আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তায়ালা হাজারও শুকরিয়া, অবশেষে আমি ডুয়েটে চান্স পেলাম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ।
আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ...........
মহান রবের অশেষ রহমত আমার উপর বর্ষিত হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে যেই স্থানে পৌছানোর জন্য আমি চেষ্টটা করে যাচ্ছিলাম, জীবনের সাথে সংগ্রাম আর যুদ্ধ করতেছিলাম, সেটা গত রাত ১:২৪ মিনিটের দিকে পূর্ণতা পেলো। এই মুহূর্ত আমার এই ২২ বছরের জীবনের সবচেয়ে আনন্দ ঘন একটা মুহূর্ত ছিল। আপনারা হয়ত অনেকেই ভাবতেছেন জীবনে কি এমন ঘটেছে, হ্যাঁ ঘটেছে বড় কিছু৷ যা আমার জীবনের অনেক বড় পাওয়া। আপনারা যারা আমার পোষ্ট রেগুলার পরেন তারা যানেন, আমি ডুয়েট এডমিশনের জন্য দ্বিতীয়বার চেষ্টটা করতেছিলাম। গত ১০ আগস্ট ভর্তি পরিক্ষা হয়। গতকাল রাত ১ টার পর ভর্তি পরিক্ষার রেজাল্ট প্রকাশিত হয়। রেজাল্ট জানার আগে আসুন সংক্ষেপে আমার এই ডুয়েট এডমিশন যাত্রাটা জেনে আসি:-
শুরুটা ছিল ২০২৩ সালে৷ ডিপ্লোমা সপ্তম পর্ব শেষ করে অনেক স্বপ্ন আর আশা নিয়ে সেপ্টেম্বর মাসের ৩ তারিখ গাজিপুরের মাটিতে পা রাখি। এরপর কোচিং ভর্তি হওয়া, ক্লাস করা আর রাত জেগে পড়াশুনা। আমি আমার সবটুকু দিয়ে দীর্ঘ ১৪ টা মাস পড়াশুনা করেছিলাম। এর মাঝে আমার জীবনে ঘটে গেছে নানা সমস্যা। আমি চেষ্টটা করেছি সমস্যাগুলো মোকাবিলা করে সামনে আমার স্বপ্নের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। কখনও পারিবারিক সমস্যা, কখনও অর্থনৈতিক সমস্যা, কখনও নিজের অসুস্থতা। সব কিছুর মধ্যেও নিজেকে সাহস যুগিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু অবশেষে আমি হতাশায় পেয়েছিলাম। প্রথম বার ডুয়েট ভর্তি পরিক্ষায় আমি চান্স পেয়েছিলাম না। গত ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসের ১৭ তারিখ আমাদের পরিক্ষা হয়েছিল। তার তিন দিন পর রেজাল্ট দিয়েছিল। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার লেখা নিয়তিতে আমার কপালে প্রথমবার ডুয়েটে চান্স ছিল না। রেজাল্ট পাওয়ার পর জীবনের যেন সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পরেছিলাম। কোন অবস্থাতেই নিজেকে সামলাতে পারতেছিলাম না৷ কেন আমার চান্স হলো না। এটা ভেবেই আমার চোখ দিয়ে পানি ঝড়তে শুরু করতো।
রেজাল্ট এর পর টানা ৩/৪ দিন আমি কান্নাকাটি করেছিলাম।রেজাল্টের সময় আমি বরিশাল ছিলাম, তখন সেখানে থাকতে না পেরে আমি বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে সারা দিন রাত রুমেই মধ্যেই শুয়ে থাকতাম। একই সাথে আমার কত বন্ধু চান্স পেলো, আমি পেলাম না এই কষ্টে এক মাস বাসায় কাটালাম। কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারতেছিলাম না। কি করব বুঝতে পারতেছিলাম না। সবাই আবার দ্বিতীয় বার এডমিশন দিতে বলতেছিল। কিন্তু আমি কি করব বুঝতে পারতেছিলাম না। অবশ্যই সিদ্ধান্ত নিলাম আবারও এডমিশন দিবো। এই সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে আমি ২০২৫ সালের প্রথম দিন মানে জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ বাসা থেকে বের হই৷ সিদ্ধান্ত নেই, হয় ডুয়েট চান্স পাবো না হয় চাকরি পেয়ে বাসায় আসব। নিয়ত এমন থাকলেও বার বারই আমি ভাগ্যের কাছে হেরে যায়। নতুন মেসে উঠি, এক মাস থাকার পর সেখানে আর থাকতে পারি না। কোচিং ভর্তি হলাম, কোচিং করতেও ভালো লাগে না। সব সময় খালি চান্স কেন হলো না সেই কথা মনে পরে। এভাবে চলতেছিল পরে, কোচিং এর ভাইদের পরামর্শে মেস পাল্টালাম যাতে পড়াশুনায় মন বসে। কিন্তু কি জানি হয়ছে আমার, আর পড়াশুনা ভালো লাগে না। কিন্তুআমি নাছড় বান্দা পরি আর না পরি বই নিয়ে সামনে বসে থাকি। এভাবেই চলতেছিল, মাঝ খানে আমার মাইগ্রেনের ব্যাথা খুব বেড়ে যায়। আর কোন ভাবেই মেসে থাকতে পারতেছিলাম না।
পরে সিদ্ধান্ত নিলাম আর বাসায় থাকবো না মেস ছেড়ে দিয়ে বাসায় চলে যাব। বাড়ীতেও বলে দেয়, ট্রেনের টিকিটও কেটে ফেলি। এরপর যেদিন বাড়ী চলে আসব, সেই দিন রাতে আমার বন্ধু আফ্রিদি তার পরিচিত বড় ভাইকে নিয়ে আসে আমার সাথে দেখা করার জন্য। সে এসে আমার চলে যাওয়ার কথা শুনে অনেক কিছু বললো, এরপর বোঝালো, আমি তারপর রুমে চলে আসি৷ অনেক ভেবে ট্রেনের টিকিট বাতিল করি এবং মেসে থেকে পড়াশুনা করার সিদ্ধান্ত নেই। এরপর পরের দিন ঢাকাতেই মাইগ্রেনের ডাক্তার দেখায়৷ কিন্তু সিটি স্ক্যান করেও আমার কোন সমস্যা ধরা পরে না। এরপর মেসে থাকতে লাগি। মাঝে ঈদ চলে আসে, আমি বাসায় চলে যায় রমজানে। এই তিন মাসে তেমন পড়াশুনা করতে পারি নাই, সব সময় মনে হতো আমার দ্বারা হবে না,, প্রতিদিন আব্বু আর আমার এক বড় ভাইকে কল দিয়ে বলতাম গাজিপুর ভালো লাগে না, বাড়ী চলে যায়। তারা অনেক বোঝাত কিন্তু আমার মন বুঝত না৷ এই ভাবে রমজান মাসটা পার করে বাসা থেকে গাজিপুর আসি। এসে জানতে পারি আমি যেই মেসে ছিলাম সেটা কোচিং আর নিবে না, সবাইকে আলাদা আলাদা নতুন মেসে উঠতে হবে। এমনিতেই মন বসে না তারপর আবার মেস পাল্টাতে হবে৷
অনেক কষ্টে আমার পরিচিত এক বড় ভাইয়ের সাথে পরামর্শ করে কোচিং এর অন্য একটা মেসে উঠলাম। কিন্তু আমার সমস্যা হলো কোন মেসেই আমার থাকতে ভালো লাগে না। এই মেসেও এক মাস মতো থাকলাম। তারপর আর ভালো লাগত না। সব সময় খালি মনে হতো বাড়ী চলে যায়। বাড়ী গেলে হয়ত ভালো লাগবে। আর এডমিশন দিবো না। একদিন হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে, আমার খুব বিরক্তি লাগল, আর থাকবই না মেসে। বলতে দেরি ব্যাগ গোছাতে দেরি হয় নাই। বই পত্র নিয়ে কাউকে কিছু না বলে শুধু রুমমেট আর আমার এক বন্ধুকে বললাম সব জিনিস একটু গাড়ীতে তুলে দিয়ে আসতে। তারা অনেক বোঝাল কিন্তু আমার যে কি হয়ছিল, আমি কিছুই বুঝতে চাইতাম না৷ বাড়ীতেও কিছু বলছিলাম না। এপ্রিল মাসে এভাবেই সকল জিনিস নিয়ে বাসায় চলে আসছিলাম। বাসায় আসা দেখে আমার আব্বু আম্মু দুইজনেই আমার আত্মীয় স্বজন সহ সকলেই চিন্তা করতে লাগল। তাদের একটাই কথা যে ছেলে পড়াশুনা ছাড়া কিছু বোঝে না, তার হলো কি পড়াশুনা করতে চায় না মেস থেকে চলে আসল। আমি জীবনেও কল্পনা করছিলাম না৷ এভাবে এডমিশন ছেড়ে দিয়ে চলে আসতে হবে। এরপর আমার আব্বু সিদ্ধান্ত নেই আমাকে কবিরাজ দেখাবে। কিন্তু আমি কোন মতেই রাজি ছিলাম না।
