পাকা কলার বড়া রেসিপি
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই খুব ভালো আছেন ।আজকে আবারো নতুন একটা রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে। আশা করছি সকলের খুব ভালো লাগবে।
সব রকম ফল খেতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। রোজ দুপুরবেলায় ভাত খাবার পরে কিছু না কিছু ফল আমি প্রতি নিয়মিত খাই। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব পাকা কলার বড়া। কাঁচা অথবা পাকা কলা কে সাধারণত সব ফলের মধ্যে স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে ধরা হয়। কলাতে প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে। আমরা অনেক সময় কলা একটু বেশি পেকে গেলে সাধারণত ফেলে দিন। সেই কলা ফেলে না দিয়ে কিভাবে বড়া বানানো হয় সেটাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। যেকোনো তেলেভাজা জিনিস সন্ধ্যাবেলায় খেতে খুবই ভালো লাগে। তবে সেটা যদি বাড়িতে বানানো হয় তাহলে আরো স্বাস্থ্যকর হয়। তবে আমি বাড়িতে যে কোন তেলেভাজা জিনিস সবসময় খেতেই পছন্দ করি।
ভিডিও লিংক |
---|
বাড়িতে পাকা কলার বড়া বানালে খুবই সুস্বাদু হয়। ছোট থেকে বড় সকলেই পছন্দ করে। খুব মুখরোচক হয়। যেকোনো কলা দিয়েই বানানো যায়। তবে বেশি পাকা কলা হলে বেশি ভালো হয়। চলুন তাহলে আজকে শুরু করি কিভাবে পাকা কলার বড়া বানানোর পদ্ধতি।
নং | সামগ্রী | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | পাকা কলা | ৫ টা |
২ | ময়দা | ৩০০ গ্ৰাম |
৩ | লবণ | সামান্য |
৪ | চিনি | ১ কাপ |
৫ | চালের গুঁড়ো | ১০০ গ্ৰাম |
৬ | সাদা তেল | পরিমাণ মতো |
প্রথম ধাপ
প্রথমেই কয়েকটা পাকা কলা নিয়ে নিয়েছি। এরপর কলা গুলো খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এরপর একটা পাত্রে পরিমাণ মতো ময়দা নিয়ে নিয়েছি। ময়দা নেওয়ার পর সামান্য পরিমাণে লবণ দিয়ে দিয়েছি। লবণ দেওয়ার পর ছাড়িয়ে রাখা পাকা কলা গুলো ময়দার মধ্যে দিয়ে দিয়েছি। এরপর আগে থেকেই আমি চিনি ভিজিয়ে রেখেছিলাম। আপনারা চাইলে গুঁড়ো চিনি ব্যবহার করতে পারেন। ভিজিয়ে রাখা চিনি দেওয়ার পর কলা আর ময়দা ভালো করে চটকে মেখে নিতে হবে।। এরপর সামান্য চালের গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে হবে। চালের গুঁড়ো দিলে বড়া আরো খাস্তা হয়।
তৃতীয় ধাপ
খানিকক্ষণ হাত দিয়ে ভালোভাবে চটকে মেখে নেওয়ার পর খানিকক্ষণ ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে। যাতে চিনির দানাগুলো ভালোভাবে গলে যায়। জল প্রয়োজন মতো ব্যবহার করতে হবে বেশি জল দিয়ে পাতলা করলে হবে না ।ব্যাটারটা আঠালো প্রকৃতির তৈরি করতে হবে।
চতুর্থ ধাপ
এবারে খানিকক্ষণ পর ঢাকনা খুললে দেখা যাবে ব্যাটারটা খুব সুন্দর ভাবে তৈরি হয়ে গেছে ।এরপর গ্যাস অন করে একটা কড়াই বসিয়ে দিয়েছি। কড়াই গরম হলে কড়াইতে পরিমাণ মতো সাদা তেল দিয়ে দিতে হবে।
পঞ্চম ধাপ
এরপর তেল গরম হলে ছোট ছোট বড়ার আকৃতি করে তেলের মধ্যে দিতে হবে। সাইজ নিজেদের মন মতো করে দিতে হবে। আমি আমার মত করে ছোট ছোট আকৃতি বড়া তৈরি করেছিলাম। এরপর তেলে দেওয়ার পর ভালো করে দুই পিঠ লাল লাল করে ভেজে নিতে হবে।
তৈরি
ভালো করে দুই পিঠ ভেজে তেল ঝরিয়ে তুলে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে মুচ মুচে পাকা কলার বড়া।
রেসিপিটি তৈরি করা খুবই সহজ। রেসিপিটি তৈরি করতে বিশেষ কোন উপকরণ আমি ব্যবহার করিনি। এই কয়েকটা উপাদান দিয়ে তৈরি করলেই পাকা কলার বড়া খেতে দুর্দান্ত লাগে। আপনারা ও বাড়িতে রেসিপি টি তৈরি করতে পারেন। এরকম বড়া স্বাস্থ্যের পক্ষেও খুব উপকার। খুব কম সময়ে রেসিপি তৈরি করা যায়। ভিডিও লিংক দেওয়া থাকল আপনারা চাইলে দেখতে পারেন।
আজ এইখানেই শেষ করছি। আবার নতুন কোন রেসিপি নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
আমাদের বাড়িতেও গতকাল পাকা কলার বড়া বানানো হয়েছিল। ঘরে বেশ কিছু পাকা কলা ছিল সেগুলো দিয়েই রাতে বড়া বানানো হয়েছিল।
তুমি যেভাবে বানিয়েছো আমরাও একই রকম পদ্ধতি অবলম্বন করেই কলার বড়া বানিয়েছিলাম। যেহেতু আমি তালের বড়া খেতে তেমন ভালোবাসি না তাই এই কলার বড়া আমার খুব পছন্দের।
তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে রেসিপিটি আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য।
কলা আমরা সাধারণত এমনি খেতে অনেক বেশি পছন্দ করি কিন্তু কলা দিয়ে যে আবার বড়া তৈরি করা হয় সেটা আমার জানা ছিল না তবে কলা দিয়ে পিঠা তৈরি করা হয়ে থাকে যেটা আমার মা অনেকবার তৈরি করেছে আমার কাছে খেপি কিন্তু বেশ ভালই লেগেছে আজকে আপনার কলা দিয়ে তৈরি করা দেখতে অনেক বেশি লোভনীয় দেখাচ্ছে ইনশাল্লাহ অবশ্যই একদিন তৈরি করার চেষ্টা করব ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।