Incredible India monthly contest of January #2|The finest and most imperfect decision for my life journey!

দুটি বিষয় চোখে পড়ে, বিচক্ষণ ব্যক্তিরা বেশিরভাগ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম আর বিপরীত পক্ষ ঠিক উল্টো হয়ে থাকেন সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে।

এদের মাঝে যে ব্যক্তি আমি সেই দলভুক্ত। মানে, মাঝেমধ্যে আমি দুমদাম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি, তবে একবার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললে তাতে অবিচল থাকি।
সিদ্ধান্ত ভুল হলে শিক্ষা গ্রহণ করি, আর ঠিক হলে অন্যদের উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করি।

• প্রথমেই হার না মেনে এই অনলাইন প্ল্যাটফর্মে টিকে থাকার সিদ্ধান্ত! এটাকেই আমি সর্ব প্রথম সঠিক সিদ্ধান্তের আওতাভুক্ত করবো।

কারণটা খুব স্পষ্ট, আমি সেই মানুষদের দলভুক্ত নই, যারা হাত পাতলেই তাদের ইচ্ছে পূরণ হয়ে যায়। আর সেই হাত পেতে চলার শিক্ষায় আমি বেড়েও উঠিনি!

এক্ সময় সেদিন ছিল বটে, কিন্তু সময়ের কালচক্র স্বয়ংক্রিয় এবং স্বনির্ভর হবার প্রয়োজনীতা বুঝিয়ে দিয়েছে।একদিকে ভালো কারণ, সেই সময় আমার শৈশবের শিক্ষা কাজে এসেছে;
তাই হয়তো আজও একলা চলতে সক্ষম হতে পারছি!
লতা গাছ হলে হয়তো, এই লড়াইটা লড়তেই পারতাম না!

• হার না মানার জেদ নিয়ে এই কমিউনিটি তৈরি তথা দু'বছর আট মাস ব্যাপি দিবারাত্রি পরিশ্রম করে, এটিকে পরিচিত প্রদান।

আমার কাছে কাজের সম্মান সর্বাগ্রে কারণ, অনেকেই সম্পর্ক নিয়ে বড় বড় কথা বলে, কিন্তু হাত থেকে সামান্য কিছু বের হয় না যখন সেই আপনজন অসুস্থ হয়!
বরং, পিছনে সমালোচনা করতে কুণ্ঠাবোধ করে না দ্বিতীয়বার যদি কিছু করেও থাকে!
এরকম দ্বিচারিতা সম্পর্ক বয়ে চলার চাইতে একলা মাথা উঁচু করে বাঁচা অনেক সম্মানের।

আমার মনে হয়, আমি যদি নিজের ক্ষমতা তৈরি করতে সক্ষম হই, তাহলে নিজের উপার্জন দিয়ে নিজের শেষ সময় সেবা করার মানুষ পেয়ে যাবো, যারা অন্ততঃপক্ষে উপার্জনের তাগিদে হলেও সমালোচনা বিহীন দেখাশোনা করবে।

অসুস্থ্য মানুষকে বাঁচানোর চাইতে অর্থ বাঁচানোর তাগিদ থাকার কোনো বিষয় সেখানে কাজ করবে না। তাই আমার কাছে সর্বাগ্রে নিজের কাজের জায়গাকে সম্মান এবং গুরুত্ব দেবার সিদ্ধান্তকে সঠিক মনে হয়।

• অপাত্রে সময় নষ্ট।

• নিঃস্বার্থ ভাবে অন্যের পায়ের মাটি শক্ত করতে গিয়ে অপমানিত হওয়া। প্রয়োজনের তাগিদে ভরসাকে ব্যবহার করে অনেকেই নিজের আখের গুছিয়ে নিয়েছেন।

• সুবিধাবাদীদের সুযোগ করে দেওয়া।

• আত্মকেন্দ্রিক মানুষের সহচর্যে নিজের ক্ষতিসাধন।

আরো অনেক আছে, যেগুলো মনে রাখাই শ্রেয়, সময়ের ভিত্তিতে সকলের ন্যায্য পাওনা একজন সুদে আসলে মিটিয়ে দেবেন।

তবে, আর কাউকে বাড়তি সুবিধা দেবার নেই এটাও একটা সিদ্ধান্ত নতুন বছরে নিয়েছি, দেখাযাক সময়ের হাত ধরে সেটা ঠিক, না বেঠিক প্রমাণিত হয়!

• কাজের জায়গার পরিচিতদের সাথে কাজের সম্পর্ক বহাল রাখাই শ্রেয়!
  তাদের ব্যক্তিগত পরিধি বহির্ভূত রাখার সিদ্ধান্ত নেবার শিক্ষা।

• নিজের যোগ্যতাকে, অভিজ্ঞতাকে পাথেয় করে আগামী পথ অতিক্রম করা।

পাশাপশি, কাজের জায়গায় আমি যেরকম বরাবর ছিলাম এখন থেকে এই প্ল্যাটফর্মে সেইভাবেই থাকবো।
কারণ, সহজলভ্য হয়ে গেলে অনেকেই অনেককিছু সস্তা ভেবে বসে, সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আগামীতে কমিউনিটি তথা প্ল্যাটফর্মে দায়িত্ব পালন করে যাবো।

• কিছু মানুষের থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেবো, কারণ, অতীত থেকে এখনো পর্যন্ত আমি সেই আখের যন্ত্র হয়ে রয়েছি, যেখান থেকে সমানে রস নিংড়ে নিয়েই চলেছে, ছিবড়ে হবার আগে দুরত্ব তৈরি করে নেবো।

সহজ ভাষায় দুষ্টু গরুর চাইতে শূন্য গোয়াল ভালো! এই প্রবাদ মেনে চলার শিক্ষা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি!
কাজেই, ইমোশনাল ফুল আর হচ্ছি না, দুঃখিত!
মুখে খাবার অনেক তুলে দিয়েছি, আর নয়।

ব্যক্তিগত জীবন যার যার, তার মতো করে চলবে! কাজেই সেক্ষেত্রে পরামর্শ দেবার আমি কেউ নই!
নিজের নিজের সংঘর্ষ নিজেদের মতো করে সবাই লড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত।

বলতে হলে কাজের জায়গার ক্ষেত্র নিয়ে কিছু বলছে চাইবো।

• যদি পা বাড়িয়ে ফেলেন, তাহলে লক্ষ্যস্থলে না পৌঁছনো পর্যন্ত থামবেন না।
  কারণ, পরিশ্রমের সাক্ষী একজন অলক্ষ্যে বসে পর্যবেক্ষণ করেন।

• প্রতিকূলতাকে অজুহাত নয়, বরং পরীক্ষা মনে করে উত্তীর্ণ করবার প্রয়াস করুন।

• পরনির্ভরশীল না হয়ে বরং আত্মনির্ভরশীল হবার প্রয়াস করাই ভালো, সময় যে সবসময় অনুকূলে থাকবে, আসে পাশের পরিবেশ আজকের মতোই আগামীতে অব্যাহত থাকবে এটা বোধহয় কেউই বলতে পারে না!

পরিশেষে বলবো, আমরা কেউই শিশু নই। কথায় আছে আপন ভালো, পাগলেও বোঝে! তাই জীবন নিজের নিজের তাই সিদ্ধান্ত একান্তই নিজস্ব।
তবে, কাজের জায়গায় কাজকে সম্মান দিয়ে সমাদৃত করবার প্রয়াস প্রতিনিয়ত করা উচিত।