ঘরোয়া পদ্ধতিতে পিয়াজু তৈরি রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। পিয়াজু পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যায়। তাই ভাবলাম যে,আমি ঘরোয়া পদ্ধতিতে পেয়াজু তৈরি করেছি আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
চলুন তাহলে বাড়িতে আমি কিভাবে এই পিয়াজু তৈরি করেছি আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
সবার আগে শেয়ার করি আমি এই রেসিপিটিতে কি কি উপকরণ ব্যবহার করেছি।
|
---|
নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১. | **মসুর ডাল বাটা ** | ১কাপ |
২. | পেঁয়াজ কুচি | হাফ কাপ |
৩. | আদা বাটা | ১ চামচ |
৪. | রসুন বাটা | ১ চামচ |
৫. | **কাচা মরিচ কুচি ** | ৪ টি |
৬. | **বড় সাইজের আলু কুচি ** | ১ টি |
৭. | সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
৮. | হলুদ গুঁড়ো | ১চা চামচ |
৯. | জিরে গুঁড়ো | ১ চা চামচ |
১০. | ধনে গুঁড়ো | ½ চা চামচ |
১১. | **শুকনো মরিচ গুড়া ** | ½ চা চামচ। |
১২. | লবন | স্বাদ মতো |
সত্যি কথা বলতে ঘরোয়া উপায়ে পিয়াজু তৈরি করার ক্ষেত্রে আমি এই উপকরণগুলো ব্যবহার করেছি। আপনারা চাইলে কম বেশি করেও নিতে পারেন। অথবা ইউটিউব থেকেও দেখে নিজেরা তৈরি করতে পারবেন।
|
---|
একটি বড় পাত্রে মসুর ডাল বাটা ঢেলে নিতে হবে। এতে কুচি করা আলু ও পিয়াজ যোগ করতে হবে। বেসন, আদা বাটা, রসুন বাটা, ধনিয়া গুড়া, জিরা গুড়া, লাল মরিচের গুড়া এবং লবণ মিশিয়ে দিতে হবে।কাঁচা মরিচ কুচি করে মিশ্রণে দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।যদি মিশ্রণ বেশি পাতলা হয়, সামান্য বেসন যোগ করতে হবে।
|
---|
একটি করাইয়ে মাঝারি আঁচে তেল গরম করতে হবে।তেল ভালোভাবে গরম হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।একে একে বলের আকারে শেপ দিয়ে বা নিজের ইচ্ছামত শেপ দিয়ে সবগুলো পিয়াজু দিয়ে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে তুলতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন পিয়াজুগুলো কোন ভাবে পুড়ে না যায়।পুড়ে গেলে খেতে একদম ভালো লাগবে না খুব বিশ্রি একটা গন্ধও লাগবে।
|
---|
গরম তেলে মিশ্রণ থেকে ছোট ছোট করে নিজের ইচ্ছামতো সেপ দিয়ে ছেড়ে দিতে হবে।মাঝারি আঁচে ভাজতে হবে যাতে ভেতর থেকে সেদ্ধ হয় এবং বাইরের অংশ মচমচে হয়।প্রতিটি পিঠ ঘুরিয়ে লালচে করে ভাজতে হবে।
|
---|
১. ভাজা পিঁয়াজুগুলো তেল থেকে তুলে একটা বাটিতে রাখতে হবে এবং গরম গরম পরিবেশন করতে হবে তাহলে খেতে খুব মজাদার হবে।
|
---|
মিশ্রণ বেশি পাতলা হলে পিঁয়াজু ভাজার সময় গঠন নষ্ট হতে পারে। তাই মিশ্রণের ঘনত্ব সঠিক রাখতে হবে।
যাইহোক, আজ এই পর্যন্তই রেসিপিটি কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
@samima1 আপনার উপকরণে বেসনের উপস্থিত ছবিতে দেখলেও, সেটা বোধহয় তালিকায় উল্লেখ করতে ভুলে গেছেন।
ভারতে পিঁয়াজ বলা হয়, এবং এখানে যেভাবে তৈরি করা হয়, সেখানে কখনও আলুর ব্যবহার দেখিনি!
আমার এই বিষয়টি একটু ব্যতিক্রমী লেগেছে, এবং আপনার মত করে একদিন বাড়িতে তৈরি করবে প্রয়াস করবো, আর বোঝার চেতা করবো, আলু সহযোগে বাড়তি স্বাদ যোগ হলো কিনা!