পরে একটা কবিরাজের কাছে নিয়ে যায়, তিনি উপরি সমস্যার কথা বলে। কিন্তু এগুলো আগে আমি বিশ্বাস করতাম না। পরে তার দেওয়া নিয়মগুলো কিছু দিন মেনে আমি আর মানি না। এজন্য আমার আব্বু আমাকে অনেক রাগ করে। এরপর এক মাস মতো সময় আমি বাসায় থাকি। তারপর ভাবি, আমাদের কুষ্টিয়া শহরে কলেজের আশে পাশে মেসে গিয়ে থেকে এডমিশনের পড়াশুনা করি। এই সিদ্ধান্তে গত জুন মাসে আমি আমার এক বন্ধুর মেসে সিট ফাকা ছিল সেটাতে আমার সকল জিনিস টেনে নিয়ে গিয়ে উঠি। এরপর মেসে থাকতে লাগি৷ তখন পলিটেকনিক গুলোর ঈদুল আযহার ছুটি চলতেছিল। আমরা দুই তিন জন মেসে ছিলাম। তিন দিন থাকার পর মেসে কয়েকজন বডার আসা শুরু করে৷ তারপর থেকে আমার আর মেসে থাকতে মন চাইতো না৷ চাইতো না মানে চাইনা। কি করা যায়, এতো স্বপ্ন নিয়ে মেসে আসলাম, গাজিপুর যাব না বলে। কিন্তু এখানেও থাকতে পারতেছি না। আসলে এমন যে কেন হচ্ছিল সেটা আমি নিজেই বুঝতে পারতেছি না। আব্বুকে কল দিয়ে বলি আব্বু মেসে থাকতে ভালো লাগতেছে বাসায় চলে যাব। ৪ দিনের মাথায় মেস ছেড়ে দিয়ে বাসায় চলে আসলাম। সেদিন মেস থেকে আনতে গিয়ে আমার আব্বু আমাকে অনেক কিছু বলেছি, আমার এক বন্ধুর সামনে৷ আমি কিছু মনে করি নাই, কারণ আমি নিজেই হতাশার গ্রাসে ডুবে আছি, তার মাঝে যা ঝামেলা করি আমি, আব্বু আম্মু তো রাগ করববেই। এর মাঝে আমার একটা বেসরকারি চাকরির ভাইবার তারিখ দেয়।
মাথা ঠিক ছিল না, কি করতেছিলাম নিজেও জানি না। এদিকে এডমিশন দিব মুখে বলতাম, গাজিপুর ছেড়ে চলে এসেছিলাম। তারপর চাকরিতেও আবেদন করতেছিলাম। জীবনটা এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল। পরে জুন মাসের ১৮ তারিখ আমি চাকরির পরিক্ষা দিয়ে বাসায় চলে আসি। তারপর আমাকে জানানো হয়, আমার চাকরিটা হয়ে গেছে। মনে মনে একটু খুশি হয়ে ছিলাম, কিন্তু অন্তর থেকে না৷ কারণ, অন্তরে ছিল ডুয়েট। আমি তাদেরকে জানায় আমি চাকরি জয়েন করব। এদিকে আমার শরীর বেশি খারাপ হতে থাকে। পরে আবার আব্বু আমাদের বাড়ীর পাশে একটা কবিরাজের কাছে নিয়ে যায়। সে বলে আমার উপরি দোষ হয়ছে মানে, যেটাকে বাংলায় বলে জিনে ধরা। যার ফলে সে আমাকে কিছু করতে দেয় না কোথাও থাকতে দিতে চায় না। আমি আগে বিশ্বাস না করলেও নিজের অবস্থা দেখে বিশ্বাস করতেই হলো। এরপর তার কাছে থেকে চিকিৎসা নিয়ে আমি ঢাকায় আসি জুন মাসের ৩০ তারিখ। তারপর চাকরিতে জয়েন করি৷ আগস্ট মাসের ১০ তারিখ আমার পরিক্ষা ছিল ডুয়েটের। মাসে আর এক মাস ১০ দিন।
আমি একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে চাকরি পায়। যার ফলে আমার তেমন কোন কাজ থাকে না। যখন ক্লাস থাকে তখনই শুধু আমার কাজ করতে হয়। বাকি সময় আমি ফ্রি থাকতাম। আমি এই সময়টা কাজে লাগাতাম। বসে পড়াশুনা করতাম। অফিস শেষ করে বাসায় গিয়েও রাত ১২ টা পর্যন্ত পড়াশুনা করতাম। এই গত জুলাই মাসটা আমার শরীর একটু ভালো ছিল, যার জন্য অফিস করার পাশা পাশি পড়াশুনাটাও চালিয়ে গিয়েছিলাম। আমার কথা ছিল, কপালে থাকলে চান্স হবে না হলে হবে না। এই ভাবে ১০ আগস্ট চলে আসে৷ আমি আগের দিন ৯ তারিখ গাজিপুর যায়। তারপর ১০ তারিখ পরিক্ষা দিয়ে রাতে আবার সাভারে চলে আসি৷ কারণ আমার পরের দিন অফিস ছিল। এবারের পরিক্ষা, আগের বারের তুলনায় ভালো হয়েছিল। এমসিকিউ গুলো এবং ডিপার্টমেন্ট পরিক্ষাটা আমার ভালো হয়েছিল। এবার আমি সেগুলো উত্তর করছিলাম সবগুলো শিওর ছিলাম।
