ভালো নিজেকে বুঝতে হবে। নিজের ভালো যা কিছুতে হয়,আমাদের সেদিকে নজর দিতে হবে। সুন্দর,ও ভালো থাকতে হলে নিজেকে সময় দেয়া ভীষণ জরুরী।আপনি এই বিষয়টি খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। এজন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
নিজের পরিবার নিজের ক্যারিয়ার এসব নিয়ে ভাবতে গিয়ে আমরা নিজেদের সময় দিতেই ভুলে যায়। অথচ নিজেদের সময় দেওয়া সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার হওয়া উচিত। আমাদের উচিত নিজেদের জন্য কিছুটা সময় ব্যয় করা। আমরা যেটা পছন্দ করি কিছুটা সময় সেই কাজ করা। সুন্দর লিখেছেন ভাই।
ধন্যবাদ ইমন।
আমাদের সত্যিই নিজেকে সময় দেয়া উচিত।
আশাকরি তুমি নিজের প্রতি যত্নশীল হবে।
নিজের পরিবার, ক্যারিয়ার, দায়িত্ব এসব সামলাতে গিয়ে আমরা অনেক সময় নিজেকেই ভুলে যাই। অথচ ভালো থাকতে হলে নিজেকে সময় দেওয়া ভীষণ জরুরি। সুস্থ থাকতে হলে শরীর ও মনের যত্ন নিতে হবে, না হলে পরবর্তীতে এর মূল্য বুঝতে হবে কষ্টের মাধ্যমে।কর্মব্যস্ত জীবনে বিশ্রাম নেওয়া, নিজের পছন্দের কাজ করা, কিছুটা সময় একান্ত নিজের জন্য রাখা এসব আমাদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই দায়িত্বের পাশাপাশি নিজেকেও ভালো রাখার চেষ্টা করুন।কারণ সুস্থ ও সুখী থাকলেই জীবন আরও সুন্দর হবে।