RE: একটি শিক্ষিত শৈশব ভবিষ্যতের ভিত্তিস্তর নির্মাণে সহায়ক!(An educated childhood helps build the foundation for the future!)
তখন হাসি আর কান্না এই দুই অভিব্যক্তি দিয়ে নিজের ভালো লাগা মন্দ লাগা বোঝানোর প্রয়াস চলে বেশ কিছু সময় ধরে।
একেবারেই ঠিক বলেছেন শিশু যখন জন্মগ্রহণ করে, এরপর তার হাসি কান্না বিভিন্ন ধরনের ভঙ্গিমা দিয়েই কিন্তু তার প্রিয় মানুষগুলোর কাছ থেকে সে ভালোবাসা বুঝে নেয়। খিদা লাগলে তার মাকে বোঝায় তার খিদা লেগেছে। যখন তার প্রাকৃতিক কাজগুলো হয় তখন সে কান্না করে বোঝায়, তার এগুলো পরিষ্কার করা দরকার।
আসলে দিদি এই পৃথিবীতে প্রতিটা মানুষ ক্ষণস্থায়ী অল্প সময়ের জন্য এসেছে। একটা সময় চলে যাবে। তবে মা নামক শব্দটা যখন সামনে চলে আসে, তখন নিজের মায়ের মুখ সামনে ভেসে ওঠে। আজকে আপনার মায়ের কথা যখন আপনি পোস্টে লিখেছেন আর আমি পড়লাম সত্যি কথা বলতে চোখ দিয়ে পানি চলে আসলো।
আমার কাছে মনে হয় এই পৃথিবীতে মা একমাত্র ব্যক্তি, যে কিনা মেয়েদের কষ্ট বোঝে পড়াশোনার সময় তাদেরকে দিয়ে কাজ করানো যাবে না। বয়সের সাথে সাথে তারা অনেক কিছুই শিখে যাবে এটা একমাত্র মা ছাড়া আর কেউ বোঝে না। আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত জীবনে কিছুটা হলেও শিক্ষা গ্রহণ করা। অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য ভালো থাকবেন।
সঠিক বলেছেন @rubina203 মা একটা শব্দ নয় গোটা জগৎ।
আমাদের পুরাণে একটা ঘটনা এখানে উল্লেখ করি।
শ্রী গণেশ এবং কার্তিক মহাদেব(শিব ঠাকুর) এবং দেবী পার্বতীর পুত্র।
কে আগে বিবাহ করবে এই নিয়ে দ্বন্দ্ব মা এবং বাবার মধ্যে।
তাই দুজনে পুত্রদের ডেকে বললেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে যে তিনবার পৃথিবী পরিক্রমা করে ফিরবে, তাকেই আগে বিয়ে দেওয়া হবে।
কার্তিক তার বাহন ময়ূরে করে বেরিয়ে পড়লেন পৃথিবী পরিক্রমা করতে, এদিকে শ্রী গণেশ দাড়িয়ে আছে দেখে তাঁর মা বাবা অবাক হলেন!
তবে, এরপর শ্রী গণেশ তার মাতা পিতাকে পরিক্রমা করতে শুরু করলেন, তাঁর পরিক্রমা থেকে তিনি বুঝিয়েছিলেন, যারা মাতা পিতাকে শ্রদ্ধা করেন, তাদের পুন্য অর্জনে কোথাও যাবার প্রয়োজন পড়ে না।