"Incredible India monthly contest of February#3 by @tanay123 | Photography Lover"
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটা বেশ ভালো কাটছে। গতকাল থেকে আকাশের মুখ ভার, আজ সকাল থেকেই আবার আমাদের এখানে বেশ ভালোই বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
যাইহোক আজ আমি মূলত এই পোস্টের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করতে চলেছি আমাদের কমিউনিটিতে কর্মরত মডারেটর @tanay123 ভাই কর্তৃক আয়োজিত সাপ্তাহিক কনটেস্টে, যার বিষয়বস্তু ফটোগ্রাফি।
ফটোগ্রাফি করতে আমরা প্রত্যেকেই খুব ভালোবাসি। হ্যাঁ হয়তো প্রফেশনালদের মতন আমাদের ছবি অতো ভালো হয় না, তবে কিছু মুহূর্তকে ক্যামেরাবন্দি করার ইচ্ছা আমাদের সকলের মনেই রয়েছে। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। তাই আজ নিজের অনুভূতিগুলিই এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। চলুন তাহলে শুরু করি, -
|
---|
এটার উত্তর বোধহয় আমি উপরেই দিয়েছি, তবুও আরো একবার জানাই আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি এবং বিশ্বাস করি ফটোগ্রাফি কোনো হটোকারিতার কাজ নয়, এটি করতে যথেষ্ট ধৈর্য্যের প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে আমরা যারা প্রফেশনাল নই তাদের একটা সুন্দর ছবি তুলতে গেলে কমপক্ষে পাঁচ ছটা ছবি তোলার পর, একটা ছবি ভালো আসে।
অন্তত আমার ক্ষেত্রে তো এমনটাই হয়। আর যদি গ্রুপ ফটো তোলা হয় তাহলে তো ধৈর্য্য আরও বেশি প্রয়োজন। কারণ সকলে মিলে একসাথে হেসে, একই দিকে তাকিয়ে ছবি তুলবে, এমনটা প্রথমবারে হওয়াটা সত্যিই অসম্ভব। দেখবেন কেউ অন্য দিকে তাকিয়ে আছে, কারোর চোখ বন্ধ, কেউ একটু নড়ে যাওয়াতে ছবিটা ঝাপসা এসেছে। এরকম অনেক কিছু কারণ। এরপর বেশ কিছুক্ষণ ধৈর্য্য ধরে কয়েকটা ছবি তুললে তারমধ্যে থেকে একটা সুন্দর ছবি আসে।
আর যদি বলি ক্রিয়েটিভিটির কথা, সেটাও অবশ্যই প্রয়োজন। কারণ ফটোগ্রাফিটা অনেকের কাছে সহজ মনে হলেও এটা একটা যথেষ্ট কঠিন কাজ। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার মধ্যে সেই ক্রিয়েটিভিটি কতটুকু আছে সেই বিষয়ে আমি নিজেও যথেষ্ট সন্ধিহান। আমাদের কমিউনিটিতেই এমন অনেকে আছেন, যাদের ফটোগ্রাফি আমি ব্যক্তিগত ভাবে খুব পছন্দ করি। তবে আমার কোনো ফটোগ্রাফি অতখানিও সুন্দর বলে আমার মনে হয় না। তবে জীবনের বিভিন্ন মুহূর্তকে ধরে রাখার জন্য ফটোগ্রাফি করতে আমি বেশ পছন্দ করি।
|
---|
এই প্রশ্নটা বড়ই জটিল, কারণ প্রশ্নটা পড়ার পর তিনটে ছবি খুঁজতে যখন গ্যালারিতে ঢুকলাম, তখন যেন মনে হচ্ছে প্রতিটা ছবি আমার পছন্দের আর প্রত্যেকটার পেছনের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করি। কারণ ছবিগুলোতে জীবনের প্রতিটি সুন্দর মুহূর্ত লুকিয়ে আছে।
তবুও তার মধ্য থেকে তিনটি ছবি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। প্রথমে যে ছবিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব সেটি আমার মনের ভীষণ কাছের। না ছবিটির মধ্যে আলাদা কোনো ক্রিয়েটিভিটি নেই, তবে তাতে জড়িয়ে আছে অনেক ইমোশন।
আপনারা যারা আমার পোস্ট পড়েন, তারা হয়তো এতক্ষণে উপরে দেওয়া ছবির দুজনকে চিনে ফেলেছেন। এরা আমার দিদির দুই ছেলে মেয়ে তিতলি ও তাতান। ছবিটি আমি দিদির শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে তুলেছিলাম। আসলে ছোটবেলাতে দুই ভাই বোন এমন ভাবেই ঘুমাতে। দুজন দুজনের মুখে হাত দিয়ে দুজনের দিকে ফিরে। যতই দুজনকে উল্টো দিকে ফিরে শুতে বলা হতো না কেন, দুজন কিছুতেই ঘুমাতো না। যখন ওইভাবে ওদেরকে ঘরে রেখে আমরা বাইরে চলে আসতাম, কিছুক্ষণ বাদে গিয়ে দেখতাম দুজন দুজনকে এইভাবে ধরে ঘুমিয়ে আছে।
