ওটস এর অমলেট 🥘
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সকল সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?পরম করুণাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আজ নতুন একটি রেসিপি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।আশাকরি আমার আজকের রেসিপি টি আপনাদের ভালো লাগবে।
সেই কবে থেকে তিনবেলা ভাত খাই না তা ভুলেই গেছি!২০১২ হবে তখন হঠাৎ করেই এতোটাই মোটা হয়ে গেলাম,যে কাজকর্ম করা আমার পক্ষে অসম্ভব হয়ে যাচ্ছিলো।তারপর দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের মা হলাম।তখন খাবারদাবার আরো বেড়ে গেলো সারাদিন শুয়ে বসে তিন বেলা প্রচুর পরিমাণে খাবার খেতাম,তখন স্বাস্থ্য আরো দ্বিগুণ হয়ে গেলো।ছোট মেয়ের বয়স যখন ৪-৫ মাস তখন হঠাৎ করে একদিন খুবই অসুস্থ হয়ে পড়লাম!ডাক্তার তখনই আমার তিন বেলা ভাত খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিলেন।চিকিৎসার প্রধান শর্ত ছিলো আমাকে ১৫ থেকে ২০ কেজি ওজন কমাতে হবে আর তার জন্য ভাত খাওয়া একেবারেই বন্ধ।ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তিন থেকে চার দিন ভাত খাওয়া থেকে বিরত থাকি।কিন্তু সেটা আমার শরীরের জন্য খুবই চাপ হয়ে যায়,শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল হয়ে পড়ি।তখন আবারো ডাক্তারের শরণাপন্ন হই তখন আমাকে শুধু দুপুরে ভাত খাওয়ার পরামর্শ দিলেন,তবে সেটা খুবই অল্প পরিমাণে।আর তখন থেকেই আজ পর্যন্ত বিশেষ কোনো কারণ ছাড়া আমি তিন বেলা ভাত খাই না।সকাল এবং রাতে রুটি শুধু দুপুরে একবার ভাত খাই।মাঝে মাঝে খাবারে ভিন্নতা আনার চেষ্টা করি,তখন দুধ কলা ওটস খাই, কখনো সবজি দিয়ে ওটস এর খিচুড়ি রান্না করে খাই!যখন যেটা খেতে মন চায় সেটাই তৈরি করে খাই।আজ ওটস এর অমলেট বানিয়েছিলাম ভাবলাম রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করি।খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিলো এবং এটা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।
চলুন তাহলে রেসিপিটি জেনে নেয়া যাক।
উপকরণ
১.ওটস
২.ডিম
৩.টমেটো
৪.ক্যাপসিকাম
৫.ধনেপাতা
৬.পেঁয়াজ
৭.কাঁচামরিচ
৮.লবণ
৯.তেল
প্রথমে সবজি গুলো কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি।
একটা বাটিতে ডিম দুটো ভেঙে নিয়ে একটা চামচের সাহায্যে ফেটিয়ে নিয়েছি।
এবার ফেটানো ডিমের মধ্যে একে একে সবজিগুলো দিয়ে দিয়েছি,তারপর স্বাদমতো লবণ দিয়ে মিশিয়ে নিয়েছি।
এবার ডিমের মধ্যে ওটস গুলো দিয়ে ভালোভাবে সবগুলো উপকরণ মিশিয়ে নিয়েছি।
কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে হালকা গরম করে ওটস এর মিশ্রণটি ঢেলে দিয়েছি।
খুন্তির সাহায্যে সবদিকে সমানভাবে ছড়িয়ে দিয়েছি।তারপর একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কিছুক্ষণ রান্না করে নিয়েছি।
একপিঠ ভাজা হয়ে গেলে অপরদিকে উল্টিয়ে দিয়েছি।তারপর আবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।কিছুক্ষণ পর ঢাকনা খুলে দুপাশে ভাজা হলে কড়াই থেকে তুলে নিয়েছি।আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেলো মজাদার ওটস এর অমলেট রেসিপি টি।
এই ছিলো আমার আজকের রেসিপি,আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে?সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করে আজ এখানেই শেষ করছি।
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
টুইটার লিংক