আসলে একার জন্য এসব করতে ইচ্ছে করে না, কাউকে খাওয়ানোর হলে অথবা বাড়িতে লোক বেশি হলে এসব করা যায়।
এছাড়াও চেষ্টা করি অধিক তেলের জিনিষ না খেতে, এই ভাজার পর যে তেল রয়ে যায়, সেটা বেশিদিন রেখে দেওয়া এবং পরে ব্যবহার স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।
যারা বাড়িতে দৈনন্দিন রান্না করেন আপনার মতন, তারা হয়তো ওই তেল অন্য রান্নায় ব্যবহার করে ফেলতে পারেন, কিন্তু আমার সেই উপায় নেই!
আরেকটি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য জানিয়ে রাখি এই সুবাদে, আপনি কি জানেন যেকোনো রান্না তৈরির ৯০ মিনিট পর থেকে তাতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে শুরু করে?
তাই সুস্থ্য থাকতে যেকোনো রান্না করা খাবার তার আগেই খেয়ে ফেলা উচিত। তবে আজকাল মানুষ সময়ের অভাবে ফ্রিজে রেখে রান্না খায়, আবার বেশি খাবার থাকলেও ফ্রিজে তুলে রাখেন, যেটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক।
এরকম নানান স্বাদের খাবার মাঝেমধ্যে তুলে ধরবেন, খেতে না পারি ভিন্নতা জানার সুযোগ পাবো। ভালো থাকবেন।
দিদি আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। আপনি একদমই ঠিক কথা বলেছেন আমি আসলে লিখতে ভুলে গেছি বেসনের উপকরণটা।
প্রতিদিনের রান্নাবান্নার ক্ষেত্রে ওই তেল ব্যবহার করা যায় আমি তাই করি । আপনাকে আবারও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি টিপস দেওয়ার জন্য।
আমাদের বাংলাদেশে আলু ব্যবহার করে আমার মা চাচিদের দেখেছি এই ভাবেই পিয়াজুর ভিতরে আলু কুচি করে কেটে মিশ্রিত করলে খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে।
বর্তমান সময় বাংলাদেশে শীতের সময় এবং এই সময় কম বেশি প্রত্যেকটা বাসায় পেঁয়াজি তৈরি হচ্ছে। এবং বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে বাজারে গেলে পেঁয়াজি বা আরো যে তেলের ভাজা আছে সেগুলো প্রচুর পরিমাণ মানুষ খাচ্ছে। আমরা মালয়েশিয়াতে কম বেশি পেঁয়াজি তৈরি করি নিজেদের খাওয়ার জন্য। এবং আলু দিয়ে পেঁয়াজি তৈরি হয় এটা সত্যি আমারও জানা ছিলো না কিন্তু আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখতে পেলাম। যাইহোক সুন্দর একটি পেঁয়াজি তৈরি করার পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আজ আপনি আমার খুব প্রিয় একটা খাবার তৈরি করেছেন। পিয়াজু আমার ভীষণ প্রিয় । তাই যখন খেতে ইচ্ছা করে দোকান থেকে কিনে খাই, কখনও তৈরি করার চেষ্টা করি নি বাড়িতে কারন এসব বিষয়ে আমি ভীষণ অনভিজ্ঞ।
পিয়াজু তৈরির পদ্ধতি আপনি খুব সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন খুব ভালো লাগলো আপনার রেসিপিটা পড়ে। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ আপনার এত সুন্দর মন্তব্যে করার জন্য! পেঁয়াজু যেহেতু আপনার প্রিয়, আশা করি ভবিষ্যতে আপনি রেসিপিটা ট্রাই করবেন। সহজেই বানাতে পারবেন, আর বাড়ির তৈরি পেঁয়াজুর স্বাদও আলাদা। শুভকামনা রইল!
পেঁয়াজু আমার বাসার সবাই খুব পছন্দ করে। তাই এই জিনিসটা আমি মাঝে মাঝেই তৈরি করে থাকি। তবে মসুর ডালের সাথে আমি কখনো আলু ব্যবহার করে দেখি নাই।
আপনার রেসিপি মনে হল যে পরবর্তী সময়ে আমিও আলু ব্যবহার করে দেখব কেমন লাগে ।
চমৎকার এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সব সময়।
ধন্যবাদ আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য। মসুর ডালের সাথে আলু যোগ করলে পেঁয়াজুর স্বাদ আরও মজার হয়। আশা করি আপনি রেসিপিটা চেষ্টা করে দেখবেন এবং আপনার পরিবারের সবাই পছন্দ করবে। শুভকামনা রইল।