বার বার ফিরে যাওয়া!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আমার বাড়ি কুমারখালীতে হলেও কুষ্টিয়ার প্রতি আলাদা একটা টান আছে। কুষ্টিয়া হলো জেলা শহর। কুমারখালী কুষ্টিয়া জেলার একটা উপজেলা। ২০১৯-২০২৪ এই পাঁচ বছর কুমারখালীর চেয়ে কুষ্টিয়া তে থেকেছি বেশি সময়। একটা অন্যরকম অনূভুতি কাজ করে এই শহরের অলিগলি জুড়ে। বাড়িতে গিয়ে কুষ্টিয়া ঐভাবে যাওয়া হয়নি এইবার। গিয়েছিলাম শনিবার কিন্তু সেটা মায়ের সাথে তাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য। এইজন্য ঐদিন খুব একটা ঘোরাঘুরি করতে পারেনি। এইজন্য সোমবার আমি এবং আমার বন্ধু লিখন চলে গেলাম কুষ্টিয়া। এবং কুষ্টিয়া থেকে আমার এক ছোট ভাই সাবিত কেউ ডেকে নিয়েছিলাম। সাবিত আমার থেকে ৪-৫ বছরের ছোট। কিন্তু আমার সাথে ওর একটা দারুণ সম্পর্ক আছে। আমি কখনও কিছু বললে ও না করে না। কুমারখালী তে গিয়ে আমি বেশ অনেকক্ষণ দাঁড়িয়েছিলাম। কারণ ঐ বরাবরের মতো লিখনের সময়জ্ঞান।
একটার দিকে কুমারখালী থেকে সিএনজি তে উঠে আমরা কুষ্টিয়াতে চলে আসি। এরপর রিক্সায় করে চলে যায় আমার ক্যাম্পাস কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে। যদিও এখন এটা আমার সাবেক ক্যাম্পাস। তবে কুষ্টিয়া আসলে এই জায়গাটাই আসব না সেটা হয় না। কুষ্টিয়া পলিটেকনিকের ভেতরে গিয়ে দেখি কিছু শিক্ষার্থী মাঠের মধ্যে ক্রিকেট খেলছে। এবং কিছু শিক্ষার্থী ক্লাসে। অনেকেই মাঠের মধ্যে বসে রয়েছে। সবমিলিয়ে দারুণ একটা পরিবেশ। প্রায় চার মাস পর আবার ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম। সত্যি বলতে এই ক্যাম্পাসে গেলেই আমার অনেক পুরাতন বিষাদময় স্মৃতি মনে পড়ে যায়। যদিও অনেক সুন্দর মূহূর্তও রয়েছে। কিন্তু কেন জানি ঐ ট্রাজেডি টা মনে পড়ে বেশি। কিছুক্ষণ ক্যাম্পাসের মধ্যে ঘোরাঘুরি করে বের হয়ে আসি।
আমরা আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলাম দুপুরের খাবার বাইরে খাব। এইজন্যই চলে যায় মেহেরজান রেস্টুরেন্টে। কুষ্টিয়ার মধ্যে এটা বেশ ভালো এবং নামকরা রেস্টুরেন্টে। আগে ওখানে বেশ অনেক বার গিয়েছি। লিখনের সাথে গিয়েছে কয়েকবার। এবং বেশ কয়েকবার গিয়েছিলাম আমার প্রিয় মানুষ টার সাথে। যদিও তার সাথে এখন আমার যোগাযোগ সম্পর্ক কোনটাই নেই। এবং গিয়ে ঐ টেবিলেই বসি। যেখানে সাধারণত আমরা বসতাম। এইজন্যই অনেক স্মৃতি মনে আসছিল। কিন্তু সেগুলো মনে করে মন খারাপ করে কী লাভ। আমরা গিয়ে বসতেই সাবিত চলে আসে। এরপর আমরা খাবারের অর্ডার করি। আমরা ৩ জনের জন্য একটা প্লেটার অর্ডার করেছিলাম। যেখানে ছিল ৩ জনের জন্য বিরিয়ানি, ৩ টা ডিম এবং ৬ টা রোস্ট। সঙ্গে ড্রিংকস হিসেবে সফট ড্রিংকস ৩ টা। এবং ডেজার্ট হিসেবে ফালুদা অর্ডার করেছিলাম।
অর্ডার করার ২৫ মিনিট পরে তারা খাবার পরিবেশন করে। মোটামুটি খাবার বেশ ভালো ছিল। এদের খাবারের মান বরাবরই বেশ ভালো। খাবার শেষ করে আমরা আরও কিছুক্ষণ কথা বলে মোটামুটি তিনটার দিকে বিল পরিশোধ করে বের হয়। এরপর রিক্সায় করে চলে যায় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে। এটা বেশ পরিচিত একটা জায়গা। কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠ জায়গাটাই একসময় বেশ আড্ডা দিয়েছি খেলাধুলা করেছি। তবে ওখানে খুব বেশি সময় থাকিনি। কিছুসময় হাঁটাহাঁটি করে আমরা রিক্সায় উঠে চলে যায় সিএনজি স্ট্যান্ডে। ওখান থেকে সিএনজিতে করে কুমারখালী। সবমিলিয়ে সময় টা বেশ দারুণ কাটে আমাদের।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমরা আমাদের জীবনের একটা বড় সময় ধরে যে জায়গায় থাকি সেই জায়গার প্রতি আমাদের আন্তরিকতা অন্যরকম ভাবে তৈরি হয়। ঠিক তেমনি আপনার বাসা কুমারখালীতে হলেও কুষ্টিয়ার প্রতি আপনার অন্যরকম একটি টান রয়েছে। তাইতো বন্ধু লিখন এবং ছোট ভাই সাবিত কে সাথে নিয়ে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। সেই সাথে দুপুর বেলা মেহেরজান রেস্টুরেন্টে লাঞ্ছ করেছেন। বোঝাই যাচ্ছে সব মিলিয়ে দারুন সময় কাটিয়েছে। সেই অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
নিজের সাবেক ক্যাম্পাসে গেলে পুরাতন অনেক স্মৃতি মনে পড়ে। মন চাই আবার ফিরে যায়। কত জাগায় কত স্মৃতি পড়ে আছে। আপনার অনুভুতি পড়ে ভালো লাগলো। প্রিয় মানুষ টা এখন কোথায় জানলাম না।
পুরোনো ক্যাম্পাস, প্রিয় জায়গা, পরিচিত রাস্তাগুলোতে ঘুরে বেড়ানোর মাঝে যে মিশ্র অনুভূতি কাজ করে নস্টালজিয়া, আনন্দ, একটু বিষাদ সবটাই দারুণভাবে উঠে এসেছে। মেহেরজান রেস্টুরেন্টের অংশটুকু তো একদম আলাদা আবেগ ছুঁয়ে দিল! স্মৃতির সাথে জায়গাগুলোর এক অদ্ভুত যোগ থাকে, তাই না? সুন্দর এক টুকরো সময় কাটিয়েছ, দেখে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া।