আমিও মাঝে মাঝে বিভিন্ন ভাবে রান্না করে খাই। তবে আজ আপনার রেসিপিটি একদম ইউনিক লাগছে। দেখে মনে হচ্ছে আপনার ওটস এর অমলেট অনেক মজা হয়েছিল। ওটস আমাদের শরীরের জন্য অনেক ভালো। হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় অনেক উপকার করে।
আপনি ভিন্ন স্বাদের এক রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। আনন্দ স্মৃতিগুলো খেতে খুব ভালো লাগে। আপনার চমৎকার এই রেসিপি তৈরি করা দেখে আমিও ভিন্ন স্বাদের রেসিপি সম্পর্কে ধারণা পেলাম। মজাদার রিসিপি ছিল।
হ্যাঁ আপু সবসময়ই চেষ্টা করি নতুন কিছু করার।অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বাহ্ চমৎকার একটি খাবার রান্না করে দেখালেন আজ। এই খাবারটি কখনো খাওয়া হয়নি, তবে বোঝা যাচ্ছে এটা খেতে সুস্বাদু হবে। যাইহোক আপনি একবেলা ভাত খান জেনে কেমন যেন লাগলো। সৃষ্টিকর্তা তিনবেলা খাওয়ার তৌফিক দান করুন, এই কামনা করছি। তাছাড়াও সুস্থ থাকুন এটাও কামনা।
হ্যাঁ ভাইয়া সবাই চাইলে সবকিছু খেতে পারে না,ঈশ্বর সবাইকে সুস্থ রাখুক এই প্রার্থনা করি।ধন্যবাদ ভাইয়া।
মাঝেমধ্যেই করে থাকি এই ওটস অমলেট। অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর রান্না গুলোর প্রতি এই রান্নাটাও পড়ে। এতে শীতকালীন নানা ধরনের সবজি গ্রেট করে দেওয়া যায়। তারপরে রান্নাটিতে রাফেজের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায় এবং হজমেও সুবিধা হয়।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ বন্ধু। 🥰
আমারতো তিন বেলা ভাত না খেলে ভালোই লাগে না। তবে শরীর স্বাস্থ্যের দিকেও নজর রাখতে হয়। যাই হোক, ভালো লাগলো আপনার আজকের রেসিপিটা দেখে। ওটস আমার কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আমার কাজিনরা এটা খায় তাদের কাছ থেকে শুনেছিলাম এটার কথা। ওটস আমাদের শরীরের জন্য নাকি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর ওজন কমাতেও সাহায্য করে। রেসিপি টা দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। কখনো সম্ভব হলে ট্রাই করে দেখব।
আমারও থাইরয়েডের কারণে শরীরে ব্যাপক সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই একটা চার্ট দিয়েছিল যাতে করে ডায়াবেটিস এর প্রভাব না দেখা দেয়। কারণ ডায়াবেটিস হয়ে গেলে আবার অন্যদিকে চলে যাবে।যাইহোক এত সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করছেন দেখে ভালো লাগলো মাঝে মাঝে এটা তৈরি করে খাওয়া যাবে।
আপনার ২০১২ সালের ঘটনা যেনো আগামীতে আর না ঘটে সেই প্রার্থনা করছি। তবে খাবার-দাবারের বিষয় যথেষ্ট সজাগ থাকবেন আপু। তবে দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আজকে। ওটস এর অমলেট দেখেই মনে হচ্ছে খেতে ভীষণ মজাদার হয়েছিলো। ডিম ধনেপাতা টমেটো এবং ক্যাপসিকাম এর সমন্বয়ে খুবই লোভনীয়ভাবে তৈরি করেছেন কিন্তু। দেখেই ভীষণ ভালো লাগতেছে, না জানি খেতে আরো কত মজাদার হয়েছিলো। যাই হোক রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ওটস এর অমলেট করেছেন দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। ওটস আমার কখনো খাওয়া হয় নি। রেসিপি টা দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু রেসিপি পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
সবসময় একই ধরনের খাবার খেতে একঘেয়েমি চলে আসে। তাই খাবারের ভিন্নতা আনার জন্য এরকম রেসিপি মাঝেমধ্যে বানানো দরকার। ওটস এর অমলেট দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। নতুন একটা রেসিপি শিখলাম। ধন্যবাদ ওটস এর অমলেট রেসিপি শেয়ার করার জন্য।