বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তুতি
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজকে সেই ভালো থাকার মুহূর্তই আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
শীতকাল মানেই সকলেই চারিদিকে পিকনিক বা কোথাও না কোথাও ভ্রমণ করতেই ব্যস্ত থাকে। আবার যদি ছুটির দিন হয় সেই সব দিন গুলোতে ও মানুষ চারিদিকে ঘুরতে বেড়াতে ভালোবাসে। কিন্তু আমি কখনোই দূরে সেভাবে বেড়াতে যায় না । সত্যি কথা বলতে যাওয়া হয়ে ওঠে না। আমিও বেড়াতে ভীষণ ভালোবাসি। কিন্তু কোন সঙ্গ না পাওয়ায় দূরে কখনোই বেড়াতে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। সব মেয়েরাই ভাবে বিয়ের পর জীবনসঙ্গীর সাথে দূর দেশে ঘুরে বেড়াবো। কিন্তু সবারটা হয়ে ওঠে না। আমার বর দূরে কোথাও বেড়াতে যাওয়া একদমই পছন্দ করে না ।তবে নিজে অপছন্দ করলেও আমাকে কখনোই বাধা দেয় না। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি আমার সমস্ত কাজেই কিংবা কোথাও বেড়াতে যাওয়ার জন্য আমাকে আরো উৎসাহিত করে তোলে।
আজকে সেই বেড়াতে যাওয়ার মুহূর্তই আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। ছোটবেলা থেকেই আমি কখনোই তেমন কোথাও বেড়াতে যেতে পারিনি। কারণ আমি যখন ছোট ছিলাম মামারা সকলেই নিজেদের কাজে ব্যস্ত। তাই আমাকে সেভাবে কেউ কোনদিনই সময় দিয়ে উঠতে পারেনি। বড় মামার বিয়ের পর একবার মামার শ্বশুর শাশুড়ির সাথে পুরী বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেই থেকেই আমার সমুদ্র ভীষণ পছন্দের জায়গা। কিন্তু জল আমার ভীষণ ভয় করে। তবুও সমুদ্র দেখলে যেন মন খুব ভালো হয়ে যায়। তবে এবার দূরে কোথাও না কাছাকাছি দীঘাতে বেড়াতে যাওয়ার ভীষণ ইচ্ছা ছিল অনেক দিন ধরেই ।অনেককে বলেছিলাম আমাকে নিয়ে যাবার জন্য ।কিন্তু সবার সাথে সব সময় যাওয়া হয়ে ওঠে না। আর কোন কিছু আগে থেকে প্ল্যান করলে সেটা একদমই সাকসেসফুল হয় না।
তাই এবারে হঠাৎ করে দুদিন আগে প্ল্যান করেছি দীঘায় যাওয়ার জন্য। অনেকদিন থেকেই ছোট বোন আর বোনের বর দুজনেই দীঘায় যাওয়ার জন্য বলেছিল । কিন্তু প্রথমে রাজি না হলেও শেষে আমি যাওয়ার জন্য রাজি হয়েছি। আমার বর সাথে যাবে না। তাই সাথে সঙ্গী হিসেবে আমি নিজের আরেক বোনকে নিয়েছি। বরকে যাওয়ার জন্য অনেক রিকোয়েস্ট করেছিলাম ।কিন্তু উনি একদমই রাজি হয়নি দীঘা তে যাবার জন্য। বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তুতি আজকে সারাদিন ধরে চলেছে। এই কদিন প্রচন্ড পরিমাণে কাজের চাপ ছিল ।গতকাল প্রায় রাত জেগে সমস্ত কাজ শেষ করেছি দুদিন বাড়ি থাকবো না বলে। ইচ্ছে ছিল মাকে নিয়ে যাওয়ার ।কিন্তু মা খুবই অসুস্থ এখনই পুরোপুরি সুস্থ হয়নি ।তাই এবারে মাকে নিয়ে যেতে পারছি না।
বিকেল বেলায় আমার সেজ বোন চলে এসেছে আমাদের বাড়িতে এখান থেকে আমি আর আমার সেজো বোন দুজন মিলে যাব ।আর ছোট বোন শ্বশুর বাড়ি থেকে আসবে ছোট বোনের বর আর বোনের পাশের বাড়ির তিনজন মিলে রওনা দেব দীঘার উদ্দেশ্যে। বাসে যাতায়াত করতে কষ্ট হয়। তবুও আজকে বাসে করেই যাবার প্ল্যান করেছি।
আজ এইখানেই শেষ করছি। আবার নতুন কোন বিষয় নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ভ্রমণ সত্যিই মানুষের মনের শান্তি এনে দেয়। আপনার স্বামী হয়তো দূর কোথাও যেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু আপনার শ্বশুর-শাশুড়ির সমর্থন দিয়েছে , এ বিষয়টি জেনে সত্যিই ভালো লাগলো। দীঘায় গিয়ে আপনার মন ভালো হবে, আশা করছি। শুভ যাত্রা
আপনার আজকের পোস্ট পড়ে বান্ধবীদের সাথে দীঘায় ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত গুলোর কথা খুব মনে পরছে। কোথাও ঘুরতে যেতে আমিও ভীষণ পছন্দ করি আর সৌভাগ্যবশত আপনার হাজবেন্ডের মতন আমার হাজবেন্ডও ঘুরতে যেতে খুব একটা পছন্দ করে না, আবার আমাকে বাধাও দেয় না।
বছর খানেক আগে বান্ধবীদের সাথে প্ল্যান করে দীঘায় গিয়েছিলাম। বরের আপত্তি না থাকলেও অনেক সময় শাশুড়ি ও শ্বশুরমশাই এর আপত্তি থাকে, তবে সেইবার বাড়িতে বলাতেই ওনরা একবারেই রাজি হয়েছিলো। বিষয়টা আমাকে অবাক করেছিলো তবে শেষ পর্যন্ত দারুন খুশি হয়েছিলাম।
আমরাও বাসে করে গিয়েছিলাম এবং ভীষণ মজা করেছি। আমার বিশ্বাস আপনারাও ততটাই মজা করেছেন। পরবর্তী পোস্টে নিশ্চয়ই আপনাদের সেই মজার দৃশ্য গুলো দেখতে পারবো,সেই আশায় রইলাম।
হাজবেন্ডের সাথে ঘুরতে যাওয়ার এক অন্যরকম অনুভূতি, আর বোনদের সাথে বা বান্ধবীদের সাথে ঘোরার অনুভূতি একেবারেই অন্যরকম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার যাত্রা শুরুর গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে প্রতিটা জিনিস ঠিকঠাক রয়েছে কিনা সবকিছু ঠিকঠাক নিয়েছে কিনা এটা নিয়ে অনেক বেশি টেনশন থাকে আর মেয়েদের ক্ষেত্রে অনেক জিনিসের প্রয়োজন হয় তাই আপনারা ঘুরতে যাওয়ার সময় সবকিছু ঠিকঠাক করে নিয়েছেন হঠাৎ করেই প্ল্যান করেছেন তাই হঠাৎ করেই চলে গেছেন ঘুরতে গেলে আসলে মন ভালো থাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্তটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।