কি যে অপূর্ব মূল্যবান এই স্মৃতি, তা আসলেই বোঝানো সম্ভব নয়। এখন দুজনের মধ্যে যতই ঝগড়াঝাঁটি, মারামারি হোক না কেন, ঘুমাতে গেলে দুজনেরই দুজনকে প্রয়োজন। এটাই বোধহয় ভাই বোনের সম্পর্ক। ছবিটি অনেকদিন বাদে দেখলাম এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করতে গিয়ে খানিক ইমোশনাল হয়ে পড়লাম। কত তাড়াতাড়ি কত বড় হয়ে গেল দুজন।
এরপরে আমি যার ছবিটি শেয়ার করেছি সে আমার জীবনের খুব কাছের আমার আদরের পিকলু। পিকলুর অনেক ছবি ইতিমধ্যে ফোন থেকে ডিলিট হয়ে গিয়েছে, অনেক খুঁজে এই ছবিটা পেয়েছি। কোনো এক বছর শীতকালের সকালে ওকে নিয়ে ভ্যাকসিন দিতে ডাক্তারের কাছে যাচ্ছিলাম। তখন পাশের বাড়ির পাঁচিলের ওপরে এমন ভাবে বসে রোদ্দুরের দিকে তাকিয়ে ছিলো।
সদ্য স্নান করিয়ে, ভালোভাবে পশমগুলো আঁচড়ে নিয়ে বেরিয়েছিলাম। সেদিন ওকে এতো ভালো লাগছিল যে, রাস্তায় যাওয়ার সময় সকলেই একবার ওর দিকে ফিরে তাকাচ্ছিলো। বর্তমানে ওর শরীর ভীষণ খারাপ, রীতিমতো স্যালাইন চলছে গত তিন দিন ধরে। আপনাদের জানিয়েছিলাম পশমগুলো কেটে দিতে হয়েছে জট পড়ে যাওয়ার কারণে, সবকিছু মিলিয়ে ওই হারিয়ে যাওয়া মুহূর্তগুলো বড্ড মিস করি।
এই ছবিটা আসামের চা বাগানে ঘুরতে গিয়ে তুলেছিলাম। যদিও প্রথমবার নিজের চোখে চা বাগান দেখার অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়ে ওঠেনি, এটাও একটা জীবনের ইচ্ছে পূরণ বলা যায়। আসামে গিয়ে কামাখ্যা মন্দিরে যাওয়ার ইচ্ছে পূরণ না হলেও, অন্ততপক্ষে চা বাগান দেখতে পেয়েছিলাম।
যাইহোক বাকি গল্প আপনাদের সাথে অন্য পোস্টে শেয়ার করবো। তবে ছবিটি আমার মনের খুব কাছাকাছি তাই ভাবলাম অন্তত ছবিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করি। চা গাছের পাতার ওপরে সূর্যের আলোটা এত সুন্দরভাবে পড়ছিলো যে, চা বাগানের সৌন্দর্য্য তখন আরো অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছিলো। এখানে অনেকক্ষণ ধরে আমরা ঘুরেছি অনেক ছবি তুলেছি। পরবর্তী কোনো পোস্টে আপনাদের সাথে সেই অনুভূতি অবশ্যই শেয়ার করবো, তবে আজকের ফটোগ্রাফিক কনটেস্টে এই একটা মাত্র ছবি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
|
---|
যাইহোক এই ছিল আমার পছন্দের তিনটে ছবি এবং ছবি সম্পর্কিত আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি। এমনই ছোট ছোট অনেক অনুভূতি গ্যালারিতে রাখা ছবির ভিতরে লুকিয়ে থাকে। আমার বিশ্বাস সব ছবির পিছনের গল্প ছবিগুলো দেখার সময় আমাদের প্রত্যেকের মনে পড়ে। ভালই লাগলো তার মধ্যে থেকে তিনটে ছবির গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করে।
আজকের লেখা আমি এখানে সমাপ্ত করবো, তবে তার পূর্বে কনটেস্টের নিয়ম অনুসারে আমি আমার তিনজন বন্ধু @shiftitamanna,@goodybest ও @tahispadron কে আমন্ত্রণ জানাই এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, এই প্রার্থনা করে আজকের পোস্ট শেষ করছি। ধন্যবাদ।
اپ کی پیش کردہ وہ تصویر جس میں دو بچے سو رہے ہیں اور ایک دوسرے کے منہ پہ ہاتھ رکھا ہوا ہے بہت ہی خوبصورت تصویر ہے بچے نیچر کے سب سے قریب ہوتے ہیں اور مجھے نیچرل تصویریں بہت پسند ہیں۔
আপনার ছবির গল্পগুলো অনেক অনুভূতিপূর্ণ। বিশেষ করে শিশুদের ছবি আমাকে খুবই স্পর্শ করেছে। এই ধরনের মুহূর্তগুলো আমাদের জীবনে সত্যিই অমূল্য।
পিকলুর ছবি দেখে খুবই ভালো লাগলো। পশুদের প্রতি আপনার ভালোবাসা সত্যিই স্পষ্ট। এই ধরনের ছবিগুলো আমাদের জীবনের গভীর সম্পর্কের প্রতিফলন।
আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।