ফটোশ্যুট

in Incredible India2 months ago

নমস্কার বন্ধুরা। আপনারা সকলে কেমন আছেন? আজকে চলে এসেছি আপনাদের সাথে নতুন একটি গল্প শেয়ার করার জন্য। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।

যারা আমার পোস্ট নিয়মিত পড়েন তারা জানেন আমি নিজের ফটো তুলতে বেশ ভালোবাসি। আর সেই সাথে বাড়িতে ক্যামেরাম্যান দাদা তো আছেই। কাজেই মাঝে মাঝেই ফটো তোলা হয়। যা তাড়াতাড়ি দিন কেটে যাচ্ছে আর একটা একটা করে দিন চলে যাওয়ার সাথে সাথে জীবনের একটা একটা দিন কমে যাচ্ছে, তাতে স্মৃতিগুলোকে ধরে রাখতে বড্ড ইচ্ছে করে। আরো কয়েক বছর পর আমি বর্তমানে যেমন আছি তেমন থাকবো না। তখন হয়তো আরো মোটা হয়ে যাব, কিংবা আরও রোগা হয়ে যাব, বা খুব বেশি বাড়িয়ে বললে হয়তো আরও সুন্দর দেখতে হয়ে যাব। সে যাই হই না কেন বর্তমানের আমি যেমন আছি তেমন তো থাকবো না। তাই বর্তমানটাকে ধরে রাখার একটাই তো উপায় রয়েছে। সেটা হল ফটো কিংবা ভিডিওর মাধ্যমে মুহূর্তগুলোকে বন্দী করে রাখা। তাই এই ফটো তোলার ব্যাপারে আমি খুব আগ্রহী।

1000279572.jpg

গত বছর এইরকমই এক গরমের দিনে দাদার ও আমার দুজনেরই কাজ অফ ছিল। তাই যেহেতু অনেকদিন ধরেই দাদাকে বলে রেখেছিলাম কাজ ছুটি থাকলে আমাকে ফটো তুলে দিতে তাই আমাকে জানিয়েছিল। আমিও খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রেডি হয়ে গিয়েছিলাম। তারপর হঠাৎ করেই দাদার একটা কাজ চলে আসে। তবে সৌভাগ্যবশত যাদের ফটোগ্রাফির কাজ করতে যেত তারাও সেম লোকেশনেই আসছিল। মানে, আমি যে লোকেশনে ফটো তুলবো বলে ভেবেছিলাম, তারাও সেই লোকেশন এই ফটো তুলত। তাই দাদা তাদেরকে একটু লেট করে আসতে বলেছিল যাতে প্রথমে আমার ফটো তুলে নিতে পারে। তারপর আমি আর দাদা কিছু সময়ের মধ্যেই সেই লোকেশনে পৌঁছে গিয়েছিলাম। এই লোকেশনটা ছিল আমার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাইকে ৭-৮ মিনিটের দূরত্বে। এমনিতে জায়গাটি যে খুব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন তা নয়। সেই জায়গাটাই হিন্দুস্থানী দের বসতি রয়েছে। তবে গাছে ঢাকা এই সরু রাস্তাটা আমার বেশ পছন্দ হয়েছিল। তাই সেখানেই ফটো তুলবো বলে ঠিক করেছিলাম।

1000279575.jpg

সেখানে পৌঁছে দেখি দাদার আরো এক বন্ধু এসেছে। এই ফটো তোলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সরঞ্জাম ধরার জন্য একজন সঙ্গে থাকলে খুব সুবিধা হয়। তবে সমস্যা হল দাদা ছাড়া অন্য কেউ ফটো তুললে আমি ঠিক কমফোর্টেবল ফিল করি না। আর ফটোও ভালো আসে না। দাদাকে একটা ফটো দুবার তুলতে বলা যায় কিন্তু অন্য কাউকে বলাটা আমার দ্বারা ঠিক হয় না। যে এসেছিল সেই দাদাটিও ফটোগ্রাফির সাথে যুক্ত। তাই আমাকে বিভিন্ন রকমের পোজ বলে দিচ্ছিল। তবে সবার ফেস কাটিংয়ে তো একই রকমের পোজ মানায় না। তাছাড়া আমি কোনো মডেলও নই। তাই সে যাই বলুক না কেন আমি আমার মত পোজ দিয়ে কয়েকটি ফটো তুলেছিলাম।

1000279574.jpg

ফটোর সাথে সাথে বেশ কিছু ভিডিও ক্লিপসও নেওয়া হয়েছিল। এর আগে কখনো ভিডিও ক্লিপস নেওয়া হয়নি। তাই প্রথমে ঠিক বুঝতে পারছিলাম না কিভাবে এক্সপ্রেশন দিতে হবে। দাদা বলে দিচ্ছিল। প্রথমবারের প্রচেষ্টায় খুব ভালো না হলেও খুব খারাপ হয়নি। তবে ভিডিও থেকে আমি ফটো তোলাতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তাই বেশ কিছু ফটো তুলে নিয়েছিলাম। তারপর অল্প সময়ের জন্য ঝমঝম করে বৃষ্টি নামলো। তাই সমস্ত সরঞ্জাম গুটিয়ে আমাদের এক জায়গায় আশ্রয় নিতে হলো। যার ফলে আর ফটো তোলা হয়নি। এবং যারা ফটো তুলতে আসছিল তাদেরও আসতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর তারা এসে পৌঁছেছিল। তারপর আমি দেখলাম সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, তাতে আমার সময় নষ্ট হবে। তাই আমি বাড়ি চলে এসেছিলাম।

1000279577.jpg

আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোনো লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

Sort:  
Loading...
 2 months ago 

তোমার মত ফটোশুট করতে এখনকার দিনে মোটামুটি সকলেই পছন্দ করে। তবে বাড়িতে ক্যামেরাম্যান দাদা থাকার জন্য তোমার খুব সুবিধা হয়, যখন তখন ছবি তোলার সুযোগটা হয়। ফটোশুট করতে বেশ ভালো লাগে। তোমাকেও দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগছে। তবে এ কথা ঠিক বলেছ যে এই ছবিগুলোই আমাদের জীবনে স্মৃতি হয়ে থেকে যাবে। সময় তো চলেই যাবে সময় তো আর ধরে রাখার জিনিস নাই। বিয়ের পর প্রত্যেকটি মেয়েরই পরিবর্তন হয় তোমারও পরিবর্তন হবে তখন এই ছবিগুলোই অনেক কিছু মনে করিয়ে দেবে। ফটোশুট করে সুন্দর সুন্দর ছবি শেয়ার করেছ।