পরিক্ষার পর সবাই কান্না কাটি করলেও আমার তেমন কোন খারাপ লাগে নাই। শুধু এতোটুকু বলেছিলাম আল্লাহ তায়ালা চাইলে চান্স হবে, না হলে হবে না। পরিক্ষার মোটামুটি ৩ দিন পর রেজাল্ট দেয়৷ এবারও তেমনটা দেওয়ার কথা। সেই হিসেবে বুধবার দেওয়ার সম্ভাবনা ছিল। যেটা ফেসবুকে দেখতে পেয়েছিলাম। গতকালকে মানে বুধবার সারা দিনই মনটা ভালো ছিল না কি হবে,, সেটা মনে হলেই খারাপ লাগতেছিল। অফিস থেকে বাসায় গিয়েও শুয়ে ছিলাম কিছু করতে মন চাচ্ছিল না। এজন্য অন্য দিন দেরি করে ঘুমালেও গতকাল ১১:৩০ টার দিকে ঘুমিয়ে যায়। মনে হচ্ছিল রাতে রেজাল্ট দিতে পারে। এরপর যা ঘটল তা আমার সারাটা জীবন মনে থাকবে।
রাত তখন ১:২৪ মিনিট। হঠাৎ আমার ফোনের রিংটনের আওয়াজে আমার ঘুম ভেঙে যায়। দেখি কে যেন অচেনা নাম্বার থেকে কল দিয়েছে। কল ধরতেই অপর পাশ থেকে বলে উঠল রাসেল তুমি তো চান্স পেয়েছো। কথা শুনেই মুখ দিয়ে বের হলো আলহামদুলিল্লাহ। সে ছিল আমার এক বড় ভাই, যিনি গতবার ডুয়েটে চান্স পেয়েছে। এরপর কথা বলে আমি নিজে নেট অন করে রেজাল্ট ডাউন লোড করে দেখলাম। দেখলাম সত্যি আল্লাহ তায়ালা এবার আমাকে ডুয়েটে চান্স দিয়েছে। সিরিয়াল নাম্বার ২৬ ছিল। এটা যেন এক আলাদা ধরনের প্রাপ্তি। এতো সমস্যা আর লড়াই শেষে আমি দেখা পেলাম ডুয়েটের। আমি কল্পনাও করেছিলাম না, আমি চান্স পাবো। কারণ আমি নানা কারণে পড়াশুনা করতে পারি নাই, ঠিক মতো। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তো উত্তম পরিকল্পনাকারী। তিনই তকদির লিখেন। তার উপরে কিছু নাই। এরপর রাতেই আব্বু আর আম্মুকে কল দিয়ে জানায়। এরপর বমার বন্ধুরা সবাই, বড় ভাইয়েরা আমাকে অভিনন্দন জানাতে থাকে অনলাইনে।।আমার জীবনটা যে এতো কষ্টের পর এই মুহূর্তটা ফিরে পাবো তা বুঝতে পারি নাই। স্বপ্নের জায়গায় পড়ার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। রাতে আর ঘুম হয় না। ফজর পর্যন্ত এভাবেই কেটে গেল। ফজরের সালাত শেষ করে এসে ঘুমাতে যাব তখন শুরু হলো পরিবারের কল আসা। একে একে দুলাভাই, বোন খালু, শিক্ষক সবাই কল দিতে লাগল। আমিও আনন্দে তাদের সাথে কথা বললাম।
এই মুহূর্তটার জন্য গত দুই বছর অক্লান্ত পরিশ্রম আর ত্যাগ শিকার করেছি৷ যার ফল সরুপ আল্লাহ তায়ালা আমাকে এটা দান করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক খুশি। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, যাতে আমার ডুয়েট যাত্রাটা সফল হয়। যাই হোক আপনাদেরকে ডুয়েটের পূর্ণ নামই বলও নাই। নাম হলো "ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়"( ডুয়েট). যেখানে পড়ার স্বপ্ন দেখে হাজারও পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। এটা বাংলাদেশে একটা মাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পায়। আমাদের ইইই ডিপার্টমেন্টে ১৭৬৩ জন পরিক্ষা দিয়ে ১২১ জন চান্স পেয়েছে।
যাই হোক, আমার ডুয়েট জীবনের গল্পটা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.